মন চাইলেই যাঁরা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন ও বিক্রি করেন—তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। নতুন ওষুধনীতিতে জ্বর, সর্দি, মাথা ও পেটব্যথার মতো রোগের ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ আর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া পাওয়া যাবে না।
অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনজনিত সমস্যার ওষুধ, ঘুমের ওষুধের মতো স্পর্শকাতর ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভায় জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ধরনের জেনেরিক ওষুধ আছে, এর মধ্যে ৩৯টি জেনারের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক আ ব ম ফারুক আরও জানান, বাজারে ৩৯টি জেনারের প্রায় দুই হাজার ওষুধ রয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং সহজে রোগ সারছে না। এই প্রেক্ষাপটেই দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন জনস্বাস্থ্যকর্মীরা।
নতুন ওষুধনীতিতে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহারে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্নাতক ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওষুধের কেনাবেচা হবে। এ ছাড়া ১০০ বা তার বেশি শয্যাবিশিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিজস্ব ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নির্দেশিকা’ থাকতে হবে, নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় তা মানতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন ওষুধনীতিতে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হলো নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি ও বিপণন রোধ করা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। জনস্বার্থে দাম নির্ধারণ করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেছেন, ওষুধ যেন যথেচ্ছভাবে কেনাবেচা না হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের ১২২টি বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সদন ও স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের ওষুধ। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।
বৈঠকে নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
------------------------------
অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনজনিত সমস্যার ওষুধ, ঘুমের ওষুধের মতো স্পর্শকাতর ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভায় জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ধরনের জেনেরিক ওষুধ আছে, এর মধ্যে ৩৯টি জেনারের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক আ ব ম ফারুক আরও জানান, বাজারে ৩৯টি জেনারের প্রায় দুই হাজার ওষুধ রয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং সহজে রোগ সারছে না। এই প্রেক্ষাপটেই দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন জনস্বাস্থ্যকর্মীরা।
নতুন ওষুধনীতিতে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহারে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্নাতক ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওষুধের কেনাবেচা হবে। এ ছাড়া ১০০ বা তার বেশি শয্যাবিশিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিজস্ব ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নির্দেশিকা’ থাকতে হবে, নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় তা মানতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন ওষুধনীতিতে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হলো নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি ও বিপণন রোধ করা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। জনস্বার্থে দাম নির্ধারণ করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেছেন, ওষুধ যেন যথেচ্ছভাবে কেনাবেচা না হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের ১২২টি বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সদন ও স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের ওষুধ। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।
বৈঠকে নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
------------------------------