:উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর যাবত ডাক্তার সেজে প্রতারনার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ভূয়া ডাক্তার গৌর চাঁদ পন্ডিত ওরফে জি.সি.পন্ডিত সুবীরকে আটক করে নগদ ১লাখ টাকা জরিমানাসহ ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।বুধবার (১০ আগষ্ট) বিকাল ৩ টায় শহরের বি.বি রোড ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে সিদ্ধিরগঞ্জ র্যাব-১১ এর এএসপি নাজিম উদ্দিন আল আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে এই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেন। এসময় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক কামাল হোসেন ও ম্যানেজার সুখলাল সাহাকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।সদর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তারসহ ডায়াগনিষ্টক সেন্টারের দুইজনকে এই দন্ড প্রদান করেন।কারাদন্ড প্রাপ্ত সুবীর (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী এলাকার সতেন্দ্র পন্ডিতের ছেলে।র্যাব ১১ এএসপির নাজিম আল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া ডাক্তার জিসি পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ডিগ্রী ব্যবহার করে শহরের কয়েকটি ফার্মেসী ও মেডিকেল সেন্টারে রোগী দেখতেন। র্যাব ১১ গোয়েন্দা টিম দীর্ঘদিন তার উপর নজর রাখে এবং সে একজন ভুয়া ডাক্তার প্রমান হলে অভিযান চালিয়ে বিবিরোড ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভুয়া ডাক্তার তার এমবিবিএস সাটিফিকেট দেখাতে পারেনি। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের সাজা প্রদান করেন।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ জানান, বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও এমবিবিএস সার্টিফিকেট না থাকলেও মাত্র এইচএসসি পাশ করেই দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর যাবত নিয়মিত রোগী দেখে আসছিল ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিত। তাই তাকে এই অপরাধে ১লাখ টাকা জরিমানা এবং ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার রাখার অপরাধে হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারকে মেডিকেল প্র্যাকটিস ও ল্যাবরেটরীর অনুসারে ডাক্তারদের তালিকা না থাকায় ৫ হাজার করে দুইজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।