Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

আমেরিকায় নারী চিকিৎসকের কাছে রোগী সুস্থ হয় বেশি

হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের কাছে রোগী সুস্থ হওয়ার হার বেশি। তাঁদের কাছে সেবা পাওয়া রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও কম। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১০ লাখের বেশি রোগীর ওপর এ গবেষণা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, রোগীরা নারী চিকিৎসকের সেবা পেলে তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি পুরুষ চিকিৎসকদের সেবা পাওয়া রোগীর তুলনায় ৪ শতাংশ কম। আবার সেবা নিয়ে চলে গেছেন
তাঁদের হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার হার ৫ শতাংশ কম।

গবেষকেরা বলছেন, নারী ও পুরুষ চিকিৎসকের সেবার পার্থক্যের কারণে ফলাফলে কী ভিন্নতা আসে তা নিয়ে সম্ভবত এটাই প্রথম কোনো গবেষণা। গবেষণাটি গতকাল সোমবার আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকী জেএএমএ ইন্টারন্যাল মেডিসিনের অনলাইন সংস্করণে ছাপা হয়েছে।

গবেষণার আওতায় থাকা রোগীদের বয়স ছিল ৬৫ বছর বা তার বেশি। এঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন মারাত্মক অসুস্থ। এঁদের চিকিৎসা দিয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৩৪৪ চিকিৎসক। এঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ৭৫১ জন (৩২.১ শতাংশ) ছিলেন নারী চিকিৎসক। নারী চিকিৎসকদের বয়স ছিল তুলনায় কম, এঁদের অনেকেরই অস্থির চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ ছিল। এঁরা পুরুষের তুলনায় কম রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন।

এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে এই প্রতিবেদক বাংলাদেশে চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত চারজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক পারভিন শাহিদা আখতার বলেন, ইউরোপভিত্তিক ক্যানসার চিকিৎসকদের সংগঠন (ইসমো-ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব মেডিকেল অনকোলজিস্ট) দাবি করে ক্যানসার চিকিৎসায় পুরুষের তুলনায় নারী চিকিৎসকের কাজের ফল ভালো। এর কারণ, নারী চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে বেশি সহানুভূতিশীল, বেশি মনোযোগ দিয়ে রোগীর কথা শোনেন, রোগীকে বেশি সময় দেন। নিজের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমি রোগী নেফ্রোলজি বা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাই (রেফার)। রোগীরা ফিরে এসে মহিলা ডাক্তারদের কথাই ভালো বলেন, মহিলা ডাক্তারের কাছেই পাঠাতে বলেন।’

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দুই দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গবেষণা ফলাফলের সঙ্গে আমি ১০০ ভাগ একমত। নারী চিকিৎসকদের আন্তরিকতা বেশি, কাজে ফাঁকি কম দেয়, ধান্দা কম। এগুলো রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ওপর প্রভাব ফেলে।’

বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক (কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) শাগুফা আনোয়ার বলেন, ‘নারী চিকিৎসকেরা সময়মতো রোগীর পাশে থাকে। রোগীর ডকুমেন্টেশন ভালো করে। যত্ন নিয়ে রোগীর কাউন্সেলিং করে। ফাঁকি কম দেয়, অজুহাত কম দেয়। এসব গুণ অবশ্যই রোগীর সেরে ওঠার ওপর প্রভাব ফেলে।’

তবে এ বিষয়ে কিছুটা ভিন্নমত দিয়েছেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ ব্যাপারে মতামত দেওয়া মুশকিল। একজন চিকিৎসক রোগীকে কতটা সুস্থ করতে পারবেন তা নির্ভর করে তিনি নিজেকে কতটা দক্ষ করে তুলতে পেরেছেন তার ওপর। এ ক্ষেত্রে যোগ্যতাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষণায় এটা চিহ্নিত করা যায়নি যে কেন নারী চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে তাতে বলা হয়েছে, আগে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নারী ও পুরুষ চিকিৎসকদের মধ্যে পেশা চর্চায় ভিন্নতা আছে। নারী চিকিৎসকেরা নির্দেশিকা মেনে পেশা চর্চায় অধিকতর অবিচল থাকেন। এ ছাড়া তাঁরা প্রতিরোধমূলক সেবাও বেশি দেন। বর্তমান গবেষণা থেকে সেবার মান উন্নত করার মতো বিষয় পাওয়া যাবে বলে গবেষকেরা ধারণা করছেন
Share:

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নয় !!

মন চাইলেই যাঁরা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন ও বিক্রি করেন—তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। নতুন ওষুধনীতিতে জ্বর, সর্দি, মাথা ও পেটব্যথার মতো রোগের ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ আর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া পাওয়া যাবে না।
অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনজনিত সমস্যার ওষুধ, ঘুমের ওষুধের মতো স্পর্শকাতর ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভায় জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ধরনের জেনেরিক ওষুধ আছে, এর মধ্যে ৩৯টি জেনারের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক আ ব ম ফারুক আরও জানান, বাজারে ৩৯টি জেনারের প্রায় দুই হাজার ওষুধ রয়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং সহজে রোগ সারছে না। এই প্রেক্ষাপটেই দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন জনস্বাস্থ্যকর্মীরা।

নতুন ওষুধনীতিতে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহারে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্নাতক ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওষুধের কেনাবেচা হবে। এ ছাড়া ১০০ বা তার বেশি শয্যাবিশিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিজস্ব ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নির্দেশিকা’ থাকতে হবে, নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় তা মানতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন ওষুধনীতিতে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হলো নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি ও বিপণন রোধ করা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। জনস্বার্থে দাম নির্ধারণ করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেছেন, ওষুধ যেন যথেচ্ছভাবে কেনাবেচা না হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের ১২২টি বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সদন ও স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের ওষুধ। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।

বৈঠকে নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে









------------------------------

Share:

ক্যানসার গবেষণায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরসাফল্য

বর্তমান সময়ে সম্ভবত ক্যানসার সবচেয়ে আলোচিত ও ভীতিকর রোগ। ক্যানসার নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক অজ্ঞতা ও অসচেতনতা। মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হতে পারে। সকল ক্যানসারের ভয়াবহতা ও পরিণতি এক নয়। ক্যানসার যদি খুব শুরুতেই শনাক্ত (early diagnosis) করা যায় তাহলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। আর এ থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বহু গুনে। ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করি। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় প্রচলিত এসব পদ্ধতিগুলোর রয়েছে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে (early stage) ক্যানসার শনাক্তকরণের সহজ ও অধিক কার্যকরী (more efficient) পদ্ধতি উদ্ভাবনের কাজে নিয়োজিত আছেন গবেষকেরা। বাংলাদেশের সন্তান ড. মো. জসিম উদ্দিন চিকিৎসা বিজ্ঞানের তেমনই একটি বিষয়ে গবেষণা করছেন আমেরিকার ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (Vanderbilt University)।
ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়েই আক্রান্ত কোষগুলোতে কক্স-২ (COX-2) নামক একটি এনজাইমকে অতিমাত্রায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। মো. জসিম উদ্দিন ও তাঁর গবেষণা দল বিশেষ আলোক সংবেদী কিছু রাসায়নিক যৌগ আবিষ্কার করেছেন। যেগুলো নির্দিষ্টভাবে (Selectively) কক্স-২ এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে শনাক্ত করতে সক্ষম। বিষয়টিকে জোনাকি পোকার সঙ্গে তুলনা করুন। অন্ধকারে যখন জোনাকি পোকারা জ্বলে ওঠে, তখনই এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পেটেন্টেড (Patent No. US 2010 / 0254910) এই রাসায়নিক যৌগগুলোর একটি ফ্লোরকক্সিব এ (Fluorocoxib A) নামে পরিচিত। প্রাণীর দেহে প্রবেশ করানোর পর এটি কক্স-২ এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তীব্রভাবে জ্বলে ওঠে। আক্রান্ত কোষগুলোতে খুব সামান্য পরিমাণে কক্স-২ এনজাইম উপস্থিত থাকলেও সেগুলোকে সহজেই শনাক্ত করা যাচ্ছে। তার এই আবিষ্কার ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে (Cancer Research, 2010, 70,3618-3627)। উদ্ভাবনের খবর উঠে আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। নানান সম্মানের পাশাপাশি, এই সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তিনি ওমিক্স (Omics International) গ্রুপের রিকগনিশন সনদও লাভ করেন। খুব শিগগিরই এই প্রযুক্তিটি মানবদেহে প্রয়োগের আশা করছেন তিনি। যেটি তার দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। এই যৌগ দিয়ে ত্বক (skin), মূত্রথলি (bladder), অন্ননালি (esophageal) ও কোলন (colon) ক্যানসার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

মো. জসিম উদ্দিনের জন্ম নোয়াখালীর বাটইয়া গ্রামে। তিনি হাজি মো. হানিফ উদ্দীন ও বেগম সাফিয়া খাতুনের প্রথম সন্তান। তার শৈশব ও বেড়ে ওঠা ঢাকার জিগাতলায়। ঢাকার রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদের কাছে তাঁর গবেষণার হাতেখড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে জসিম উদ্দিন কর্মজীবন শুরু করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক প্ল্যান্টে। পরে ১৯৯৭ সালে জাপান সরকারের মনবুসো (Monbusho) বৃত্তি নিয়ে চলে যান জাপানের শিনসু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Shinshu University)। সেখানে ডক্টরাল গবেষণা করেছেন অধ্যাপক আইওয়াও ইয়ামমোটোর (Professor Iwao Yamomoto) সঙ্গে। তারপর আলবার্টা হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Alberta) পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। অবশেষে ফ্যাকাল্টি হিসেবে গবেষণা শুরু করেন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগে। বর্তমানে সেখানেই তিনি সহযোগী অধ্যাপক (গবেষণা) হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশে গবেষণার অবস্থা তাঁকে ব্যথিত করে। বলেন, বাংলাদেশে অফুরন্ত মেধা ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানের মৌলিক ও অপরিহার্য বিষয়ে কোনো উন্নতমানের গবেষণা এখনো চোখে পড়ছে না। পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গেও হতাশা প্রকাশ করলেন। বললেন, স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে দেশে উচ্চ শিক্ষিতের হার অনেক কম ছিল। তখন শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থী পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। এখনো সেই নিয়ম ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই তিনি মনে করেন।
ফ্লোরকক্সিব-এশিক্ষার্থী ও গবেষকেরা যেন দেশেই করতে পারে উন্নতমানের গবেষণা সে জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা বললেন। প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা নিয়ে সহযোগিতা করতে তিনি আগ্রহী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন। স্বপ্ন দেখেন, একদিন বাংলাদেশ থেকেই বেরিয়ে আসবে রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।
প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে তাঁর। দেশে যোগাযোগ হয় নিয়মিত। সুযোগ পেলেই দেশে যান। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার। গবেষণা, শিক্ষকতা আর জীবন-সংসারের রসায়ন নিয়ে কেটে গেছে বহু বছর। মানব কল্যাণে তাঁর গবেষণা অবদান রাখবে, সর্বশক্তিমানের কাছে এটুকুই চাওয়া। তাঁর গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁর ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: <https://goo.gl/g68Vja>

*ড. রউফুল আলম, গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র। ই-মেইল: redoxrouf@yahoo. com
















----------------------------

Share:

লক্ষ্মীপুরের ডাঃ ইকবাল মাহমুদ ঢাকা থেকে অপহৃত


লক্ষীপুরের ডাঃ ইকবাল মাহমুদ ঢাকা থেকে অপহৃত হওয়ার খবর জানিয়েছে তার পরিবার। শুক্রবার লক্ষ্মীপুর থেকে রয়েল বাস সার্ভিসে করে ঢাকা যায় ডাঃ ইকবাল মাহমুদ। সে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনেসথেসিয়ার উপর টেনিং করছিল। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনেসথেসিয়ার উপর টেনিং উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের বাসা থেকে রয়েল বাস সার্ভিসে করে ঢাকা যায়।

ঢাকায় গিয়ে সাইন্স ল্যাবরেটরী এলাকায় বাস থেকে নামে। এ সময় ঐ স্থানে থাকা সাদা একটি মাইক্রোবাসে তাকে অজ্ঞাত লোকজন তুলে নিয়ে যায়। ডাঃ ইকবাল মাহমুদ লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল রোডস্থ ১৯৯ বকুল কটেজে তার নিজস্ব বাসা ও মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আলমের ছেলে।

তার পিতা এ কে এম নুরুল আলম জানান, ডাঃ ইকবাল লক্ষ্মীপুরের বাসা থেকে শুক্রবার রাত ১০টার সময় রওনা করে শনিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটায় সাইন্স ল্যাবরেটরী এলাকায় পৌঁছে গন্তব্যে যাওয়ার সময় কে বা কাহারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ঢাকায় পৌঁছে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এ পর্যন্ত কোন সন্ধান পায়নি।

সে ছাত্র জীবন থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলনা। তবে তাবলিগ জামাতে সাথে জড়িত। সে ২৮তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাখালীতে কর্মরত ছিল। সে লক্ষ্মীপুরে ভালো চিকিৎসক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তার নিখোঁজের খবরে লক্ষ্মীপুরে ডাক্তারসহ সকল পেশার মানুষ উদ্বেগ, উৎকন্ঠার মধ্যে আছে।
Share:

‘বৃদ্ধ বাবা-মা থেকে আলাদা হতে চাইলে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে স্বামী’


বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রী’কে ডিভোর্স দিতে পারবেন হাজব্যান্ড। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিধান জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস অনিল দাভে এবং জাস্টিস এল নাগেশ্বর বলেন, বৃদ্ধ এবং ছেলের ওপর নির্ভরশীল বাবা-মায়ের থেকে স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে জোর করলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।
১৪ পাতার রায়ে বিচারপতিদ্বয় বলেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চলতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখা ছেলের কর্তব্য বলেই ধরা হয়। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন স্ত্রী। যদি বিশেষ ক্ষেত্র না হয় তবে স্বামীকে অভিভাবকদের থেকে পৃথক করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করলে বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।’
বায়ে আরো বলা হয়, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার হুমকি বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদি কোনো ক্ষেত্রে তিনি মারা যান তবে আইনি সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তার ক্যারিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু ছারখার হয়ে যায়। এ সব কিছুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি করে নেন অনেকে। আর যাতে এই রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’ সূত্র: এই সময়/ইন্ডিয়া টাইমস
Share:

৫ দিনেও খোঁজ মেলে নি ডাঃরিয়াদের


                 
ডা. রিয়াদ-নাসের-চৌধুরী
অপহরণের চারদিন পরও খোঁজ মেলেনি পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরীর।অভিযোগের তীর রয়েছে কোস্ট গার্ডের লে.কমান্ডার ফরহাদ সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে তারা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ঘটনার চারদিন পার হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বরের পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরী। বিকালে তার সহকর্মী ডা. মো. সালেককে নিয়ে পূরবী সিনেমা হলের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে যায় সে। এ সময় পাশেই একটি গাড়িতে থাকা তিনজন এসে রিয়াদের নাম জিজ্ঞেস করে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। প্রথমে যেতে না চাইলে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে রিয়াদকে জোর করে গাড়িতে তুলে মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়। মাইক্রোবাসটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-১৩৮২)।
অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইলটি তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নাম্বর ৭১।

মেধাদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘ডা. লুনা আনিকা নামে আমার ভাইয়ের এক বান্ধবী ছিল। নর্থ সাউথে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথে পড়ার সময় তাদের বন্ধুত্ব হয়। বিগত কিছুদিন ধরে স্বামী কোস্ট গার্ডের লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে লুনার কোনও কারণে ঝামেলা হয়। আর   এর জন্য ফরহাদ আমার ভাইকে দোষারোপ করে। বিভিন্নভাবে আমার ভাইকে ভয় দেখানো হয়।’
এর আগে গত ১৬ আগস্টে একইভাবে তার ভাইকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানান মেধাদ। তিনি বলেন, ‘ওইদিন সেকশন সাড়ে ১১ কনভেনশন হলের সামনে মেইন রোডে লুনার সঙ্গে আমার ভাইয়ের দেখা হয়। এ সময় কয়েকজন এসে আমার ভাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।’
ওইদিন কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে তুলে নেওয়ার সময় অজ্ঞাতরা নিজেদের ডিটেকটিভ টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।পরবর্তীতে পল্লবী থানায় গেলে এদের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। উল্টো তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মেধাদ নাসের।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও শত্রু নেই। তার শুধু দ্বন্দ্ব ছিল   ফরহাদের সঙ্গে। তিনিই আমার ভাইকে তুলে নিয়েছেন। এর আগে কমান্ডার ফরহাদ মোবাইলে আমার ভাইকে এনকাউন্টার করার হুমকি দেন। এখন তাকে তুলে নিয়ে গেছে।’
টাকার জন্য তাকে তুলে নেওয়া হয়নি বলে জানান মেধাদ নাসের। তার ভাষ্যমতে, ‘আমার ভাইয়ের মতো গরীব মানুষকে টাকা জন্য তুলে নেওয়ার মতো বোকামি কেউ করবে আমার মনে হয় না। এছাড়া টাকার জন্য নিয়ে গেলে আমাদের কাছে ফোন আসতো। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা চেয়ে এখনও কোনও ফোন আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও দোষ নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এটা ওদের ব্যাপার। আমার ভাইয়ের সঙ্গে এখন ফরহাদ ও তার স্ত্রী লুনার কোনও সম্পর্ক নেই। পরবর্তীতে আমার ভাই আর কোনও যোগাযোগ লুনার সঙ্গে করেনি। আমি জানি না আমার ভাই কেমন আছে, কোথায় আছে? আমি ভাইকে ফেরত চাই।’
অপহৃতের ভাইয়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করে ও এসএমএস করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাদন ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপহরণের সময় গাড়িতে যে নাম্বারটা ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নাম্বারের গাড়িটা পাওয়া গেছে। তবে গাড়ির শুধু নাম্বারটা ব্যবহার করে অপরাধীরা। এই নাম্বারের গাড়িটা মানিকগঞ্জের ঘেয়র থানা হেফাজতে আগে থেকেই ছিল। তবে অপহরণকালে ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করা যায়নি। সিটিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। আমরা যাচাই করে দেখছি। এছাড়া মামলার আর তেমন কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

Source - http://banglatribune.com

http://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2016/10/04/no-trace-doctor-5-days-since-abduction/
Share:

রোগীকে মেঝেতে খাবার দিলো, ভারতের একটি হাসপাতাল!

চূড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিল রাঁচির একটি সরকারি হাসপাতাল। খাবার থালা না থাকায় রোগীকে মেঝেতে খেতে দিল হাসপাতাল। বাধ্য হয়েই মেঝে থেকে ভাত-ডাল তুলে খেতে হল পালমতীদেবীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের  রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে
বুধবার এই ঘটনার ছবি ভারতের  একটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতালের যে কর্মী এই কাজ করেছিলেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সঙ্গে রোগীদের জন্য নতুন থালারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাতে চোট নিয়ে সম্প্রতি এই হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন পালমতীদেবী। তাঁর কাছে কোনও খাবার থালা ছিল না। ওই দিন দুপুরে সমস্ত রোগীকে খাবার দিতে আসেন হাসপাতালেরই এক কর্মী। পালমতীদেবী খাবার জন্য একটি থালা চান। ওই কর্মী তাঁকে জানান, কোনও থালা নেই। খেতে হলে মেঝে থেকেই খেতে হবে। এই বলে তিনি পালমতীদেবীর বরাদ্দ খাবারের পুরোটাই মেঝেয় ঢেলে দেন। তার আগে পালমতীদেবীকে দিয়েই জায়গাটা পরিষ্কারও করান তিনি। মেঝে থেকে খাবার খাওয়ার সেই ছবি একটি সংবাদ মাধ্যমের হাতে চলে আসে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। প্রতি বছর রোগী পরিষেবার জন্য ওই হাসপাতাল ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদন পায়। তা সত্ত্বেও এক জন রোগীকে মেঝে থেকে ভাত তুলে খেতে হবে কেন? সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন। অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছেন তাঁরা। আর যাতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয় সে দিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
Share:

ভূয়া চিকিৎসকের কারাদন্ড !

বগুড়া শহরের মফিজ পাগলামোড় অবস্থিত ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আশরাফ নামে একজন ভুয়া চিকিৎসককে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 
পরে আদালত তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদ‍ণ্ডাদেশ দিয়েছেন।  
 
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
 
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক বাংলানিউজকে জানান, তিনি ডিপ্লোমাধারী একজন পল্লী চিকিৎসক। কিন্তু নিজেকে বড় চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন। রোগী প্রতি ৪০০-৫০০ টাকা করে ভিজিট আদায় করতেন।
 
মিথ্যা পরিচয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার করার জন্য তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয় বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ বিচারক।
 
অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন র‍্যাব-১২ সদস্যরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬
Share:

৩৪ কোম্পানির ওষুধে 'ভেজাল', না কেনার পরামর্শ !


৩৪টি কোম্পানির ওষুধ মানসম্পন্ন না হওয়ায় তা কেনা থেকে বিরত থাকতে বলেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

বুধবার (১০ আগস্ট) মহাখালীতে অধিদফতরের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জনসাধারণের প্রতি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওধুষ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলে তা কেনা যাবে না। 
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-মেসার্স টুডে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, কুমিল্লা; মেসার্স ন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানি লি., ধামরাই; মেসার্স ইউনিভার্সাল ফার্মসিউটিক্যালস লি., পাবনা; মেসার্স সুনীপুন ফার্মসিউটিক্যালস লি., গেন্ডা; মেসার্স ড্রাগল্যান্ড লি., নারায়ণগঞ্জ; মেসার্স ডলফিন ফার্মসিউটিক্যালস লি., যাত্রাবাড়ী; মেসার্স জালফা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., সিলেট; মেসার্স রিড ফার্মাসিউটিক্যালস লি. ব্রাহ্মণবাড়িয়া; মেসার্স রেমো কেমিক্যালস লি. (ফার্ম ডিভিশন); মেসার্স ক্যাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., নোয়াখালী; মেসার্স গ্লোব ল্যাবরেটরীজ (প্রাঃ) লি., মুন্সিগঞ্জ; মেসার্স মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি., রংপুর; মেসার্স নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., নওগাঁ; মেসার্স স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., চরপাড়া, ময়মনসিংহ; মেসার্স স্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বিসিক শিল্প নগরী বরিশাল; মেসার্স ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., শ্যামলী; মেসার্স এভার্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মিরপুর; মেসার্স স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বিসিক শিল্প এলাকা, কুমিল্লা ও মেসার্স এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল লি., ময়মনসিংহ।

এদিকে ১৪টি কোম্পানির সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক (নন পেনিসিলিন, পেনিসিলিন ও সেফালোস্পরিন) জাতীয় ওষুধ উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানির ওষুধও না কেনার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে-মেসার্স আদদ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বিসিক শিল্প নগরী, যশোর; মেসার্স অ্যালকাড ল্যাবরেটরিজ লি., রংপুর; মেসার্স বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ফরিদপুর; মেসার্স বেঙ্গল ড্রাগস অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কাস লি., কুমিল্লা, মেসার্স ব্রিস্টল ফার্মা লি., কোনাবাড়ী, গাজীপুর; মেসার্স ক্রীস্টাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., চর্থা, কুমিল্লা, মেসার্স ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বরিশাল; মেসার্স মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস লি. পোস্তগোলা শিল্ফা এলাকা, ঢাকা; মেসার্স এমএসটি ফার্মা হেলথকেয়ার লি. গাজীপুর মেসার্স অরবিট ফার্মাসিউটিক্যালস লি., চট্টগ্রাম; মেসার্স ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লি., চট্টগ্রাম, মেসার্স ফিনিক্স কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিজ (বাংলাদেশ) লি., নরসীংদী; মেসার্স রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., সিরাজগঞ্জ ও মেসার্স সেইভ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ময়মনসিংহ।










Share:

গ্রেফতারকৃত আব্দুল বারি ভুয়া ডাক্তার নন , তিনি রাজশাহী মেডিকেলের R-১৭ এর ছাত্র ছিলেন ।


আব্দুল বারি নামে যে ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার হয়েছেন সেদিন,
 ছয় মাসের জেলও দেয়া হয়েছে সে আসলে ভুয়া ডাক্তার নয়। 
সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের R-17 ব্যাচের স্টুডেন্ট !
তার অনেক বন্ধুরা এখন প্রফেসর ।
 কিন্তু এখনো কেউ প্রতিবাদ করল না।
 জিনিসটা খুবি হাস্যকর ও প্রফেশন নিয়ে রসিকতা মনে হলো।





Share:

ভূয়া ডাক্তার সনাক্ত করবেন যেভাবে ?


৪০ দিনের কোর্স করে কিংবা
পল্লী চিকিৎসক 😎 হয়ে কিভাবে
নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে ?
মাথায় আসে না ! 😭
মেডিকেলে শত শত ছাত্র 
শত শত পরীক্ষা দিয়ে,
৫- ৬ বছর হাতেকলমে পড়াশুনা করেও
এম.বি.বি.এস কিংবা বি.ডি.এস পাশ না করে ডাক্তার লিখার সাহস পায় না ।
এম.বি.বি.এস কিংবা বি.ডি.এস
পাশ ছাড়া বাংলাদেশের কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখলে
জরিমানার বিধান আছে?
তাই, কোনো সন্দেহ হলে
বি এম ডি সি এর ওয়েব সাইটে গিয়ে
http://bmdc.org.bd/doctors-info/
ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নং দিয়ে সার্চ দিন?
উনি বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড ডাক্তার কি না দেখে নিন।
সকল ডাক্তারদের ভিজিটিং কার্ড ও
প্রেসক্রিপশন পত্রে রেজিষ্ট্রেশন নং
উল্লেখ থাকলে ভূয়া ডাক্তার
সনাক্তকরণ সহজ হবে।


Now available Reg No. for Medical 1-80000 and Dental 1-6800 only.
N.B.: Any mistake/ error for correction please send scan copy of BM&DC Registration Certificate by email us using: info@bmdc.org.bd /admin@bmdc.org.bd


Share:

র‍্যাবের অভিযানে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

:উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর যাবত ডাক্তার সেজে প্রতারনার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ভূয়া ডাক্তার গৌর চাঁদ পন্ডিত ওরফে জি.সি.পন্ডিত সুবীরকে আটক করে নগদ ১লাখ টাকা জরিমানাসহ ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।বুধবার (১০ আগষ্ট) বিকাল ৩ টায় শহরের বি.বি রোড ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে সিদ্ধিরগঞ্জ র‌্যাব-১১ এর এএসপি নাজিম উদ্দিন আল আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে এই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেন। এসময় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক কামাল হোসেন ও ম্যানেজার সুখলাল সাহাকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।সদর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তারসহ ডায়াগনিষ্টক সেন্টারের দুইজনকে এই দন্ড প্রদান করেন।কারাদন্ড প্রাপ্ত সুবীর (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী এলাকার সতেন্দ্র পন্ডিতের ছেলে।র‌্যাব ১১ এএসপির নাজিম আল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া ডাক্তার জিসি পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ডিগ্রী ব্যবহার করে শহরের কয়েকটি ফার্মেসী ও মেডিকেল সেন্টারে রোগী দেখতেন। র‌্যাব ১১ গোয়েন্দা টিম দীর্ঘদিন তার উপর নজর রাখে এবং সে একজন ভুয়া ডাক্তার প্রমান হলে অভিযান চালিয়ে বিবিরোড ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভুয়া ডাক্তার তার এমবিবিএস সাটিফিকেট দেখাতে পারেনি। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের সাজা প্রদান করেন।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ জানান, বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও এমবিবিএস সার্টিফিকেট না থাকলেও মাত্র এইচএসসি পাশ করেই দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর যাবত নিয়মিত রোগী দেখে আসছিল ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিত। তাই তাকে এই অপরাধে ১লাখ টাকা জরিমানা এবং ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার রাখার অপরাধে হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারকে মেডিকেল প্র্যাকটিস ও ল্যাবরেটরীর অনুসারে ডাক্তারদের তালিকা না থাকায় ৫ হাজার করে দুইজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




Share:

ইন্টার্নী চিকিৎসক বাচাঁও, দেশ বাচাঁও.

ইন্টার্নী চিকিৎসক বাচাঁও, দেশ বাচাঁও এই স্লোগানকে সামনে রেখে, দেশব্যাপী কেদ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইন্টার্নী চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশ হাজার টাকা মাসিক ভাতা বাস্তবায়নের দাবীতে ময়মনসিংহে মানব্বন্ধন করেছে ইন্টার্নী চিকিৎসকরা । মঙ্গলবার ( ২৬ জুলাই ) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের সামনে ময়মনসিংহ ঢাকা মহাসড়কে ইন্টার্নী চিকিৎসকরা ঘন্টাব্যাপী শান্তিপূর্ন মানব্বন্ধন করেন। মানব্বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইন্টার্নী চিকিৎসক নেতা, কামরুল হাসান কুসুম, এলিন আরাফাত অনিক, রাকিব, ফারজানা প্রমুখ। এসময় ইন্টার্নী চিকিৎসক নেতারা দাবী জানান, সরকার নির্ধারিত বিশ হাজার টাকা মাসিক ভাতা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন. 
Share:

বিশ্বের নামকরা স্কলারশীপের নাম, ওয়েব সাইট ও দরখাস্ত করার সময়

জাপান
মনবুকাগাকুশো- ইউনিভার্সিটি রেকোমেন্ডাশন
দরখাস্তের সময়-প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারী। এই স্কলারশিপের জন্য জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কে লিখতে হবে।  গুগলে জাপানিজ ইউনিভার্সিটি লিখে সার্চ দিলে  অনেক ইউনিভার্সিটি এর লিস্ট চলে আসবে, সেখানে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে প্রফেসরদের ই-মেইল এ লিখতে হবে।(https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_in_Japan)
মনবুকাগাকুশো-এম্বাসী রেকোমেন্ডেসন
দরখাস্তের সময়-প্রতি বছর মার্চ -মে। এই স্কলারশিপের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানে এম্বাসি এর মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয়। (http://www.moedu.gov.bd/)
দক্ষিণ কোরিয়া
কোরিয়ান গভঃ স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়ঃ প্রতি বছর সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয়। (http://www.moedu.gov.bd/)
চীন
চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর।(http://www.csc.edu.cn/studyinchina/scholarshiplisten.aspx?cid=97).
The World Academy of Sciences
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর আগস্ট (http://twas.org/)
ইঊ কে
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের  ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয় (http://www.moedu.gov.bd/). University Grant Commission(UGC) এই স্কলারশিপের সিলেকশন দেয়।
জার্মানি
DAAD স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের  ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয় (http://www.moedu.gov.bd/)। বাংলাদেশে স্কলার এবং জার্মান এম্বাসি এর স্টাফদের  নিয়ে একটা সিলেকশন কিমিটি গঠিত হয়, তাঁরাই ইন্টার্ভিউ নিয়ে সিলেকশন দেয়। তার আগে অবশ্যই জার্মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
বেলজিয়াম
VLIR-OUS স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই স্কলারশিপ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। (http://www.vliruos.be/)
নেদারল্যান্ডস
NFP স্কলারশিপ
Nuffic স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। এই স্ক্লারশিপের জন্য আগে ভর্তি হতে হবে অনলাইনে । (https://www.epnuffic.nl/en/)
ইউরোপিয়ান কান্ট্রি
ERASMUS MUNDUS স্কলারশিপ
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। (http://eacea.ec.europa.eu/erasmus_mundus/)
সুইডেন
Swidish Institute Study Scholarship
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী।(https://studyinsweden.se/scholarship/)
নরওয়ে
Qouta scholarship
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ।(http://siu.no/eng/Programme-information/Scholarship-schemes/Quota-Scheme)
অস্ট্রেলিয়া
IPRS
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর দুইবার – জুন-জুলাই এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বর । প্রতি টা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য IPRS আলাদা আলাদা। প্রতি টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখতে হবে।
Endevour
দরখাস্তের সময়- দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুন । (https://internationaleducation.gov.au/Endeavour%20program/Scholarships-and-Fellowships/Pages/default.aspx)
কানাডা
প্রতি টি বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব কিছু স্কলারশিপ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় এর
ওয়েব সাইটে গিয়ে দরখাস্ত এর নিয়ম জেনে দরখাস্ত করতে হবে। সময় ও দেওয়া আছে।
USA
Fulbright scholarship
দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর মে-অক্টোবর।(http://www.cies.org/)
——————————————-
Md. Abu Sayed
B.Sc.Ag(Hons) and MS, BAU, Mymensingh
Visiting fellow, Nottingham University, UK
PhD fellow (Monbusho), Iwate University, Japan
&
Assistant Professor
Department of Biochemistry and Molecular Biology
Hajee Mohammad Danesh Science and Technology University, Dinajpur, Bangladesh
E-mail: sayed_bmb@yahoo.com




Share:

সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো, ২ চিকিৎসকের প্রাণ

নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে দুই চিকিৎসকসহ ৩ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
নিহতরা হলেন- জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক স্মৃতি কণা (৩৫), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও হৃদরোগ চিকিৎসক মো. কলিমুল্লাহ (৫০) ও এরিস্টো ফার্মার মাইক্রোবাস চালক মনির (৩৫)।
আহত ৫ জনকে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন- নেত্রকোনার চিকিৎসক বিজন চন্দ্র সাহা (৪০), তার মা অনিমা সাহা (৫৫) ও গৃহকর্মী লাকী বেগম (১৮), জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ (৩৫) এবং কিশোরগঞ্জের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান (৩২)। চিকিৎসকরা প্রাইভেট চেম্বার করতে মাইক্রোবাসে করে ভৈরবে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
ইটাখোলা হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, ৫ জন চিকিৎসক ও তাদের দুই স্বজনকে নিয়ে এরিস্টো ফার্মার একটি মাইক্রোবাসে (হাইয়েস) ঢাকা থেকে ভৈরব যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের কুন্দারপাড়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঢামেকের চিকিৎসক মো. কলিমুল্লাহ (৫০) ও মাইক্রোবাসের চালক মনির হোসেন (৩৫)।
খবর পেয়ে ফায়ার সাভির্সের উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ ৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক স্মৃতি কণা (৩৫)। পরে তিন চিকিৎসকসহ আহত ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Share:

ঐতিহাসিক ২৩ শে জুন , মীরজাফরের হাতে বাংলা হলো খুন ।

ঐতিহাসিক ২৩ শে জুন , মীরজাফরের হাতে বাংলা হলো খুন ।
... আজ পলাশী দিবস,
 ইতিহাসের  এই দিনে মীর জাফর নামক
 বিশ্বাস ঘাতকের  হাতে বাংলার স্বাধীনতা
 ২০০ বছরের জন্য বৃটিশের কাছে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো।

বাংলার নবাব সিরাজ -উদ -দৌলার ,
অধীনস্ত ও বিশ্বস্ত সেনাপতি মীর জাফরের ,
বিশ্বাস ঘাতকতার কথা তো সবারই জানা ।
Share:

ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন এর Pharmacology বই বিভিন্ন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাচ্ছে -


ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন   এর Pharmacology বই  

Rapid Review of  Basic and Systemic Pharmacology . 

বিভিন্ন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাচ্ছে -
দাম ঃ মাত্র -২০০ টাকা ।


Dr.Misbah Uddin
MRCP (UK -P-II )
FCPS ( Medicine - P-II)
MD  Resident DMCH ( Internal Medicine )
MBBS (DU)

Library - Dhaka - Nilkhet

PG Hook House Nilkhet , Dhaka

* Azampur , Uttara

* Genuine Library , Chittagong.


এছাড়া যারা ঘরে বসে বইটি কিনতে চান ,

তাদের কাছে কুরিয়ার সার্ভিস করে পাঠানো হবে ।


* for remote delivery Dial -- 01935-001562.




-------------------------------------



Share:

চিকিৎসকের অবহেলার শস্তি ৫ বছর জেল।



বাংলাদেশে চিকিৎসকের

অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা যাবে। এ বিধান রেখে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা

আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত চিকিৎসককে দণ্ড দিতে পারবেন আদালত। এ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। বর্তমানে এ সংক্রান্ত যে অধ্যাদেশ কার্যকর আছে, সেখানে চিকিৎসককে শাস্তি দেয়ার কোনো বিধান নেই। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফিস বা চার্জ নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্জের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। সেবা বাবদ আদায়কৃত চার্জ বা মূল্য রসিদের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং অনুলিপি সংরক্ষণ করতে হবে। কেউ সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত আদায় করলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া একজন চিকিৎসকের চেম্বার ন্যূনতম দুই কক্ষবিশিষ্ট থাকা বাঞ্ছনীয় বলে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়, সেখানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। অনুমোদিত সার্টিফিকেট কোর্স বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি ছাড়া অন্য কোনো যোগ্যতার বিবরণ ভিজিটিং কার্ডে বা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা যাবে না।

আইনের খসড়া অনুযায়ী, বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন কার্যকর হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সব বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে লাইসেন্স নিতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ছাড়া বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য ও দরিদ্র রোগীদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য ১০ ভাগ শয্যা সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়। এ মুহূর্তে পাঁচ ভাগ শয্যা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জনা গেছে, সম্প্রতি বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইনের একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিএমএ) সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে। এর পরপরই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইনটি কার্যকর হলে রোগীদের জন্য মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও আইনগত অধিকার সুরক্ষিত হবে। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজের অনিয়ম ও অবহেলা দূর হবে। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রোধে আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, সরকারি চিকিৎসকসহ সেবাদানকারী কেউ অফিস সময়ে বেসরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে পারবেন না। এই বিধি লংঘন করলে কমপক্ষে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন দোষী ব্যক্তি।

গত দু’দশকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম (এমআইএস) প্রণীত হেলথ বুলেটিন ২০১৪-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে দেশে বৈধ রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ২ হাজার ৯৮৩টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ৫ হাজার ২২০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা বৈধ সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি। তবে এসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী আইন নেই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বেসরকারি খাতের এতসংখ্যক প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশে উপযুক্ত আইন নেই। বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন প্রণয়নে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও নীতিনির্ধারকদের অনেকের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে- এমন আশংকায় আইনটি অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি।

৩৪ বছরের পুরনো ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশনস) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’-এর অধীনে বর্তমানে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ছোট-বড় হাসপাতালে বিভিন্ন বিশেষায়িত (আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ) চিকিৎসাসেবা ও উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হচ্ছে। এই পুরনো অধ্যাদেশ দিয়ে কোনোভাবেই এসব প্রতিষ্ঠানের মনিটরিং ও সুপারভিশন সম্ভব নয়।

অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিগত এক বছরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেড় শাতাধিক হাসপাতালে জরিমানা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), করনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), এইচডিইউ, এনআইসিইউ, ডায়ালিসিস ইত্যাদি বিভাগের লাইসেন্স নেই। এমনকি ক্লিনিক এবং ল্যাবের লাইসেন্সও মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ ছাড়া হাসপাতাল ফার্মেসিগুলোতে মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল অ্যাপেরাটাসের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন (ডিএআর) এবং প্রেমিসেস লাইসেন্স নেই। এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানে ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স থাকে না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ার শেষ মুহূর্তে ফেরত আসে। এরপর ড. ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আইনটি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের প্রথম দফার শাসনামলে আইনটি খসড়া প্রণীত হয়। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারই চলছে ‘ফ্রি স্টাইলে’। এগুলোর অধিকাংশরই মালিকানার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক নেতারা জড়িত। ফলে আইন প্রণয়ন বিভিন্ন সময় বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে শয্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই পরিদর্শন করা হয় না। ফলে সাধারণ রোগীদের অহেতুক গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিভিন্নভাবে ‘ম্যানেজ’ করে নির্বিঘেœ যাবতীয় অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে অধিকাংশ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রোগী ও ডাক্তার উভয়ের নিরাপত্তায় একটি যুগোপযোগী আইন প্রয়োজন। আইন অপরাধ প্রশমন করে। তবে অবশ্যই রোগী ও চিকিৎসকবান্ধব হতে হবে।

সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন প্রণয়নে বিভিন্ন সরকারের আমলে উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। খসড়া আইনটি প্রণীত হলেও বহু মাস ধরে তা মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। তবে এ মাসে যদি এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় তবে ভালো কথা। খসড়া আইনের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদান না করলেও মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের বিষয়টি তিনি আরও সুনির্দিষ্ট করার প্রয়োজন বলে মনে করেন। কারণ কনসালটেন্ট ফিস, অপারেশন চার্জ, অ্যানেসথেশিয়া চার্জ ইত্যাদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।

- তথ্যসূত্র - যুগান্তর
Share:

প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে অবশ করে ভ্যারিকোস ভেইন অপারেশন!...

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে অবশ করে ভ্যারিকোস ভেইন বা আঁকা-বাকা শিরার চিকিৎসা করা হয়েছে। অজ্ঞান না করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ অবশ করে এ চিকিৎসা করা হয়।
রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুরে আল মানার হাসপাতালে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. এসএমজি সাকলায়েন রাসেল। তার সহকারী ছিলেন ভাসকুলার সার্জন ডা. রকিবুল হাসান অপু।
রোগীর ডান পায়ের কিছু শিরা বেশ কয়েক বছর ধরে ফুলে গিয়ে আঁকা-বাকা হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যাকে চিকিৎসকরা ভ্যারিকোস ভেইন বলে থাকেন। অতীতে কোমর থেকে অবশ করে এ অপারেশন করা হতো। কিন্তু এই প্রথম বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো রোগীর সম্পূর্ণ অপারেশন লোকাল অ্যানেসথেশিয়া বা স্থানীয়ভাবে অবশ করে করা হল।
রোগীর হার্টের সমস্যা ও অ্যাজমার সমস্যা থাকায় স্থানীয়ভাবে অবশ করে অপারেশন করা হয়েছে। এতে প্রচলিত অপারেশন পদ্ধতির পাশাপাশি ইনজেকশন থেরাপিরও ব্যবস্থা করা হয়।
ডা. সাকলায়েন জানান, রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পরেই ঢাকা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে তার নিজ জেলায় চলে গেছেন।
বাংলাদেশে প্রথম কোনো ধরনের কাটা-ছেড়া ছাড়াই সর্বাধুনিক লেজার ভ্যারিকোস ভেইন অপারেশন শুরু করেন ডা. সাকলায়েন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১২০ জন রোগী এ ধরনের চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ আছেন।
তিনি জানান, আগে পুরো পায়ের বিভিন্ন জায়গায় কেটে এ অপারেশন করা হতো। তবে, স্থানীয়ভাবে অবশ করে অপারেশনের সময় রোগীর ঝুঁকি কমাতে একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্টকে সার্বক্ষণিক উপস্থিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
Share:

যে ৫১ টি ঔষুধ নিষিদ্ধ করেছে, প্রশাসন

ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বেশ কয়েকটি কোম্পানির উৎপাদিত ৫১টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। জনগণকে এসব ওষুধ না কেনার অনুরোধ করা হয়েছে।ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের খ্যাতিসম্পন্ন ওষুধ কোম্পানিসহ বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানির ৫১টি ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে। রেনাটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, অপসোনিন, দ্য ইবনে সিনাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির উৎপাদিত ৫১টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে।


প্যারাসিটামল, পায়োগ্লিটাজন ও রসিগ্লিটাজন গ্রুপের বাতিলকৃত ৫১টি ওষুধসমূহের উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, বিতরণ, মজুদ এবং প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনসাধারণকে এসব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও লাইসেন্সিং অথরিটি (ড্রাগস) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধসমুহ হলো 
রেনাটা লিমিটেড, মিরপুর ও রাজেন্দ্রপুরের প্যারাডট ট্যাবলেট, মিরপুরের পায়োগ্লিন ৩০ ট্যাবলেট
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস: এইস সফট ট্যাবলেট, টস-৩০ ট্যাবলেট, টস-৪৫ ট্যাবলেট, সেনসুলিন ২ ট্যাবলেট
বেক্সিমকো ফার্মা: নাপাসফট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৩০ ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৪৫ ট্যাবলেট
ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল: ফিভিমেট ট্যাবলেট, পায়োজেনা ৩০ ট্যাবলেট, রোমেরল ২ ট্যাবলেট, রোমেরল ৪ ট্যাবলেট
দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ: ফাস্ট-এম ট্যাবলেট।


আরও রয়েছে:

বায়োফার্মা: এসিটা সফট ট্যাবলেট, প্রিগলিট-৩০ ট্যাবলেট
অপসো স্যালাইনের জিসেট ট্যাবলেট
অপসোনিন ফার্মা: রেনোমেট ট্যাবলেট, পাইলো ৩০ ট্যাবলেট
এসকেএফ: টেমিপ্রো ট্যাবলেট
ইউনিমেড এন্ড ইউনিহেলথ: একটোস ৩০ ট্যাবলেট
এসিআই লিমিটেড: ডায়াট্যাগ ৪৫ ট্যাবলেট
জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস: রসিগ্লিট ২ ট্যাবলেট, রসিগ্লিট ৪ ট্যাবলেট
এরিস্টোফার্মা: গ্লুকোরস ২ ট্যাবলেট, গ্লুকোরস ৪ ট্যাবলেট, গ্লুকোজন ৩০ ট্যাবলেট


ডেল্টা ফার্মা: রসিট-৪ ট্যাবলেট
মিল্লাত ফার্মা: পায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস: পায়োডার ৩০ ট্যাবলেট
কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস: ওগলি ৩০ ট্যাবলেট, ট্যাজন -৪ ট্যাবলেট
ডক্টরস কেমিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড: পায়োজন ৩০ ট্যাবলেট
অ্যালকো ফার্মা: পায়োলিট ৩০ ট্যাবলেট।
দ্য হোয়াইট হর্স ফার্মা: লিট-৩০ ট্যাবলেট
আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস: পিজোবেট ৩০ ট্যাবলেট
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস: ডায়াটাস ৩০ ট্যাবলেট
শরীফ ফার্মাসিউটিক্যালস: প্যারামিন ট্যাবলেট, পিগজন ৩০ ট্যাবলেট
সোমাটেক ফার্মাসিউটিক্যালস: একটেল-এম ট্যাবলেট
লিওন ফার্মাসিউটিক্যালস: মেটেস ট্যাবলেট

জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস: পামিক্স এম ট্যাবলেট
নোভেল্টা বেস্টওয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস: নরসফট ট্যাবলেট
প্যাসিফিক ফার্মাসিউটিক্যালস: পিগ্লিট ৩০ ট্যাবলেট, রগ্লিট ৪ ট্যাবলেট
মেডিমেট ফার্মা লিমিটেড: ডায়াপায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট।



উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় এসব ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে এসব ওষুধ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বাজার হতে প্রত্যাহার করে তার পরিমাণসহ অধিদপ্তরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বাতিলকৃত ওষুধসমূহের উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয়, বিতরণ, মজুদ এবং প্রদর্শন সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।






Share:

আর্কাইভ

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল