Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

আমেরিকায় মেডিকেল সাইন্সে উচ্চশিক্ষা



বুয়েটের ছেলেরা এত সহজে কীভাবে ইউরোপ আমেরিকাতে যায়? সমসাময়িক বুয়েটের বন্ধুদের খোঁজ নিলে দেখা যাবে – তাদের অধিকাংশই এখন দেশের বাইরে। ডাক্তাররা কী যেতে পারেনা?????

চলুন উত্তর খুঁজি। এমবিবিএস কোর্স শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ইন্টার্ন শেষ করার পর আমাদের জীবনটা আরও দুর্বিষহ হয়ে যায়। চার বছরের অনাহারি (অবৈতিনিক) প্রশিক্ষণ। এদিকে বাসায় সংসারের ঘানি টানতে টানতে খাবি খাওয়া বৃদ্ধ পিতা বা স্বল্প বেতনের চাকরি করা অসহায় বড়ভাই-বা সদ্য বিয়ে করা নববধূর সামান্য চাহিদা নিয়ে আপনার আমার প্রতি চেয়ে থাকা অসহায় মুখ। ওহ, কী যাতনা, যে এই কষ্ট পায়নি, সে কখনোই ফিল করতে পারবেনা অনাহারি জীবনের কষ্ট।

এখন আবেগের কথা বাদ দিয়ে একটু কাজের কথায় আসি। বুয়েটের অধিকাংশরাই যখন বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া আর সানফ্রানসিসকোতে একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছন্দ জীবন পার করেছে – সেসময় তারই ক্লাসমেট বা একাডেমিক প্রতিবেশী ডিএমসি র বন্ধুটি হয়ত রাত তিনটার সময় কোন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে অজপাড়াগাঁয়ের কোন সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সিপিআর দিচ্ছে।

কেন, তাদের কি পথ খোলা নেই, তারা কী বাইরে যেতে পারেনা????

অবশ্যই পারে। চাইলে ইঞ্জিনিয়ারদের মত ডাক্তারেরা চাইলে দলে দলে আমেরিকা যেতে পারে।

কীভাবে???????
ইউএসএমএলই?

ইউএসএমএলই তে চান্স পাওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন স্টুডেন্টসের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক। কিন্তু একটা কারণেই তারা যেতে পারেনা – এবং সে কারনটা অর্থনৈতিক।

ইউএসএমএলই – র সবগুলো পার্ট পাশ করে রেসিডেন্সি তে ঢোকা পর্যন্ত খরচ মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার। (আট থেকে ১২-১৩ লাখ) এত বড় অংকের টাকা খরচ করা আমাদের গরীব দেশের গরীব জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

তবে হ্যাঁ – একটা পথ খোলা আছে। কেউ যদি এদেশ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে ডিটারমাইন্ড হয় – সেক্ষেত্রে তার জন্য পথ সর্বদা খোলা।

সবচেয়ে কমন পথ হচ্ছে ক্লিনিক্যাল লাইন থেকে রিসার্চ লাইনে চলে যাওয়া। আর কেউ যদি দুই বছর মাস্টার্স করে ইউএসএমএলই করতে চায়, তার জন্য ক্লিনিক্যাল পথ তো খোলাই আছে।

কীভাবে রিসার্চ লাইনে যাওয়া যায়?

আপনি প্রায়ই শুনে থাকেন – বুয়েটের আপনার অমুক বন্ধুটি ওয়াশিংটনে, তমুক নিউ জার্সিতে…………

বুয়েটের পোলাপাইন কীভাবে এত দ্রুত আমেরিকা চলে যায়?????

তারা কী আমার আপনার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী????

মোটেই নয়।

তাহলে?????

আমেরিকাতে আমাদের দেশ থেকে যে সব বুয়েটিয়ান যায় – তারা হয় মাস্টার্স অথবা পিএইচডি-র জন্য যায়। অনেকেই আবার এমবিএ ও করে।

আমেরিকাতে মাস্টার্স করার চেয়ে পিএইচডি করাটা আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। কারণ মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া দুঃসাধ্য, পিএইচডি তে তুলনামূলক ভাবে সহজ। কেন আমেরিকার লোকাল স্টুডেন্টসরা পোস্ট গ্রেজুয়েশনের ব্যাপারে পিএইচডির চেয়ে মাস্টার্স করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে?

এর কারণ অনেক গুলো।

প্রথমত – দীর্ঘসূত্রিতাঃ

মাস্টার্সে সময় লাগে মাত্র দেড় থেকে দুই বছর, পিএইচডি তে পাঁচ থেকে সাত বছর

দ্বিতীয়ত – পিএইচডির স্বল্প (তুলনামূলক) চাহিদা/ মাস্টার্সের চেয়ে অতিরিক্ত সুবিধা না থাকাঃ

পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন অভিজ্ঞতাবিহীন পিএইচডি হোল্ডারের চেয়ে মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞদের বেশি বিবেচনা করে চাকরির জন্য। কারন যেসব ছেলেরা মাস্টার্স করে চাকরিতে ঢুকে ৩ বছর চাকরি করে তারা তাদের কোম্পানিতে/কর্মস্থলে একটা জব এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করে, একজন নবাগত পিএইচডির যদিও মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞতার সমমান, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে নির্দিষ্ট কাজের জন্য উক্ত পিএইচডি ধারীর সেই অভিজ্ঞতা থাকেনা, তাই অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চাকরিতে পিএইচডিদের চেয়ে মাস্টার্সদের প্রায়োরিটি দেয়।

তৃতীয়ত – স্বল্প আর্থিক সুবিধাঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পাশ করা স্টুডেন্টসরা সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাসিক চার থেকে ছয় হাজার ডলার করে বেতন পায়। অন্য দিকে পিএইচডির জন্য ফান্ড দেওয়া হয় মাসে দেড় থেকে সর্বোচ্চ আড়াই বা তিন হাজার ডলার। তাই চার থেকে ছয় হাজার ডলারের চাকরি ছেড়ে দুই হাজার টাকা ফান্ডিং এর পিএইচডি তাদের কাছে খুব বেশি কাঙ্ক্ষিত নয়। পিএইচডি করলেও সেটা তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করে। পার্ট টাইম পিএইচডি – তে কোন ফান্ডিং পাওয়া যায়না বটে, তবে আবার কোন টিউশন ফি ও দেওয়া লাগেনা। মার্কিন স্টুডেন্টরা এইভাবেই প্রফেসর/প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। নো ফান্ড বাট পার্ট টাইম পিএইচডি। এভাবে তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করায় ফুল টাইমার পিএইচডি গবেষকদের অধিকাংশ ই থার্ড ওয়ার্ল্ডের গরীব দেশগুলো থেকে রিক্রুট করতে হয়।

লোকাল স্টুডেন্টরা ফুল টাইম পিএইচডি করেনা কেন?
পিএইচডি কোর্স ৫ বছর। ফাণ্ডিং মাত্র ২০০০ ডলার/মাস। অন্যদিকে ব্যাচেলর/মাস্টার্সরা ইজিলি চার থেকে ছয় হাজার ডলার বেতন পায়। সুতরাং ব্যাচেলর/মাস্টার্স করে চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম পিএইচডি করে নেওয়াটাই তাদের জন্য সুবিধাজনক।

মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য মেডিকেল রিলেটেড সাবজেক্টসমূহ
• Medicine
• Ophthalmology
• Pharmacology
• Physiology
• Physiotherapy
• Psychology
• Public Health
• Speech-Language Pathology & Audiology
• Epidemiology
• Rehabilitation/Therapeutic Services
• Biochemistry
• Biomedical sciences
• Biophysics
• Biotechnology
• Bacteriology
• Anatomy
• Biometrics & Biostatistics
• Cell/Cellular Biology and Histology
• Developmental biology/Embryology
• Endocrinology
• Entomology
• Immunology
• Molecular Biology
• Microbiology
• Neuroscience
• Nutrition science
• Toxicology
• Genetics
• Pathology
• Pharmacology
• Physiology

এছাড়া ও রয়েছে
• Complementary Health
• Counseling
• Dentistry
• Health Studies
• Health and Safety
• Midwifery
• Nutrition and Health
• Environmental Health
• Environmental toxicology
• Health Systems/Service Administration
• Kinesiology/Exercise science
• Nursing sciences
• Pharmacy
• Physician Assistant
• Health Sciences, General
• Health Sciences, Other
• Entomology
• Parasitology
• Biology/Biological sciences
• Biology/Biomedical sciences

কী করবেন? কিসে পড়বেন মাস্টার্স না পিএইচডি?

এবারে দেখা যাক, মাস্টার্স আর পিএইচডির মধ্যে সুবিধা অসুবিধা কেমন।

সময় : মাস্টার্সে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর। আর পিএইচডিতে ৫ থেকে ৭ বছর।

পরিশ্রম : অন্তত এটুকু বলা যায় – আমাদের ডাক্তারেরা; যারা চাকরি, ট্রেনিং আর পোস্ট গ্রেড পড়াশুনার মত তিনটা কঠিন কাজ প্রায় একই সাথে করতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এই পরিশ্রম খুব বেশি হওয়ার কথা না। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের পরিশ্রমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। মাস্টার্সের কোর্স রিকয়ারমেন্ট পিএইচডির প্রায় অর্ধেক, আর থিসিসের পার্থক্যও বিশাল। মাস্টার্সের থিসিস প্রায় ক্ষেত্রেই একটি মাত্র প্রজেক্ট নির্ভর, যেখানে পিএইচডি থিসিসে একাধিক রিসার্চ পেপারের কাজ নিয়ে বেশ বড় আকারের কাজ করতে হয়। যেখানে এক সেমিস্টার খেটেই এক্সপেরিমেন্ট সহ মাস্টার্স থিসিস অনেকে লিখে ফেলে, সেখানে পিএইচডির গবেষণা শেষ হবার পরে থিসিস লিখতেই অনেকের এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়।

চাকুরির সুযোগ : একাডেমিক ও রিসার্চ লাইনের জন্য পিএইচডি অপরিহার্য। কাজেই আপনার লক্ষ্য যদি হয় একাডেমিক বা রিসার্চ লাইনে থাকা, সেক্ষেত্রে পিএইচডি করতেই হবে। আর আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোনো মার্কিন কোম্পানিতে চাকুরি পাওয়া, তাহলে তার জন্য মাস্টার্স করাই যথেষ্ট। অধিকাংশ চাকুরির জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি হলেই চলে। আর ২ বছর পড়েই চাকুরির বাজারে ঢুকতে পারছেন, যা বড় একটা সুবিধা।

তবে অনেক চাকুরিতেই পিএইচডি থাকাটা কোনো অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে ধরা হয় না। চাকুরির বাজারের অনেক জায়গাতেই পিএইচডি বা মাস্টার্সের কোনো পার্থক্য নেই। আগেই বলা হয়ছে পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়।

সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয় ফান্ডিং : মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ড পাওয়াটা বেশ কঠিন। অন্তত প্রথম সেমিস্টারে ফান্ড পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হবে, যা আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম জুনিয়র ডাক্তারদের নাগালের বাইরের পর্যায়ে। স্টেইট ইউনিভার্সিটিগুলোতে টিউশন কম।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেই ফি এর পরিমাণ বেড়ে যাবে অনেকখানি। মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারের ফি প্রায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার ডলার। মাস্টার্সে প্রথম সেমিস্টারে ভালো কাজ দেখিয়ে প্রফেসরের কাছ থেকে রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশিপ যোগাড় করতে পারলে টিউশন মাফ হতে পারে, আর বেতনও পাওয়া যেতে পারে।

পক্ষান্তরে, পিএইচডিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফান্ড দেয়া হয়, টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশীপ বা ফেলোশীপের মাধ্যমে। এর সাথে টিউশন ফি ও মাফ করা হয়। যা বেতন দেয়া হয়, তা খুব বেশি না হলেও মোটামুটি বেশ ভালই থাকা যায়।

মাস্টার্সে ফান্ড দেয়া কম হয় বলে ভর্তির কড়াকড়িও কম, অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ। পক্ষান্তরে পিএইচডির অ্যাডমিশন পাওয়াটা কঠিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই কয়েকশ মাস্টার্স ছাত্র থাকে, কিন্তু পিএইচডি ছাত্র নেয়া হয় জনা দশেক/বিশেক প্রতি বছরে।

সব বিচার করে বেছে নিন, পিএইচডি নাকি মাস্টার্স, কোনটিতে আবেদন করবেন। একটি বেছে নিলে অন্যটাতে যেতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। দরকার হলে প্রোগ্রাম পাল্টানো যায়, তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।

কাজে নেমে পড়েন এখন থেকেই।

Prerequisites:
1. Machine Readable Passport

2. Birth Certificate in English

3. National ID and/Certificate from union chairman/councilor

4. Academic Certificates and Transcripts converted in GPA system.

5. GRE, TOEFL or IELTS score

6. Well & nicely prepared CV

7. Letter of intent (কেন আপনি ওই কোর্সটি করতে চান – সেটির সুন্দর, যুক্তিসঙ্গত এবং আকর্ষণীয় বিবরণ থাকতে হবে এখানে)

8. Letter of recommendation/experience

(Very important; suppose you want to do a research work/PhD in immunology, you were a lecturer of microbiology & immunology in a medical college with well arranged lab. You can show this experience in your letter of recommendation)

9. Police Clearance

যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইন ছেড়ে রিসার্চ লাইনে যেতে চাচ্ছেন, অথবা অন্তত ছাংবাদিক আর রাজনীতিবিদদের শ্বাসরুদ্ধকর জ্বালা যন্ত্রণায় এদেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই লেখাটি লেখা।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেইনা, পাঁচ বছর এমবিবিএস কোর্স শেষে ইন্টার্নশীপে ডাক্তারদের বেতন দেওয়া হয় মাত্র দশ হাজার টাকা।

এফসিপিএস বা এমডি/এমএস এর চার পাঁচ বছর কোর্স চলাকালীন হাসপাতালে কাজ করার সময় ডাক্তারদের মাসিক বেতন শুন্য টাকা।

বিসিএস স্বাস্থ্য দিয়ে সহকারী সার্জন পদে ডাক্তারদের মাসিক বেতন মাত্র সতের হাজার টাকা।

ডাক্তারেরা এদেশের সবচেয়ে মেধাবী সন্তান, সে ব্যাপারে দ্বিমত কম। তারা দেশপ্রেমের জন্য হোক, আর পরিস্থিতির শিকার হয়ে হোক, দেশের কাছ থেকে এবং দেশের জনগণের কাছ থেকে টাকা পয়সা কম নিতে প্রস্তুত, এবং এটাকে তারা তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে।

কেন জানেন?

ওই যে ডাক্তারি পেশায় সম্মান!

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সম্মান ও মর্যাদা শেষ হয়ে গিয়ে এখন নিরাপত্তা টুকু ও নেই।

হ্যাঁ সম্মান আছে বটে, সেটা পোস্ট গ্রেড হওয়ার আরও কয়েক বছর পর ভাল প্র্যাকটিস হলে তারপর। এর আগ পর্যন্ত আমি আপনি এমবিবিএস দিয়ে কেবল রেফারেল নলেজ অর্জন করি।

মানে কী বুঝলেন???

এমবিবিএস করে আপনাকে আপনার পরিচিত বা আত্মীয় – স্বজন জিজ্ঞেস করবে, আমার তো হালকার উপর ঝাপসা মাথাব্যাথা; তো এখন বল তো কোন ডাক্তারের কাছে গেলে ভাল হয়?

বা একটু বেশি জানাশোনা পাবলিক হলে বলবে – বল তো কোন নিউরোলোজিস্ট এর কাছে যাওয়া যায়???

তার মানে কী??

আপনি ছয় বছর পড়াশুনা করে রেফারেল নলেজ অর্জন করলেন মাত্র, তাও রোগী না দেখে!

Referral System আর জিপি লেভেলের ডাক্তার সিস্টেম না থাকায় আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে চিন্তা করেছেন?

সেই ক্লাস এইটের কথাটাই মনে পড়ে।

সকল প্রফেসর/সিনিয়র কনসালটেনটই জিপি, তবে সকল জিপি কনসালটেনট নয়।

বিসিএস এ গ্রামে যাবেন! বেতন মাসে মাত্র ১৭,৩০০ টাকা, যেখানে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে জয়েনিং বেতন ই ৬০ – ৭০ হাজার টাকা। এরপর ও এই ডাক্তারেরা বেতন বৃদ্ধির দাবীতে কখনো ধর্মঘট করেছে – এই রকম অভিযোগ সাংবাদিকেরা ও কখনো করেনি।

তাহলে আমরা কী চাই???

মেধাবী হিসেবে তারা শুধু জাতির কাছ থেকে একটু সম্মান আর নিরাপত্তা চায়। আমাদের জাতির কিছু অশিক্ষিত সাংবাদিক আর জাতির কিছু উশৃঙ্খল মানুষ নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তারদের এতটুকু সম্মান ও দিতে রাজী নয়।

তাহলে আমরা যারা নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তার, আমরা কী করব??

আর্থিক ভাবে ও যদি আমরা ভাল না থাকি, আর মানুষের কাছ থেকে ন্যায্য সম্মান ও যদি না পাই, বরং সাজিয়া আপু আর মুরাদ ভাইদের মত নৃশংসভাবে যদি খুন হতে হয়, তাহলে কোন মায়ায় আমরা এ দেশে পড়ে থাকব??

আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা গণহারে বিদেশমুখি হলেও এখনো আমাদের ডাক্তারেরা দেশমুখি। বিদেশে যাওয়ার trendsটা ইদানীং শুরু হয়েছে মূলত কিছু ডিএমসি – র স্টুডেন্টস দের মধ্যে। অন্যান্য মেডিকেল থেকে বিদেশে যাওয়ার trends অনেক অনেক কম। যে হারে ডাক্তারদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, আগামীতে এদেশের মেধাবী ডাক্তারেরা দলে দলে বিদেশমুখি হতে খুব বেশি দেরী নেই।

যারা এই ধরনের চিন্তা অলরেডি করছেন, অথবা যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইনের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করার মত হিম্মত রাখেন তাদেরকে শুভকামনা।

সংগ্রহ, সাইফ তুহিন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ

[সূত্র : সেইভ দ্যা ডক্টরস]












---------------------------------------


ডাক্তার বন্ধুদের  জন্য  সুখবর !!

ভূয়া নয়, 100% সত্যি ! প্রমাণ দেখুন !



রেজিষ্টার্ড ডাক্তারদের জন্য এফ সি হেলথ দিচ্ছে রিওয়ার্ড বোনাস !!
 যারা আমার ব্লগ থেকে সাইন আপ করবেন ।

           তাদের কুপন কোড হলো  CTG1000

 আমি পেয়েছি  Reward Bonus 
আমার এখান থেকে যারা সাইন আপ করেছে , তারা সবাই  বোনাস পেয়েছে,
আমার রেফারেন্সে করে থাকলে REWARD
 পাবেন  ১০০% নিশ্চিত থাকেন !
 না পেলে আমাকে ইনবক্স করবেন ।



                         Proof date 23May17 
 Sign Up

( কোনো Registration চার্জ নেই  )

দাতব্য প্রতিষ্ঠানের চ্যারিটেবল ফান্ড  ও  কোম্পানির প্রচারের জন্য  এ বোনাস দেয়া হচ্ছে !


দেরি না করে রেজিস্ট্রেশন করুন


কেবল রেজিষ্টার্ড ডাক্তারদের রিওয়ার্ড দিচ্ছে!


Sign Up  করার সাথে সাথে মোবাইল নাম্বারে

এ রকম একটি মেসেজ আসবে!

Registration successfull. We shall contact 

you soon to verify your account. Thank you.

 এবং, ২৪ ঘন্টার মধ্যে AFC প্রতিনিধি 

কল করে আপনার একাউন্ট 

ভেরিফাই করে দিবে

মেসেজ আসবে,

 Dear sir, your account has been Successfully   
 Verified ,Now you can use all of our Smart 

Physycian features. Thank you.

তারপর, Smart Physician  এ গিয়ে Analytics 

 অপশনে  Apply Coupon এ কোড  লিখুন ।

 এরকম মেসেজ আসবে..

  
Congratulations,
You haveSuccessfully Received 

BDT. ....... as Smart Physician Opening Offer. 

Thank you. 


যারা আমার ব্লগ থেকে সাইন আপ করেছেন 


           তাদের কুপন কোড হলো  CTG1000




 FreeSign Up Link  



নির্দেশনা মেনে BMDC Registration No ও 

ইচ্ছেমত পাসওয়ার্ড Sign Up  সম্পন্ন  করুন 

 sign Up link

                               Free Sign Up Link



সম্পূর্ণ  রিওয়ার্ড বোনাস AFC Health  প্রতিনিধি রেজিষ্টার্ডভুক্ত 

চিকিতসকের হাতে পৌছে দিবেন ,

অথবা কেউ চাইলে ফ্রি হোম ডেলিভারী 

সুবিধাওসহ অনলাইন থেকে ঔষুধ

 ও কনজুম্যার পন্য ক্রয় করতে পারবেন !

এছাড়াও SMART PHYSICIAN এর মাধ্যমে

বাংলাদেশে প্রাপ্ত সকল ঔষুধের বিবরণি জানতে পারবেন।


আপনি চাইলে রিওয়ার্ড বোনাস , গরীব দুঃখীদের সাহায্যার্তে ,

বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক সংস্থায় ডোনেট করতে পারেন।

 যেমন, এক টাকায় আহার- Bidyanondo , Action Aid Bangladesh, 

Jaago Foundation , Center for zakat , Anzuman Mofidul Islam 



কিভাবে ডোনেট করবেন ?

 স্মার্ট ফিজিশিয়ানের Analytics  যাবেন তারপর Donate Reward Option এ ক্লিক করলে কিছু  সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের নাম আসবে, 
যেখানে ডোনেট করতে চান , 
তা সিলেক্ট করে টাকার পরিমান দিয়ে দিবেন ।

আর রিওয়ার্ড নিজে পেতে চাইলে Others অপশন সিলেক্ট করুন ।


 Register

                                                      
                     Freeরেজিষ্ট্রেশন লিংক
     


 Smart Physician
                         



কোড জানা না থাকলে ইনবক্স করুন।

যারা আমার ব্লগ থেকে সাইন আপ করেছেন তাদের কুপন কোড হলো  CTG1000


                            Consumer Product Order Proof

                   

     
                            কোনো সমস্যা হলে  ইনবক্স করুন।



বিস্তারিত....








যারা সাইন আপ করেছেন   তারা


মোবাইল নাম্বার ও Password দিয়ে সাইন ইন করুন !

                                         
                                          APP

আপনার চেম্বার এ্যাড্রেস  আপডেট করে দিবেন ।
       
  ডাক্তার বন্ধুদের SMART PHYSICIAN   

এখান থেকে নির্দেশনা মেনে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন  করতে  বলুন  ।


যারা আমার ব্লগ থেকে সাইন আপ করবেন ।

           তাদের কুপন কোড হলো  CTG1000



Share:

অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে নতুন আশার আলো- ওনিভাইড ইনজেকশন,


মারাত্মক প্যানক্রিস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো বয়ে এনেছে ওনিভাইড নামের নতুন একটি ইনজেকশন।

জটিল অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এই ওষুধকে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দি ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

ওনিভাইডকে (ইরিনোটেকান লিপোসোম ইনজেকশন) ফ্লুরোরেসিল এবং লিউকোভোরিন নামের অপর দুটি ওষুধের সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তবে কেমোথেরাপি নেয়ার পরও যেসব অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি শুধু সেসব রোগীর ক্ষেত্রেই ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইনজেকশনটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে কমপক্ষে চারশ’ রোগীর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেমোথেরাপি দেয়া হলেও এসব রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগীর শরীরে ওনিভাইড ইনজেকশনটি ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন এর সঙ্গে দেয়া হয়েছে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৬.১ মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে যাদের ক্ষেত্রে শুধু ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন ব্যবহার করা হয়েছে তাদের আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে ৪.২ মাস। তবে শুধু ওনিভাইড ব্যবহারে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। 

ওনিভাইড অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে তাদের বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করে দেয়। তবে ওনিভাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমি, মাথা ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর প্রভৃতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে রোগীদের শরীরে। 

ওষুধটিকে বাজারজাত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের মেরিম্যাক ফার্মাসিউট্যাকালস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪৯ হাজার জন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়।  আর এ রোগে বছরে মারা যায় ৪০ হাজারের ওপর মার্কিনী।

সাধারণত রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারকে শনাক্ত করা কঠিন এবং এর চিকিৎসাও অত্যন্ত জটিল।
Share:

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক. 
ঢাকার অভিজাত এলাকায় হোটেল রেডিসন এর ঠিক উল্টো দিকে অার্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে চকচকে এক বিশাল ভবন। এখানে মাত্র ১০ টাকায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

হাসপাতালটির নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু এ হাসপাতালটিতে রোগী আসেনা তেমন কারন এর যথাযথ প্রচারের অভাব । এখানে মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। ১৫ টাকায় মেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ঔষধপত্র সব ফ্রি। এছাড়া কম খরচে আছে বিভিন্ন টেষ্ট এবং অপারেশন এর সুবিধা। আমাদের চারপাশে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ আছে তাদের কাছে এ হাসপাতালটির তথ্য পৌছে দিতে পারলে তারা উপকৃত হবে, চিকিৎসার অভাবে অসহায় গরীব মানুষ গুলো হয়ত আলোর মুখ দেখবে।







Share:

ডাক্তারের ফি নেই, নেই ওষুধের দাম..


বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে চান? মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে যান। রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে বিনামূল্যে শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আহসান হাবিব ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা: নাজিয়া আফরিন।

শুধু চিকিৎসা সেবাই নয়, দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়ে থাকে মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে। মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু এবং এই দাতব্য চিকিৎসালয়ের আহবায়ক জাহিদ ইকবাল বাবলা মিলে কাজটি করেন খুবই স্বচ্ছন্দে।

প্রতি শনিবারে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব সেবা পেয়ে থাকেন নানান প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা। ফলে ভীড়টাও হয় বেশি।

মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু তাদের এই কর্মকাল্ডকে সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবেই উল্লেখ করেন। বলেন, আই ক্যাম্প, স্বাস্থ্য ক্যাম্পসহ স্বাস্থ্যসেবার আরো বেশ কিছু কাজ হাতে রয়েছে। সবার সার্বিক সহযোগিতা পেলে দুঃস্থ ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশনের ব্যবস্থা করবো।

রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় মুক্তি সংঘ। স্বাধীনতার পর এই অঞ্চলের খেলাধুলার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে এই ক্লাব। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে চালু হয় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়.
Share:

এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!


এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!
 সেই সাথে বিচার চাই সেই সব অমানুষদের যারা প্রানবন্ত মানুষটার ওপর নৃশংসতা চালালো!!!

চট্টগ্রাম মেডিকেলের খ্যাতিমান চিকিৎসক ডাঃতারেক শামসকে এভাবেই কুপিয়ে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ তদন্ত করছে।স্যারেরঅবস্থা আগের চাইতে কিছুটা ভাল।সবাই দোয়া করুন।
(শেয়ার করুন)








Share:

বাইক প্রতিযোগিতা কেড়ে নিলো চার তরুণের তাজা প্রাণ ...।


বাইক রেইসে নিহতদের
নাম- ঠিকানা পাওয়া গেছে।
এদের বাড়ী
চট্রগ্রামের অন্তর্গত লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখচড়ি গ্রামের হাঁচির পাড়ায়।

আব্দুল মালেকের পুত্র মুহাম্মদ তানজিব (১৬) হাঁচি মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ শাকিল (১৬),, মুহাম্মদ আলী সওদাগরের পুত্র মুহাম্মদ শোয়াইব (১৬) আমিরাবাদ রাজঘাটার আমির খান চৌধুরি পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র আকতার হোসেন(১৮)।
Share:

উকিলদের ফি ৫০ হাজার হলে ডাক্তারদের ৫০০ নয় কেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, যে রোগী একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে ৫০০ টাকা দিতে চান না, তিনি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে উকিলের কাছে যান। আইনজীবীকে ফি দিতে গিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করেন না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন। আ ফ ম রুহুল হকের কাছে প্রশ্ন ছিল, ব্যক্তিগত রোগী দেখার ক্ষেত্রে চিকিত্সকদের জন্য ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে কি না? উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক হিসেবে একটা কথা বলতে চাই। বড় বড় আইনজীবীদের সামনে তো ৫০ হাজারের আগে দাঁড়াতে পারবেন না। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে ৫০০ টাকা দিতে সমস্যা হয়। যে রোগী এই টাকা ফি দিতে চান না, তিনিই আবার উকিলের কাছে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ করেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, দরিদ্রদের জন্য সরকারি হাসপাতাল আছে। সেখানে বিনা মূল্যে চিকিত্সার ব্যবস্থা আছে। যাঁর খরচ করতে অসুবিধা, তিনি সরকারি হাসপাতালে যেতে পারেন।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আ ফ ম রুহুল হক গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের বিবরণ দেন। তিনি বলেন, সফলভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালাতে পারা তাঁর সবচেয়ে বড় সফলতা। কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর আগে উন্নয়ন সহযোগী এমনকি বিশ্বব্যাংকও সরকারকে বুঝিয়েছিল, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো চলছে এবং প্রায় ১৮ কোটি রোগী সেবা পেয়েছে। ব্যর্থতার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হতদরিদ্রদের জন্য তিনি স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে চেয়েছিলেন। ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও বিশ্বের বেশ কিছু দেশে স্বাস্থ্যবিমা চালু আছে। এ ব্যবস্থায় হতদরিদ্র রোগীদের একটি ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয় এবং সেই কার্ড দেখিয়ে রোগীরা যেকোনো হাসপাতাল থেকে সেবা পেতে পারেন।


আরও চিকিত্সককে পদোন্নতি দেওয়া হবে
চিকিত্সকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চিকিত্সকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রভাব ছিল কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সাংবাদিকেরা আরও জানতে চান, শর্ত শিথিল করে কোনো কোনো চিকিত্সককে যে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে সেটা কতটা যৌক্তিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রমার্জনা’য় পদোন্নতি দেওয়া ঠিক ছিল। চিকিত্সকদের পদোন্নতি আটকে ছিল বহু দিন, সে কারণেই প্রমার্জনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘রাষ্ট্রপতির প্রমার্জনায় পদোন্নতি পেলেন চিকিত্সক নেতারা’ শিরোনামে গত ২ এপ্রিল ‘প্রথম আলো’য় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাচিপের প্রভাবশালী ডজন খানেক নেতা শর্ত পূরণ না করেও রাষ্ট্রপতির প্রমার্জনায় পদোন্নতি পেয়েছেন। এ তালিকায় এমন ব্যক্তিও ছিলেন, যিনি এক দিনও ছাত্র না পড়িয়ে সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন। আজ সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আরও চিকিত্সককে পদোন্নতি দেওয়া হবে দু-একদিনের ভেতরে।
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটা থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিতে সৈয়দ মোতাজজেরুল ইসলাম মিঠু নামের একজন ঠিকাদারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে এবং ঠিকাদারের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবারের একজন সদস্যের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে—এ অভিযোগের সত্যতা কতটুকু। উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর পরিবারের কারও সঙ্গে ওই ঠিকাদারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। ওই ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তিনি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও ব্যবসা করেন। তিনি যদি কেনাকাটা ও বদলির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন, তবে সে বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্যসচিব জানেন।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েতউল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র - প্রথম আলো
১০ই অক্টোবর ২০১৩
Share:

মেডিকেল ছাত্রীর আত্নহত্যা! কিন্তু কেন?


খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আরমনি সুলতানা বিউটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে কলেজের সুফিয়া কামাল ছাত্রী হলের নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামে।
বিউটি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজে কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ। তিনি বলেন, দুপুরে সুফিয়া কামাল ছাত্রী হলে বিউটির রুমের দরজা বন্ধ দেখে সহপাঠীরা ডাকাডাকি করেন। এরপরও দরজা না খোলায় তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দুপুর ১টা ২০ মিনিটে দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বিউটির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।

কী কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
Share:

বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা


বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা ___
ডাক্তার হওয়ার জন্য
এম.বি.বি.এস  ভর্তির শুরু থেকে
ক্লাস,  প্রতিদিন আইটেম,  কার্ড,  টার্ম ও একের পর এক প্রফ পরীক্ষা ।
কেড়ে নেয় জীবনের সব আনন্দ!
ফার্স্ট প্রফের  এনাটমির জন্য,
 গ্রেস এনাটমি
কানিং হাম,  দত্তের বই,
বিডি চুরাশিয়া,  স্নেল নিউরোএনাটমি
নীটার কালার এটলাস,
হিস্টোলজি, ওস্টিওলোজি ,  এমব্রায়োলজি
ফিজিওলজির জন্য  গেনং, গাইটন সহ
আরো কত মেইনবই, গাইড বই পড়তে হয়!
বায়োকেমেস্ট্রির জন্য লিপিনকট, হার্পার, সত্যনারায়ণসহ কত লেকচার নোট পড়তে হয়!
যে পড়ে সে জানে!
এর মাঝে আরেক প্যারা কমিউনিটি মেডিসিন!
পাবলিক হেলথের ডেফিনেশন মুখস্ত করতে করতে জান শেষ হয়ে যায়,
ডেফিনেশন আর মুখস্ত হয় না!
সেকেন্ড প্রফ সে তো আইটেমের পাহাড়
ফার্মার কেটজাং ,  মাইক্রো , রবিনস প্যাথো,  মরা মানুষের গবেষনা রেড্ডির
ফরেনসিক পাশের  জন্য  কত বই,  লেকচার পড়তে সেটা আল্লাহ মালুম!
ফাইনাল প্রফ সেতো  এম বি বি এস নাটকের শেষ দৃশ্য!
থার্ড ইয়ারের ডেভিডসন - হ্যারিসনের মেডিসিন,
ম্যাকলয়েডস এর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন,
আব্দুল্লাহ স্যারের শর্ট কেইস, লং কেইস ,
ইসিজি,  রেডিওলজি
বেইলী লাভের সার্জারী,
দত্তের সার্জারী,
আই,  ই এন টির কত বই,
কত লেকচার !
সে তো  বলে শেষ করা যাবে না!
সব বই আর লেকচার কাঁধে নিয়ে নিয়মিত ক্লাসে আসলে,
নিশ্চিত ঐ ছাত্রের ডাক্তার হওয়ার পূর্বেই কাইপোসিস ডেভেলাপ করবে ।
আইটেম সব ক্লিয়ার না হলে,
কার্ডে বসার সুযোগ নেই,
সব কার্ড পাশ না করলে,
টার্মে বসার সুযোগ নেই,
সব টার্মে পাশ না করলে
ভার্সিটির অধীনে অনুষ্ঠিত প্রফে বসার সুযোগ নেই,
সব ক্লিয়ার থাকার পর যদি পার্সেন্টেজ ৭৫ এর নীচে হয়
প্রফে বসার আশাটা গুড়ে বালি হয়ে যায়!

ফার্স্ট প্রফ নিয়মিত পাশ না করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা হতাশা হয়ে দাঁড়ায়!
নিয়মিত প্রফে বসতে না পারলে
হতাশা কল্পনার বাহিরে চলে যায়!

সব শেষে শুরু
ফাইনাল প্রফ নামক মহাযজ্ঞ!
ভাগ্য যার সহায় হয়,
পাশ করে ডাক্তার হওয়াটা তত ইজি হয়!

যদি স্যারদের সাথে কোনো পার্সোনাল ক্লেশ থাকে তাহলে তো পাশ করাটা দু:স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
ফার্স্ট প্রফ, সেকেন্ড প্রফ,  থার্ড প্রফ (বর্তমানে)
ও ফাইনাল প্রফ  পাশ করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা টা পূর্ণ হয়ে যাবে!
এম বি বি এস পাশের পর শুরু হয়
ইন্টার্ণশীপ লাইফ,
ইন্টার্ণশীপ লাইফে রোস্টার অনুযায়ী প্রতিটা ওয়ার্ডে  ডিউটি শেষে
লগ বুকে ওয়ার্ডের সি এ, প্রফেসর, কো অর্ডিনেটর ও  বিভাগীয় প্রধানের সই নিয়ে লগবুক জমা দিতে হয় ডিরেক্টর অফিসে,
ইন্টার্ণ লাইফ শেষে  প্রিন্সিপ্যাল  ও ডাইরেক্টরের সইযুক্ত ইন্টার্ণশীপ সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহ দুয়েক!

এখানেই  শেষ নয়!
এতোকিছু পাড়ি দিয়েও ডাক্তারী পেশা প্র‍্যাকটিস করতে পারবেন না,
প্র‍্যাক্টিসের জন্য আপনাকে  বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন সনদ  সংগ্রহ করতে হবে ,
রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নগদ টাকা,
এম বি বি এস পাশের  ভার্সিটি সার্টিফিকেট  ও
ইন্টার্নশীপ ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে  সপ্তাহ দুয়েক থেকে মাসেক!
বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন  সনদ  পাওয়ার পর
ডাক্তার হিসেবে প্র‍্যাক্টিস করার বৈধতা পাবেন।

পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন সে তো মহারতী মেধাবীদের স্বপ্ন ভংগের ভিন্নরূপ!
এফ সি পি এস  ফার্স্ট পার্ট পাশ করে
ট্রেনিং এ ঢুকবেন  বিনামূল্যে মানব সেবা করে যাবেন...    বাপের টাকায় নিজের থাকা খাওয়া দাওয়াসহ যাবতীয় খরচ  চালাবেন।
বছরের  পর বছর অনাহারী নামক  মেডিকেল অফিসার হয়ে  বিনামূল্যে মানব সেবা দিয়ে
চূড়ান্ত পরীক্ষায়   পাশ হবার সম্ভাবনা ৫ পার্সেন্ট!
এফ সি পি এস  ডিগ্রীটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে,
ঠিক ধরি মাছ না ছুই পানি এর উলঠো!
পড়তে থাকবেন আর ট্রেনিং করতে থাকবেন,
পাশ সে তো স্বপ্নের বিষয়!
পাশের হার এতই নগন্য অনেকে কয়েক বছর ট্রেনিং করে এফসিপিএস ছেড়ে দিয়ে
এম ডি  / এম এস রেসিডেন্সী করছেন  না হয় দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন!
কয়েক বছর আগেও
এফ সি পি এস এর পাশাপাশি  অন্যান্য ডিগ্রীগুলো  কনটিনিউ করা যেত!
আর এখন সে সুযোগটাও শূন্য।!
মেডিকেলের পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন  ব্যবস্থা এতটা কঠিন  করে ফেলেছেন,
হতাশা ছাড়া মিটে কি আশা !
এত কিছুর পরে যখন মহত পেশায় নিয়োজিত হবেন, দেখবেন
অন্যান্য পেশার বন্ধু বান্ধবরা বাড়ি গাড়ি করে দেশ বিদেশ ভ্রমণে পাড়ি দিচ্ছেন।
নানা উতসব  আনন্দে  দিন কাটাচ্ছেন,
তখন  আপনি এতোটাই ব্যস্ত হয়ে উঠবেন,
দেশ বিদেশ তো দূরের কথা  পরিবারের সদস্যদের সাথেও ঠিকমতো সময় দিতে পারবেন না!  আপনার অনুপস্থিথিতেই
শত আচার অনুষ্ঠান আনন্দ শেষ হয়ে যাবে!
আপনি শুধু আফসোস করে যাবেন!
এতো কিছু ত্যাগের পর বুড়ো বয়সে পাবেন
স্বান্ত্বনা স্বরূপ কিছুটা খ্যাতি  আর অর্থ বিত্ত !
উপরের সব কিছুই ধ্রুব সত্য!
কল্পনা নহে !!

লেখা- ডাঃ স্বাধীন

email - DoctorShadhin@gmail.com
  







Share:

মেধাবী বনাম নকলবাজ - মেডিকেল ভর্তি প্রশ্ন ফাঁস - মেধাবীদের গলায় ফাস !


মেয়েটি প্রতিবন্ধী বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। একটু বড় হওয়ার পর থেকে তার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। এসএসসি আর এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ ছিল। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য কঠোর প্রস্তুতি ছিল। পরীক্ষার প্রশ্নও তার জন্য সহজ ছিল। কিন্তু সে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেই বুঝে যায় হবে না তার।
পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে—এই গুঞ্জন তার কানে আগেই পৌঁছেছিল। পরীক্ষা শেষে দেখা গেল গুঞ্জন নয়, এটিই সম্ভবত সত্যি। তার কেন্দ্রেই কেউ কেউ আনন্দে উদ্বেল হয়ে আছে ১০০টির মধ্যে ১০০টি অবজেকটিভ প্রশ্ন কমন পড়েছে বলে। কীভাবে সম্ভব এটি? পরীক্ষাকেন্দ্রেই নির্দ্বিধায় বলাবলি হয়েছে যে প্রশ্ন পেয়েছিল কেউ কেউ পরীক্ষার আগে। ফেসবুকে সেই প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। এবার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে উল্লসিত কারও কারও ফেসবুকের কথোপকথনের স্ক্রিনশট এল মেয়েটির প্রোফাইলে।
মেয়েটি আমার স্ত্রীর নিকটাত্মীয়। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার স্বপ্নভঙ্গের পর সে কারও সঙ্গে কথা বলেনি। নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়ে সে তার হাহাকারের কথা জানিয়েছে। তার প্রশ্ন: আগে প্রশ্ন পেয়ে নকলভাবে যারা পাস করেছে, তাদের কী অধিকার আছে ডাক্তারি পড়ার? মেয়েটি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। এবারও এটি হওয়ার পর সে লিখেছে, এ দেশে পড়াশোনা করার ইচ্ছাই চলে গেছে তার!
এই মেয়েটির মতো লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন হরণ করা হয়েছে এসএসসি, এইচএসসি, ভর্তি, নিয়োগের বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অজস্র ঘটনায়। বহুবার এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, বহু প্রমাণ পেশ করা হয়েছে, বহু ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিছুতেই সরকারের টনক নড়েনি। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এবার যা হলো—এত প্রমাণ, এত প্রতিবাদ আর এত লেখালেখি—তারপরও কি কিছুই হবে না?
আমরা কি তাহলে আমাদের সন্তানদের এই বার্তাই দিচ্ছি যে পড়াশোনা করে কোনো লাভ নেই, নিজের ভাগ্য গড়তে হলে জালিয়াতি করা শিখতে হবে? যারা জালিয়াতি করতে পারবে, তারাই ভালো জায়গায় পড়বে, ভালো চাকরি পাবে? যাদের জালিয়াতি করার বা অসৎ হওয়ার মানসিকতা বা রুচি নেই, তাদের বুকে রক্তক্ষরণ নিয়ে বাঁচতে হবে, হয়তো সারা জীবন এর মাশুল দিতে হবে নানাভাবে?
আর যারা বিভিন্ন পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছে বা করবে, তাদের পাপের মাশুল দিতে হবে গোটা জাতিকে। যদি ১০০ জনের মধ্যে অর্ধেকও হয় এমন, তাহলে এরা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে করতে নিজেরাই বড় জালিয়াত আর দুর্নীতিবাজ হয়ে উঠবে। অন্তত তা হওয়ার প্রণোদনা পাবে। মেধা নয়, জালিয়াতি আর চৌর্যবৃত্তিকে এভাবে পুরস্কৃত করে আমরা এ কোন অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছি আমাদের তরুণ সমাজ আর দেশকে?
২.
আমাদের প্রথমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আবার তিনিই বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নগুলো ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন কি না, তা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে খতিয়ে দেখা হয়নি। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, খতিয়ে দেখার আগে উনি প্রশ্ন ফাঁস হয়নি এই দাবি করেন কীভাবে? প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে—এমন অভিযোগকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগের জন্য এত দক্ষতা সরকারের যেসব এজেন্সি দেখাতে পারে, তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের নমুনা পাচ্ছে না, তা তো হতে পারে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা অবশ্যই সরকারের জানার কথা। প্রশ্নপত্র ফাঁস তাই বলে শিক্ষামন্ত্রী বা অন্য কোনো মন্ত্রীর নির্দেশে হতে পারে না। প্রশ্নপত্র ফাঁস রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেও হতে পারে না। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বেপরোয়া অন্যায় করতে হলে সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কারও কারও সঙ্গে যোগসাজশ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।
আমাদের মনে আছে, ১৮ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দপ্তর থেকে কমিশনের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজ, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ভান্ডাররক্ষক রেজাউল করিম ও তাঁদের সহযোগী ঈশান ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যা ব। তখন র্যা ব জানিয়েছিল যে এই চক্রটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিতে ১৫ লাখ টাকা, জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ দিতে ১০ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ছয় লাখ টাকা করে নিত।
র্যা ব তখন দাবি করেছিল, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ওই চক্রটির মূল হোতা ওমর সিরাজ। র্যা বের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ৩ অক্টোবর তিনি মারা যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে, এটি কেন ঘটল? ওমর সিরাজের বিচারকাজ সম্পন্ন হলে ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রগুলো সম্পর্কে অনেক প্রমাণিত তথ্য পাওয়া যেত। এমন একজন ব্যক্তি র্যা বের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম জানার সুযোগ থাকল না। এই মৃত্যু স্বাভাবিক কারণেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্মমতাও বিস্ময়কর। এই প্রতিবাদকারীরা সরকারের পতন চায়নি, সরকারবিরোধী কোনো স্লোগান দেয়নি। তারা শুধু তদন্ত আর পুনরায় পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে। এই দাবির উত্তর কি রাইফেলের বাঁট দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো আর মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া হওয়া উচিত? তাহলে কি এমন কিছু ক্ষমতাধর ব্যক্তি এতে জড়িত যে কোনো সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠলে যেভাবেই হোক তার কণ্ঠরোধ করতে হবে?
আমাদের শিক্ষামন্ত্রী একবার বলেছিলেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস সরকারের জীবন-মরণ সমস্যা। যদি তা-ই হয়, তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জোরালো অভিযোগ উঠেছে এমন একটি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়নি কেন? কেন বছরের পর বছর ধরে এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না? কেন প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বহু প্রস্তাব থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি? জামিলুর রেজা চৌধুরী, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ বহু বরেণ্য ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে নানা প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন। এসব প্রস্তাব পরীক্ষা করে দেখা দূরের কথা, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে আন্তরিক ও অর্থবহ কোনো পরামর্শসভাও সরকারকে আমরা আহ্বান করতে দেখিনি।
৩.
প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় নানা বৈষম্যের অভিযোগ আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। বিএনপি-জামায়াত আমলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌখিক পরীক্ষাকালে বৈষম্যের শিকার হতেন বলে অভিযোগ ছিল। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এমন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ শোনা যায়। এ ছাড়া প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের প্রতি অবিচারের অভিযোগও বহু পুরোনো। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এসব বৈষম্যের সংস্কৃতি এখন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে ছাড়িয়ে প্রায় সর্বজনীন হতে চলেছে। অন্ধ দলীয়করণ ও দুর্নীতির প্রকোপে সাধারণ নির্বিরোধী তরুণ সমাজও এখন নানা অনিশ্চয়তার বলি হচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে বলছি, কিছুদিন আগে বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছিল। এই পরীক্ষার জন্য প্রায় আড়াই বছর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। নানা ধাপের পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষার ফল যখন বের হলো, দেখা গেল মেধা আর কোটায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করার কোনো উপায় নেই। কোটাধারীদের উৎপাতে এমনি সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের ঢোকার সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। মেধা আর কোটার আলাদা তালিকা না থাকার কারণে এবার আর বোঝারই উপায় রইল না যে আসলে মেধাবীদের ঠিক কতটুকু সুযোগ দেওয়া হলো, আর কতটুকু কোটার নামে পছন্দের প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকানোর জন্য রাখা হলো। পিএসসিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানাল যে তাড়াহুড়া করে রেজাল্ট প্রস্তুত করার কারণে আলাদা কোনো তালিকা তৈরি করা যায়নি!
এত বড় খামখেয়ালিপনা নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য হলো না দেশে। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় নন-ক্যাডার নামের যে ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে, তার অস্বচ্ছতা নিয়েও কথা বলি না আমরা। অথচ ভুক্তভোগীরা জানেন এসবের কত যন্ত্রণা। আমাকে একজন মেইল করেছেন। তাঁর কথাই তুলে ধরছি: ‘কত নির্ঘুম রাত, কষ্ট, পরিশ্রম আর সাধনার ছিল ৩৪তম বিসিএস। ২৯ আগস্ট রাত ৯টায় আমাদের সেই সাধনা, কষ্ট আর অমানুষিক পরিশ্রম নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা হলো। নন-ক্যাডার নামক প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করা হলো ৬১৮৫ জন মেধাবীর সঙ্গে। প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাস, কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে চাকরি নেই। তাহলে ২.৫ বছর আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিল কেনো? পদ স্বল্পতা বলছে অথচ রেজাল্ট নিয়ে কি কারচুপি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেধা আর কোটা আলাদা না করে মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে!’
হতে পারে এসব অভিযোগে অতিশয়োক্তি রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বা নিয়োগ দুর্নীতির কিছু অভিযোগ সত্যি না–ও হতে পারে। কিন্তু ১০টি পরীক্ষার মধ্যে সাত–আটটিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে বাকিগুলোতেও ফাঁস হয়েছে—এই আশঙ্কা জাগাই স্বাভাবিক বঞ্চনাবোধ রয়েছে এমন তরুণদের মধ্যে।
এমন বঞ্চনাবোধ দেশের বিপুলসংখ্যক তরুণের মধ্যে হতাশাবোধ জাগাচ্ছে। অন্যদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নানা অনিয়মের সুবিধাপ্রাপ্ত অংশের মধ্যে নৈতিকতাবোধের মারাত্মক সংকট তৈরি করছে। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটানো অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এ জন্য পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করা এবং অন্তত উত্তীর্ণ ও অপেক্ষমাণ তালিকাভুক্তদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
মূল কথা হচ্ছে, একটা কিছু সরকারকে করতেই হবে। ভর্তি, নিয়োগ আর স্কুল সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ একটি জাতি অনাদিকাল বহন করতে পারে না।

লেখা - আসিফ নজরুল: 
অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্র - দৈনিক প্রথম আলো  ০৭.১০.২০১৫
Share:

আর্কাইভ

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল