তার নাম প্রফেসর ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।।
বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ।।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ।।
বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ।।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ।।
স্যারের নামে অনেক মিথ আছে, যেমন- তার ক্লাসে লেকচার গ্যালারির সিঁড়ি পর্যন্ত খালি থাকে না, যে ছেলেটি সারা সপ্তাহ ক্লাস করে না সেও ক্যান্টিনের সিংগারা চিবুতে চিবুতে ক্লাসের দিকে আগায়, স্যারকে চেম্বারে দেখাতে ছয়মাস আগে সিরিয়াল লেখাতে হয়।।
আমার এখন প্লেসমেন্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডে যা "কাকা" স্যারের ওয়ার্ড নামে পরিচিত। এই ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হাফিজ স্যারের মুখে শোনা এই গল্প।
দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ ব্যস্ত মানুষ। তাই আমলা তথা সচিবদের সব সময় তিনি বেশি সময় নিয়ে দেখেন না।
তো একবার, তার কাছে এক আমলা এলেন। তার সমস্যা ছিল পায়ে ব্যথা আর হাটতে না পারা।
স্যার উনাকে বললেন দাড়িয়ে আবার বসতে। উনি কথামত দাড়িয়ে বসলেন। স্যার উনাকে বললেন, " আপনার GBS (Guillain–Barré syndrome) আছে। " এই বলে ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করে দিলেন। সচিব সাহেব স্যার তাকে বেডে শুইয়ে ভালভাবে না পরীক্ষা করাতে একটু ক্ষিপ্ত হলেন।
তিনি টাকা ম্যানেজ করে সিংগাপুর চলে গেলেন। সেখানে প্রখ্যাত এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সেখানের ডাক্তাররা তাকে একমাস বেশ ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর তারা রায় দিলেন যে উনার GBS (Guillain–Barré syndrome) হয়েছে যা দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ আগেই বলেছিলেন।
রিপোর্ট দেখে সচিব সাহেব বেশ অবাক হলেন। তিনি দেশে ফিরে কিছুটা ক্ষোভ আর বিস্ময় নিয়ে আবার দ্বীন মোহাম্মদ স্যারের কাছে গেলেন। গিয়ে বললেনঃ আপনার প্রতি আমার কিছুটা ক্ষোভ আছে আর শ্রদ্ধা আছে। শ্রদ্ধা এই জন্য যে, সিংগাপুরে একমাস লাগিয়ে যে রোগ বের হল তা আপনি এক দেখাতেই বলে দিলেন!
আর ক্ষোভ এই কারনে যে, সেইদিন যদি আপনি আমাকে বেডে শুইয়ে একটু পরীক্ষা করতেন তাহলে আমাকে ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সিংগাপুরে যেতে হত না।
তো একবার, তার কাছে এক আমলা এলেন। তার সমস্যা ছিল পায়ে ব্যথা আর হাটতে না পারা।
স্যার উনাকে বললেন দাড়িয়ে আবার বসতে। উনি কথামত দাড়িয়ে বসলেন। স্যার উনাকে বললেন, " আপনার GBS (Guillain–Barré syndrome) আছে। " এই বলে ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করে দিলেন। সচিব সাহেব স্যার তাকে বেডে শুইয়ে ভালভাবে না পরীক্ষা করাতে একটু ক্ষিপ্ত হলেন।
তিনি টাকা ম্যানেজ করে সিংগাপুর চলে গেলেন। সেখানে প্রখ্যাত এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সেখানের ডাক্তাররা তাকে একমাস বেশ ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর তারা রায় দিলেন যে উনার GBS (Guillain–Barré syndrome) হয়েছে যা দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ আগেই বলেছিলেন।
রিপোর্ট দেখে সচিব সাহেব বেশ অবাক হলেন। তিনি দেশে ফিরে কিছুটা ক্ষোভ আর বিস্ময় নিয়ে আবার দ্বীন মোহাম্মদ স্যারের কাছে গেলেন। গিয়ে বললেনঃ আপনার প্রতি আমার কিছুটা ক্ষোভ আছে আর শ্রদ্ধা আছে। শ্রদ্ধা এই জন্য যে, সিংগাপুরে একমাস লাগিয়ে যে রোগ বের হল তা আপনি এক দেখাতেই বলে দিলেন!
আর ক্ষোভ এই কারনে যে, সেইদিন যদি আপনি আমাকে বেডে শুইয়ে একটু পরীক্ষা করতেন তাহলে আমাকে ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সিংগাপুরে যেতে হত না।
কাউকে ছোট বা অপমান করে কিছু লিখিনি। শুধু বলতে চাই, দুই ঘন্টা গরমের মধ্যে ওয়ার্ডে দাড়িয়ে ঘামে ভিজে হাসিমুখে রোগীর হিস্ট্রি নেয়ার যে কি অনুভূতি তা আগে জানুন, তারপর ডাক্তারদের গালি দিবেন। আমাদের দেশের ডাক্তাররাও বেশ হাইলি কোয়ালিফাইড। ইউরোপ-আমেরিকায় যে Davidson's Medicine বা Robbin's Pathology পড়ানো হয় আমরাও তাই পড়ি। পার্থক্য শুধু একটাই, তাদের আছে সেন্ট্রাল এসি হাসপাতাল আর চকচকে লেমিনেটেড পাতার বই আর আমাদের স্বল্প ফ্যানযুক্ত ওয়ার্ডে নিলক্ষেতের ফটোকপি বই দিয়েই কাজ চালাতে হয়।।
লিখেছেন- Ashiqur Rahman Akash