প্রিয় প্রফেসর হারুন উর রশিদ স্যার
আপনাকে হারনোর বেদনা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না,
আজ জাতি একজন অভিভাবককে হারালো।
একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে হারালো।
মানুষের মন জয় করার মহত পেশা শিক্ষকতা,
সেই মহত পেশাকে ধারন করে যিনি
জয় করে নিয়েছেন লাখো কোটি মানুষের হৃদয়।
উনার শিষ্যরা আজ সারা বিশ্বে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন।
চট্টগাম কলেজ, মহসীন কলেজ, মহিলা কলেজ, রাংগামাটি কলেজ,
আমার প্রিয় স্কুল সি আর এস সি সহ
অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই মহান শিক্ষক !
শুক্রবার সকালের ডিউটিতে এসে জুমার নামাজ পড়ে এসে সি এস সি আর এর নীচে দেখা হলো প্রফেসর ডা: এম.এ. ফয়েজ স্যারের সাথে।
আর রাতে ডিউটিতে এসে শুনি
ফয়েজ স্যারের বড় ভাই অধ্যক্ষ হারুন উর রশিদ স্যার আই সি ইউ তে ভর্তি ।
এ কথা শুনে মন খুব খারাপ হয়ে গেলো ,
যে স্যারকে দেখেছি খুব কাছ থেকে, যিনি অবসরের পর ৫ বছর আমাদের প্রিয় স্কুলে প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন,
সে প্রিন্সিপ্যাল স্যার আই সি ইউ তে!
আজ দুপুরে দেখে আসলাম স্যারের নিথর দেহ,
স্কুলে আমি ক্লাস ক্যাপ্টেন থাকাকালীন বিভিন্ন কাজে স্যারের সাথে প্রায় দেখা হতো , ১০-১২ বছর আগের সুঠাম দেহ যেমনটি দেখেছিলাম
তেমনটিই আছে
নেই শুধু রুহ ।
আমরা সকলেই উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি,
শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি ।
প্যারেড মাঠসহ বেশ কয়েক জায়গায় জানাযা অনুষ্টিত হবে,
স্যারের জানাযার সময় সূচি টিভি- চ্যানেলে জানানো হবে।
উনি রেখে গেছেন অসংখ্য জ্ঞানী গুনী আত্নীয় স্বজন।
উনার ছোট ভাই চিকিতসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডা: এম.এ. ফয়েজ ।
মানবসেবায় যার অবদান অতুলনীয়।
যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডীন , স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক , ঢাকা মেডিকেল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডা: রেহেনুমা ম্যাম ও উনার সুযোগ্য কন্যা ।
কর্মে, কৃতিত্বে , সাফল্যে হারুন স্যার আমাদের মাঝে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।