Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

এবার মাঠে নামছেন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকরা...


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের শিক্ষকদের পর এবার নতুন বেতন কাঠামোয় বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য  ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। তারা বেতন বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তিনটি ইস্যু সামনে আনতে চান। এগুলো হচ্ছে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু। এসব দাবি আদায়ে আপাতত রাজধানী ও ঢাকার বাইরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিটও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখার সিদ্ধান্ত হবে সারা দেশের চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। বিএমএ’র বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. কামরুল হাসান জানান, দুয়েক দিনের মধ্যেই বিএমএ’র এ সভা ডাকা হতে পারে। ওই সভায় আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি মেডিক্যাল শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ব্যাপারে বিএমএ নেতাদের আগ্রহী করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিএমএ ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও আন্দোলনের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তারা বিএমএ’র পাশাপাশি সারা দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য  ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের নিয়ে সমন্বিত মেডিক্যাল শিক্ষক পরিষদ গঠন করে আন্দোলনে নামার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ তৎপরতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নাক-কান-গলা রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, সহসভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়াসহ ৪-৫ জন শিক্ষক। তারা জানান, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে। খুব শিগগিরই বৈঠক করে আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। মেডিক্যাল শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে সব থেকে কঠিন মেডিক্যাল শিক্ষা। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস পরীক্ষা পাস করা যেমন কঠিন, তেমনি পাস করার আগে কোর্স চলাকালীন আইটেম, কার্ড, টার্মসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাথার ঘাম পায়ে ঝরে। এরপর এমবিবিএস পাস করে অন্য ক্যাডারের মতোই তাদেরও বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েই তবে সরকারি ডাক্তার এবং পরে পদোন্নতি পেতে পেতে অধ্যাপক হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করে সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তাছাড়াও ডাক্তার হওয়ার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ পাওয়া তো সোনার হরিণ ধরার মতোই। এত কাঠখড় পোড়ানোর পরও নতুন বেতন কাঠামোয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে থার্ড গ্রেডে। আর সচিবরা রয়েছেন ফার্স্ট গ্রেডে। কেন এই বৈষম্য? সচিবদের থেকে কোন দিক থেকে মেডিক্যাল শিক্ষকরা অযোগ্য? তারা প্রশ্ন রাখেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কি তাদের থেকে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, তাহলে তাদের দাবি ন্যায্য হবে না কেন?

সুত্রঃ আমাদের সময়
Share:

এসব ডাক্তারদের অবদান তুলে ধরার কেউ নেই....


আপনার জন্ম যদি ১৯৯২ সালের পর হয়ে থাকে
এবং শিশু অবস্থায় ছোট-খাট জ্বর হবার পর জ্বর
কমানোর ঔষধ সেবন করেও আপনি যদি বেঁচে
থাকেন, তাহলে আপনার বেঁচে থাকার
পেছনে এই মানুষটার সামান্য অবদান থাকার
সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের সন্তান বা ছোট
ভাইবোন ঐ সময়ের পর জন্মগ্রহণ করেছেন,
তাদের জন্যও এই কথাটা প্রযোজ্য।

বাংলাদেশে শিশুদের জ্বরের ঔষধ
হিসেবে প্যারাসিটামল সিরাপ প্রচলিত।
১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু কোম্পানীর
প্যারাসিটামল সিরাপের মধ্যে বিষাক্ত
একটি উপাদান ছিল যার কারণে অনেক শিশু
প্যারাসিটামল সিরাপ গ্রহণের পর কিডনি
রোগে মারা গেছে। ডা. হানিফ সর্ব প্রথম
প্যারাসিটামল সিরাপের মধ্যে এই
বিষাক্ত উপাদানটি সনাক্ত করেন এবং এর
কারণে শিশুদের কিডনি রোগে মৃত্যুর কারণ
নির্নয় করেন।

১৯৮২ সালে ডা. হানিফ তৎকালীন পিজি
হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় শিশুদের
কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে দায়িত্ব
পালনের সময় লক্ষ্য করেন যে অনেক শিশু
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার
জন্য আসছে এবং তাদের সবাই শেষ পর্যন্ত
মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়টির কারণ তখন
তিনি বা হাসপাতালের কোন ডাক্তারই
ধরতে পারেন নি। কিছুদিন পর তিনি উচ্চ
শিক্ষার্থে বিদেশে চলে যান। এর পর ৯০
সালের দিকে দেশে ফিরে এসেও তিনি
একই অবস্থা দেখতে পান। বিষয়টি তাঁকে
বিচলিত করে এবং বিস্তারিত অনুসন্ধান
করে দেখতে পান যে, এই কিডনি
রোগাক্রান্ত শিশুদের সবাই জ্বরে আক্রান্ত
হয়ে প্যারাসিটামল সিরাপ গ্রহণ করেছিল।
ডা. হানিফ বেশ কয়েকটি ঔষধ কোম্পানীর
তৈরী প্যারাসিটামল সিরাপ যুক্তরাষ্ট্রে
পরীক্ষার জন্য পাঠান এবং দেখতে পান যে,
কয়েকটি কোম্পানীর প্যারাসিটামল
সিরাপে বিষাক্ত ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল
রয়েছে যে কারণে শিশুদের কিডনি বিকল
হয়ে তারা মারা যাচ্ছে। তৎকালীন পিজি
হাসপাতাল বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে
দেখতে পায় কেবলমাত্র ১৯৮২ থেকে ১৯৯২
সময়কালে ঐ হাসপাতালেই প্রায় ২৭০০ শিশু
কিডনি বিকল হয়ে ডায়ালাইসিস করতে
এসে মৃত্যুবরণ করেছে। অন্যান্য হাসপাতালের
পরিসংখ্যান এবং হাসপাতালে চিকিৎসা
না নেয়া শিশুদের সংখ্যাটা বিবেচনায়
নিলে মৃত্যুর সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি
হবে বলেই ধরে নেয়া যায়।

বিষয়টি ধরা পরার পর ১৯৯২ সালে ড্রাগ
কোর্টে চারটি ঔষধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে
মামলা হয়। বলা বাহুল্য ঔষধ কোম্পানীগুলো
বিত্তবানদের প্রতিষ্ঠান তাই তারা ১৯৯৪
সালে হাইকোর্টে গিয়ে মামলাটি
স্থগিত করে দেয়। শুধু তাই নয়, ড্রাগ কোর্টের
কর্মচারীদের সহায়তায় মামলার নথিপত্র
পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে
যখন আবারো ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল
মিশ্রিত বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপ
সেবন করে নতুন করে কিছু শিশু আক্রান্ত হলো
তখন আবার সেই মামলা চালানোর ব্যবস্থা
করা হয় এবং সেটিও এই ডা. হানিফেরই
কারণে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই ১৪ বছরে
বাংলাদেশ ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বা
সরকারের এটর্নি জেনারেল কেউই
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের
জন্য চেষ্টা করেন নাই।

যে ঔষধ কোম্পানীর প্যারাসিটামল সিরাপ
সেবন করে সবচেয়ে বেশি শিশু নিহত
হয়েছে সেই ঔষধ কোম্পানী এডফ্লাম এর
মালিক হেলনা পাশাকে ড্রাগ কোর্টের
রায়ে ২০১৪ সালের ২২ জুলাই ১০ বছরের
কারাদণ্ড দেয়া হয় কিন্তু মাত্র ৫২ দিন
কারাবাস করে তিনি একই বছর ১১ সেপ্টেম্বর
হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বেড় হয়ে
আসেন। মামলায় নিযুক্ত সরকারী ডেপুটি
এটর্নি জেনারেল শফিউল বাশার
ভাণ্ডারী হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল করেননি। শত শত শিশু নিহতের জন্য
দায়ী একজন মানুষ এভাবেই শাস্তি থেকে
রক্ষা পেয়ে যান।

এই বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপের
বিষয়ে লেখালেখি করার কারণে এবং
বারবার বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর
পারাসিটামল সিরাপ পরীক্ষা করে তাতে
বিষাক্ত ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল সনাক্ত
করার কারণে ডা. হানিফকে কম ভোগান্তি
পোহাতে হয়নি। ঔষধ কোম্পানীগুলো
বারবার তাঁকে কোর্টে নিয়ে নিজেদের
উকিল দিয়ে হেনস্তা করেছে এবং তাঁকে
একঘরে করে রাখার চেষ্টা করেছে। ঘুষ
দিয়ে ড্রাগ কোর্টের কর্মচারীদের
সহায়তায় উনার সরবরাহ করা ল্যাবরেটরি
টেস্ট রিপোর্ট সরিয়ে ফেলে উনাকে
মিথ্যাবাদী এবং ঔষধ শিল্পের জন্য
ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করার
চেষ্টাও করা হয়েছে।

কিন্তু ডা. হানিফ থেমে থাকেন নি।
তিনি নির্ভয়ে কোর্টে গিয়ে বারবার
তার গবেষণা প্রতিবেদন এবং ল্যাবরেটরি
টেস্টের ফলাফল উপস্থাপন করে শিশুদের
জীবন রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই গরিব।
এখানে চিকিৎসা পদ্ধতিও বেশ অদ্ভুত।
বেশি টাকা দিয়ে বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের কাছে না যেতে পারলেও
মানুষ কষ্ট করে সরকারী হাসপাতালে
যেতে চায় না। তারা প্রথমে চেষ্টা করে
রোগের বর্ননা দিয়ে কাছাকাছি কোন
ফার্মেসি হতে ঔষধ সংগ্রহ করতে। তাছাড়া
পল্লী চিকিৎসক, সরকারী হাসপাতাল বা
মেডিকেল সেন্টারগুলোর ডাক্তাররাও
অনেক সময় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ
দের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অখ্যাত ঔষধ
কোম্পানীর ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিষাক্ত ঔষধ সেবন করে
ঠিক কত শিশু মৃত্যুবরন করেছে, তা নির্নয় করা
আসলেই কঠিন একটা কাজ।

এই ঘটনা উন্নত কোন দেশে ঘটলে সরকার/
আদালত ঐ সব ঔষধ কোম্পানীগুলোকে বাধ্য
করত নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দিতে।
এবং বিষাক্ত ঔষধ সনাক্ত করে লাখো শিশুর
জীবন রক্ষার জন্য ডা. হানিফ পেতেন
পুরষ্কার ও সম্মান।

বাংলাদেশে চলে তার নিজস্ব মডেলে।
তাই ঐসব ঔষধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে
জরিমানা হয় না, শিশু হত্যাকারীরা
জামিনে বেড় হয়ে আসে, ক্ষতিপুরণের তো
প্রশ্নই আসে না, আর ডা. হানিফ রয়ে যান
উপেক্ষিত; অবহেলিত।

সরকার ডা. হানিফকে সম্মান না দেখাক।
আমি, আপনি এবং আমরা উনাকে সম্মানিত
করতে পারি আমাদের সমগ্র ভালবাসা
দিয়ে। আমার দুইটি সন্তান আছে। তারাও
শিশুকালে জ্বরে ভুগেছে এবং জ্বরের জন্য
ঔষধ সেবন করেছে। ওদের যে বিষাক্ত
প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করতে হয়নি
তার জন্য আমি ডা. মোহাম্মদ হানিফ এর
কাছে কৃতজ্ঞ এবং ঋণী।


বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপ সংক্রান্ত ডা. হানিফের আর্টিকেল: http://goo.gl/Zz9MaK
গুগল স্কলারে ডা. হানিফের আর্টিকেলসমূহের লিংক: https://goo.gl/0M96eP




Share:

আগামী ৬ নভেম্বর রেসিডেন্সি এ্যাডমিশন টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।


আগামী ৬ নভেম্বর রেসিডেন্সি এ্যাডমিশন টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।  
 ফরম পূর‌নের সময়সীমা: ৫অ‌ক্টোবর হ‌তে ২৩ অ‌ক্টোবর রাত ১১:৫০ মি‌নিট। অর্থ্যাৎ ২২ তা‌রি‌খের ম‌ধ্যে টাকা জমাদান নি‌শ্চিত কর‌তে হ‌বে।পরীক্ষার ফি: সর্ব‌মোট ৪০০০/= (চার হাজার টাকা)। ও‌য়েবসাই‌টে ফরম পূরণ কর‌তে হ‌বে:www.bsmmu.edu.bd পরীক্ষার ভেন্যু বুয়েট ক্যাম্পাস।
পূর‌ণের আ‌গে আপনার ৩টি ডকু‌মেন্ট ছোট সাইজে স্ক্যান ক‌রে রে‌ডি ক‌রে নি‌বেন (১) টাকা জমা দেবার র‌শিদ (২) লে‌টেস্ট পাস‌পোর্ট সাইজ ফ‌টো (৩) সিগ‌নেচার। পি‌ডিএফ ফ‌র্মে ডাউন‌ে‌ৈডৈ ক‌রে প্রিন্ট ক‌রে নিন, সাদা কা‌লো, র‌ঙ্গিন সবই চল‌বে। সফট ক‌পি‌টিও পেন ড্রাই‌ভে সংরক্ষন করুন।
12009573_744675905638250_2870406250480344379_n

--- কৃতজ্ঞতা - মনিরুজ্জামান মনির
Share:

প্রশ্ন যদি হবে ফাঁস ! পড়বো কেনো বারো মাস!

লেখা - ডাঃ স্বাধীন


প্রশ্ন যদি হবে ফাঁস !
পড়বো কেনো বারো মাস!
এবার শিওর ছিলাম ছোট ভাই
ডিএমসি তে চান্স পাবে,
কিন্তু হলো না...
বৈধভাবে ১৮৪.২৫ স্কোর নিয়ে তার চান্স হলো
স্যার সলিমুল্লাহ  মেডিকেল কলেজে ।
এত স্কোর পেয়েও তার জাতীয় মেধা পজিশন ৩২৭তম - বিশ্বাস হচ্ছে না ।

ছোট ভাই ইমরানকে নিয়ে যখন স্ট্যাটাস  দিলাম ।
অনেকে কমেন্ট  করেছেন  কয় লাখ টাকা লেগেছে,
কমেন্টে ছোট ভাই রিপ্লে দিয়েছে
বেশি না ভাই, ৭৫০ টাকা লাগছে ফরম নিতে,
 আর ১০ টাকা লেগেছে এ্যাডমিট কার্ড নিতে।

সত্যিকারের মেধাবীদেরকেও আজ নাজেহাল হতে হচ্ছে, গুটি কয়েক কুচক্রী মহলের জন্য।

মেধাবীরা হলো বঞ্ছিত,
মেডিকেল হলো লাঞ্ছিত।
২০০৬ সালে মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস,
আমাদের ব্যাচের করেছিলো সর্বনাশ!

২০১৫ সালে প্রযুক্তির যুগেও
মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস ,
মেধাবী জাতির করলো  সর্বনাশ।
Share:

Failure is the Pillar of Medical Science


  লেখা -  ডাঃ স্বাধীন  

অনেকে বলছেন  ,যেখানে মেডিকেলের প্রফ পরীক্ষার রিটেন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় ,
সেখানে এডমিশন টেস্ট কোনো ব্যাপার না !
আমি তাদের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছি ,
মেডিকেল শুধু  এম.সি.কিউ কিংবা রিটেন দিয়ে শেষ নয় ,
মেডিকেলে পাশ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত আইটেম পাশ করতে হবে তাও আবার স্যার - ম্যাডামদের সামনে ভাইভা দিয়ে ।
আইটেম সব ক্লিয়ার হলে আপনাকে মোকাবিলা করতে  হবে কার্ড পরীক্ষা-
সেখানে রিটেন - ভাইভা - প্রাক্টিক্যাল  তথা OSPE , শর্ট কেইস - লং কেইস   সব আলাদা আলাদা পাশ করতে হবে ,
একই নিয়মে কয়েকটি কার্ড পাশ করার পর আপনাকে টার্ম পাশ করতে হবে ,
সব টার্ম পরীক্ষা পাশ করার পর আপনাকে লড়তে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া  প্রফ পরীক্ষা তথা পেশাগত পরীক্ষা ,
সে পেশাগত পরীক্ষার রিটেন  খাতা চলে যাবে ভার্সিটিতে ,
রিটেন শেষ হলে   একযোগে শুরু হবে সেন্ট্রাল  OSPE পরীক্ষা ,
সে পরীক্ষা এক দলকে  রুমে বন্ধী করে আরেকদলের  বেল বাজিয়ে ষ্টেশন - টু ষ্টেশন পরীক্ষা শুরু হয় , প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন সিনারিও, এক্স রে ফিল্ম, ই সি জি , ফটোগ্রাফ , ভিসেরা , বোনস,  ডাটা , অপারশনের ইন্সট্রুমেন্ট , লেবেলহীন ড্রাগ ও বিভিন্ন প্রসিডিউর থাকে ।
প্রতিটা ষ্টেশন ২-৩ মিনিটে  আইডেনটিফাই করে ,
ঐ রিলেটেড উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উত্তর পত্র ঝুড়িতে  রাখতে হয় ,
এভাবে এক দলের প্রতিটা  ষ্টেশনের সময় শেষ হলে ,
বন্ধী রাখা পরীক্ষার্থীদের  OSPE রুমে প্রবেশ করানো হয় ।
২-৩ টা ষ্টেশন যদি ভুল করে আসে তবে
প্রফ পাশের সব সাধনায় ওখানেই শেষ ।

বিশেষ করে সার্জারী ফার্স্ট পার্টে  ষ্টশনের প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেক বড় হওয়ায়,
 উত্তর লেখার পূর্বেই বেল বেজে উঠে - সময় ফুরিয়ে যায় ।

এই কঠিন সার্কাস  শেষ হলে কয়েকদিনপর শুরু হয় ,
মেডিকেলীয় আসল পরীক্ষা ভাইভা- শর্ট কেইস , লং কেইস ।
ভাইভা নিতে আসেন ভার্সিটি থেকে সিলেক্ট করা স্যারেরা
অমুক মেডিকেলের প্রফেসর  তমুক মেডিকেলের এক্সটার্নাল হয়ে ভাইভা নিতে আসেন ।
যে সব স্যারকে মেডিকেল পরীক্ষার্থী ভাইভার পূর্বে আগে কখনো দেখে নি
,
এমন আজানা , আচেনা স্যারদের সামনে পরীক্ষা দিতে অনেক নার্ভাসনেস কাজ করে , যতো ভালো প্রিপারেশন থাকুক না কেনো ।

ভাইভাতে এমনো হয় অনেক ভালো ছাত্রেরও থ্রট ব্লক হয়ে যায় ,
সব কিছু জানার পরও  অতি নার্ভাসনেসের কারনে নিজের নাম বলতে  আটকে যায় ।

অনেকের ভাইভাতে এমনও হয় ,
প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর ভালো করে পারে ,
কিন্তু গুটিকয়েকে যা ভালো করে পড়ে নাই
সেগুলোর বিশদ উত্তর জানতে চাই এক্সটার্নাল ।

 যদি সেকেন্ডের জন্য
কোনো পরীক্ষার্থীর উপর স্যারের বেড ইমপ্রেশন তথা বদ নজর পড়ে ,
তাহলে কথায় নেই ...
মুহুর্তেই জান কোরবান - নিশ্চিত পরীক্ষায় ফেল ।

যে ছেলেটি  ভাইভা বোর্ডে এসে ২- ৩ নাম্বারের জন্য ফেল করে
তার দুঃখের অন্ত নেই ।
যে ছেলেটি ক্লাসের  ফার্স্ট হয়েও রিটেন - ভাইভাতে অনেক ভালো নাম্বার পেয়ে পাশ করার পর , যখন শুনে  OSPE  তে ফেল ।

ছেলেটি অনেক মেধাবী হউক কিংবা ভালো হউক
OSPE তে ফেল করায়
তখন সে পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট দাঁড়ায় ফেল ।

ফলাফল - তাকে ৬ মাসের বন্দী কারাঘারে জীবন পার করে
আবার সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষায় বসে  ভাইভা- রিটেন- central OSPE শর্ট কেইস - লং কেইস সব পাশ করতে হবে  ।

ভাইভা রিটেনে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সেট্রাল OSPE তে ফেল করেছে এমন অনেক নজির মেডিকেলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ।

আবার অনেকের ভাগ্যটা এতটাই  খারাপ
প্রায় সবকিছু পাশ করেও কেবল শর্ট কেইস কিংবা লং কেইসে ফেল করায়
পুরো রেজাল্ট ফেল চলে আসে ।
পাশ মার্ক ৬০ নাম্বারের চেয়ে ২-৪ কম পাওয়ায় কত ছাত্রের জীবন থেকে
 হারিয়ে যাচ্ছে কত মূল্যবান সময় !!


স্কুল কলেজে ফার্স্ট   যে কোনোদিন ফেল করে নি ,
সে মেডিকেলে  এসে ফেল করবে , এটাই স্বাভাবিক !
মেডিকেলে এসে কোনো না কোনো পরীক্ষায় ফেল করে নি ,
এমন ছাত্রের সংখ্যা অতি নগন্য ।

মেডিকেলে পাশ ফেল কোনো ব্যাপারই না ,

Failure is the Pillar of Medical Science.

এম.বি.বি.এস যত কঠিন হউক না কেনো,
পরীক্ষা দিতে দিতে
একদিন না একদিন  এম.বি.বি.এস  পাশ হবেই।

সো নিরাশ হবেন না, ডাক্তার একদিন হবেনই ।




Share:

চিকিতসকদ্বয়ের রিপোর্ট নির্ভুল, পেশেন্টের কোনো ব্লাড ক্যান্সার নেই,

প্যাথলজি ল্যাবগুলোর ভুল কিংবা সাংঘর্ষিক রিপোর্টের কারণে অনেক রোগী বাড়তি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত,
ভুল রিপোর্টের কারনে  একদিকে রোগীর শারীরিক,  মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
অন্যদিকে চিকিতসক ও রোগীদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি বাড়ছে ।

এমন এমন কিছু কিছু রিপোর্ট চোখে পড়েছে,
যা  দেখে মেজাজটাই নষ্ট হয়ে গেছে,

একটা রোগীর CBC রিপোর্টে
সবকিছু মোটামুটি ঠিক আছে,
কিন্তু Atypical Cell - 20%
আর কমেন্টসে  লেখা Suggestive to Leukaemia  তথা  ব্লাড ক্যান্সার  ।
রিপোর্ট  অনুযায়ী পেশেন্ট পার্টিকে কাউন্সিলিং করা হলো,
রিপোর্টে  আপনার পেশেন্ট এর ব্লাড  ক্যান্সার ধরা পড়েছে,
তবে আমি এই রিপোর্টে   সন্তুষ্ট  না,
সন্দেহ পোষন করছি,

আপনারা অমুক স্যারকে দিয়ে আবার রিপোর্ট করান তখন শিওর হয়ে আপনাদেরকে পরবর্তী চিকিতসা জানাবো,
ঐ স্যার ও আরেকজন সিনিয়র স্যারকে দিয়ে রিপোর্ট  করা হলো,
দুই স্যারের রিপোর্টে    Atypical Cell তো একটাও পাওয়া যায় নি, এবং leukaemia এর
ফেভারে কোনো কিছু পাওয়া যায় নি।

 চিকিতসকদ্বয়ের  রিপোর্ট  নির্ভুল,
পেশেন্টের কোনো ব্লাড ক্যান্সার নেই,
পূর্বের রিপোর্টটা  খামখেয়ালি করে যে ল্যাব ইনচার্জ করিয়েছেন ,
তার কি হবে?
তার খামখেয়ালিরর কারনে কি, একজন সুস্থ মানুষ ক্যান্সার বনে যাবেন!

না,
না,
এটা চলতে দেয়া যায় না,

ঐ সমস্ত ল্যাবগুলোর বিরুদ্ধে এ্যকশনে যাওয়া দরকার,
হয় ভালো প্যাথলজির চিকিতসক দিয়ে রিপোর্ট তৈরী করবে না হয়,
ল্যাব গুটিয়ে পালাবে,
মানুষের জীবন নিয়ে তো চিনিমিনি
খেলতে দেয়া যাবে না।

তাই রোগীর যেকোনো পরীক্ষা নিরিক্ষা করার সময়, রিপোর্টটা যাতে ভাল চিকিতসক দিয়ে করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

রাস্তাঘাটে নালা- নর্দমার মত ফুটপাতে  ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ল্যাব থেকে  ভুলেও কোনোদিন রোগীর পরীক্ষা করাবেন না।
যে সব ল্যাবে ভাল ভাল চিকিতসকগন রিপোর্ট  করেন,
সে সব ল্যাব থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাবেন।

---   ডাঃ স্বাধীন
Share:

প্রফেসর ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ.. বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ


তার নাম প্রফেসর ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।।
বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ।।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ।।
স্যারের নামে অনেক মিথ আছে, যেমন- তার ক্লাসে লেকচার গ্যালারির সিঁড়ি পর্যন্ত খালি থাকে না, যে ছেলেটি সারা সপ্তাহ ক্লাস করে না সেও ক্যান্টিনের সিংগারা চিবুতে চিবুতে ক্লাসের দিকে আগায়, স্যারকে চেম্বারে দেখাতে ছয়মাস আগে সিরিয়াল লেখাতে হয়।।
আমার এখন প্লেসমেন্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডে যা "কাকা" স্যারের ওয়ার্ড নামে পরিচিত। এই ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হাফিজ স্যারের মুখে শোনা এই গল্প।
দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ ব্যস্ত মানুষ। তাই আমলা তথা সচিবদের সব সময় তিনি বেশি সময় নিয়ে দেখেন না।
তো একবার, তার কাছে এক আমলা এলেন। তার সমস্যা ছিল পায়ে ব্যথা আর হাটতে না পারা।
স্যার উনাকে বললেন দাড়িয়ে আবার বসতে। উনি কথামত দাড়িয়ে বসলেন। স্যার উনাকে বললেন, " আপনার GBS (Guillain–Barré syndrome) আছে। " এই বলে ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করে দিলেন। সচিব সাহেব স্যার তাকে বেডে শুইয়ে ভালভাবে না পরীক্ষা করাতে একটু ক্ষিপ্ত হলেন।
তিনি টাকা ম্যানেজ করে সিংগাপুর চলে গেলেন। সেখানে প্রখ্যাত এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সেখানের ডাক্তাররা তাকে একমাস বেশ ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর তারা রায় দিলেন যে উনার GBS (Guillain–Barré syndrome) হয়েছে যা দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ আগেই বলেছিলেন।
রিপোর্ট দেখে সচিব সাহেব বেশ অবাক হলেন। তিনি দেশে ফিরে কিছুটা ক্ষোভ আর বিস্ময় নিয়ে আবার দ্বীন মোহাম্মদ স্যারের কাছে গেলেন। গিয়ে বললেনঃ আপনার প্রতি আমার কিছুটা ক্ষোভ আছে আর শ্রদ্ধা আছে। শ্রদ্ধা এই জন্য যে, সিংগাপুরে একমাস লাগিয়ে যে রোগ বের হল তা আপনি এক দেখাতেই বলে দিলেন!
আর ক্ষোভ এই কারনে যে, সেইদিন যদি আপনি আমাকে বেডে শুইয়ে একটু পরীক্ষা করতেন তাহলে আমাকে ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সিংগাপুরে যেতে হত না।
কাউকে ছোট বা অপমান করে কিছু লিখিনি। শুধু বলতে চাই, দুই ঘন্টা গরমের মধ্যে ওয়ার্ডে দাড়িয়ে ঘামে ভিজে হাসিমুখে রোগীর হিস্ট্রি নেয়ার যে কি অনুভূতি তা আগে জানুন, তারপর ডাক্তারদের গালি দিবেন। আমাদের দেশের ডাক্তাররাও বেশ হাইলি কোয়ালিফাইড। ইউরোপ-আমেরিকায় যে Davidson's Medicine বা Robbin's Pathology পড়ানো হয় আমরাও তাই পড়ি। পার্থক্য শুধু একটাই, তাদের আছে সেন্ট্রাল এসি হাসপাতাল আর চকচকে লেমিনেটেড পাতার বই আর আমাদের স্বল্প ফ্যানযুক্ত ওয়ার্ডে নিলক্ষেতের ফটোকপি বই দিয়েই কাজ চালাতে হয়।।



লিখেছেন- Ashiqur Rahman Akash






Share:

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন.....


মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বর বেশি হচ্ছে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় এই মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতে সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাসবাহিত মশা বিস্তার লাভ করে।
Share:

ভীষন মিস করছি.. কেমিস্ট্রির অধ্যাপক হযরত আলী স্যার কে




১০বছর আগে কেমিস্ট্রির যে স্যার পড়ার জন্য বকা দিয়েছিলো,  
সে স্যার আজকে আমাকে বাহবা দিলো ... 

টানা ২৪ ঘন্টা নিদ্রাহীন ছিলাম,
কিন্তু নিজেকে একটুও ক্লান্ত মনে হয় নি,
৬০৭ কেবিনে ভর্তি ক্যান্সারের রোগীর প্রেশার রাত ৩টার দিকে কমতে কমতে ৫০/২০ তে চলে আসলছিলো।
এত রাতে কি করি,
গভীর রাত হওয়ায়
Share:

এমবিবিএস ডিগ্রীটা যেন হাতের মোয়া, চাইলেই পাওয়া যায়




রাত ১১টায় ইমার্জেন্সী থেকে কেবিনে একটা পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে,
জ্বর ও টিবির হিস্টরি নিয়ে।
একজন প্রফেসরকে অন কল দেয়া হলো, তিনি চেম্বার শেষ করে রোগীকে দেখতে আসবেন বলেছেন,
কিন্তু রোগীর এটেনডেন্ট  বার বার ডক্টরস রুমে এসে বলে,
স্যার কতক্ষণে আসবেন,
স্যারকে  তাড়াতাড়ি আসতে বলেন,

এটেনডেন্টের ভংগিমা দেখে  মনে হলো স্যার যেন  উনার কেনা গোলাম!

স্যারের চেম্বারে ফোন দিলাম,
পিয়ন ধরে বললো স্যার রাতের খাবার খাচ্ছে, কিছুক্ষন পরে কল দিয়েন।
Share:

মানুষ গড়ার কারিগর প্রফেসর হারুন স্যার আর আমাদের মাঝে নেই ।

প্রিয় প্রফেসর হারুন উর রশিদ স্যার
আপনাকে হারনোর বেদনা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না,
আজ জাতি একজন অভিভাবককে হারালো।
একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে হারালো।
মানুষের মন জয় করার মহত পেশা শিক্ষকতা,
সেই মহত পেশাকে ধারন করে যিনি
জয় করে নিয়েছেন লাখো কোটি মানুষের হৃদয়।
ভাবতেই অবাক লাগে উনি আমাদের মাঝে নেই।

Share:

যারা জীবনে সফল হতে পারেননি তারা একবার পড়ুন...

আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি জীবনে বড় হবো। কেউ হয়তো শুধু স্বপ্ন দেখি, কেউ হয়তো স্বপ্নটাকে ছোয়ার জন্য আরাম আয়েশ ত্যাগ করে রাতদিন খাটি। কিন্তু দেখা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হইনা। যখন ব্যার্থ হই তখন দেখা যায় আর পুনরায় পরিশ্রম করবার মত সময় নেই। ডুবে যেতে হয় হতাশায়। ব্যার্থতা আর হতাশা তখন আমাদের সব উদ্যম নষ্ট করে দেয়।

না এখানেই সব শেষ নয়।

যেখান থেকে শেষ সেখান থেকে শুরু করে দেখুন।



আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন (জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮০৯ - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫) এর কথাই ধরি, আজকে শুধু তার দৃষ্টান্ত দেখাবো, পরবর্তীতে ব্যার্থতা থেকে সফলতার অনেক গুলো পর্ব নিয়ে আসবার ইচ্ছা থাকলো। ব্যর্থতাকে কিভাবে জয়ে পরিনত করতে হয়, নতুন করে শুরু করতে হয়, একবার হারিয়েছি বলে সব শেষ হয়ে গিয়েছে এটাই শেষ কথা নয়। একবার না পারিলে দেখো শতবার কথাটা যে সত্য সেটার সার্থকতা আপনিও প্রমান করতে পারবেন।

Share:

আর্কাইভ

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল