বৈচিত্র্যময় এপ্রন --
মেডিকেলে ভর্তির প্রারম্ভে এপ্রনের :P প্রতি খুবই আগ্রহ থাকে,
আর ভর্তি হওয়ার পর,
প্রথম দিকে এপ্রন গায়ে আয়নায় গেলে নিজেকে অর্ধেক ডাক্তার :D মনে হয়।
মেডিকেলে কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর,
এপ্রন পরে আয়নায় গেলে নিজেকে গাধা :P মনে হয়।।
তাই অধিকাংশ ছাত্রের এপ্রন দিনে দিনে কাধে উঠতে থাকে।।
ফোর্থ-ফিফথ ইয়ারে এপ্রন তো নাই হয়ে যায়।।
মেডিকেল ছাত্ররা কত রকমের এপ্রন পরে তার কোনো হিসেব আছে??
উত্তর - না ।।
কোনো এপ্রন হাফ হাতা,
কোনোটা থ্রি কোয়ার্টার,
কোনোটা ফুল হাতা।।
কোনটা হালকা ক্রিম কালার।
কেনোটা ধবধবে সাদা ,
কোনোটা নীলাভ আকাশী সাদা।।
উপরের সবকিছু দিয়ে এপ্রন চিনতে পারলেও,
কোনটা ছাত্রের কিংবা কোনটা ছাত্রীর সেটা বুঝতে পারবেন না।।
সেটা বুঝার জন্য এপ্রনের পিছনে দেখতে হবে,
কোনটা ফিতা ঝুলানো ,
আর কোনটা ফিতা ঝুলানো না ।।
ফিতা ঝুলানোটা ছাত্রীর।।
একবার অন্তরা টেইলার্সে এপ্রন সেলাইতে দিয়েছিলাম,
অন্তরা টেইলার্স মোর অন্তরটা ছ্যাড়াবেড়া করে দিয়েছিলো।।
১ম এপ্রনটা পড়াও হয় নি খুব একটা।।
বাসায় ট্রায়াল দেওয়াটায় শেষ,
যথারীতি এপ্রন পড়ে আয়নার সামনে গেলাম,
ছোট বোন এসে বললো ভাই এটা তো ছেলেদের এপ্রন না।।
মেয়েদের :P এপ্রন।।
মাথা ত নষ্ট হয়ে গেলো।।
পরের দিন মেজাজ চরম অবস্থায় টেইলার্সে গেলাম,
অন্তরা :P টেইলার্স বলে,
সরি ভাই,
ভুলে আরেকজনের এপ্রন আপনার কাছে চলে গেছে।। সরি কিছু মনে করবেন না।।
ঝাক মাথাটা কিছু ঠান্ডা হলো।।
এবার আর ট্রায়াল দিলাম না,
সরাসরি এনাটমি ক্লাসে এপ্রন পরে হাজির।
ফারজানা ম্যাডাম রীতিমত রেগে বললো,
এই ছেলে তুমি কি এপ্রন পরেছ?
নাকি মাসল দেখাতে এসেছো।।
এতো টাইট এপ্রন কেউ পড়ে??
এই এপ্রন যেন আর না দেখি!!!
এরপর থেকে সেই এপ্রন পড়া হয় নি,,
কিন্তু এপ্রনটা এখনো চকচক করছে আলমারীতে, জীবনের প্রথম এপ্রন বলে কথা।।।
ডাক্তার হয়েও ওয়ার্ডে এপ্রন পড়ে রাউন্ড দিতে বড়ড় কষ্ট হয় ,
এপ্রন গায়ে দিলেই - গায়ে জ্বর জ্বর :P ভাব চলে আসে আমার ।
---- লেখা - ডাঃ স্বাধীন
--- ডাঃ স্বাধীন ----
ফেসবুকে আমি
মেডিকেলে ভর্তির প্রারম্ভে এপ্রনের :P প্রতি খুবই আগ্রহ থাকে,
আর ভর্তি হওয়ার পর,
প্রথম দিকে এপ্রন গায়ে আয়নায় গেলে নিজেকে অর্ধেক ডাক্তার :D মনে হয়।
মেডিকেলে কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর,
এপ্রন পরে আয়নায় গেলে নিজেকে গাধা :P মনে হয়।।
তাই অধিকাংশ ছাত্রের এপ্রন দিনে দিনে কাধে উঠতে থাকে।।
ফোর্থ-ফিফথ ইয়ারে এপ্রন তো নাই হয়ে যায়।।
মেডিকেল ছাত্ররা কত রকমের এপ্রন পরে তার কোনো হিসেব আছে??
উত্তর - না ।।
কোনো এপ্রন হাফ হাতা,
কোনোটা থ্রি কোয়ার্টার,
কোনোটা ফুল হাতা।।
কোনটা হালকা ক্রিম কালার।
কেনোটা ধবধবে সাদা ,
কোনোটা নীলাভ আকাশী সাদা।।
উপরের সবকিছু দিয়ে এপ্রন চিনতে পারলেও,
কোনটা ছাত্রের কিংবা কোনটা ছাত্রীর সেটা বুঝতে পারবেন না।।
সেটা বুঝার জন্য এপ্রনের পিছনে দেখতে হবে,
কোনটা ফিতা ঝুলানো ,
আর কোনটা ফিতা ঝুলানো না ।।
ফিতা ঝুলানোটা ছাত্রীর।।
একবার অন্তরা টেইলার্সে এপ্রন সেলাইতে দিয়েছিলাম,
অন্তরা টেইলার্স মোর অন্তরটা ছ্যাড়াবেড়া করে দিয়েছিলো।।
১ম এপ্রনটা পড়াও হয় নি খুব একটা।।
বাসায় ট্রায়াল দেওয়াটায় শেষ,
যথারীতি এপ্রন পড়ে আয়নার সামনে গেলাম,
ছোট বোন এসে বললো ভাই এটা তো ছেলেদের এপ্রন না।।
মেয়েদের :P এপ্রন।।
মাথা ত নষ্ট হয়ে গেলো।।
পরের দিন মেজাজ চরম অবস্থায় টেইলার্সে গেলাম,
অন্তরা :P টেইলার্স বলে,
সরি ভাই,
ভুলে আরেকজনের এপ্রন আপনার কাছে চলে গেছে।। সরি কিছু মনে করবেন না।।
ঝাক মাথাটা কিছু ঠান্ডা হলো।।
এবার আর ট্রায়াল দিলাম না,
সরাসরি এনাটমি ক্লাসে এপ্রন পরে হাজির।
ফারজানা ম্যাডাম রীতিমত রেগে বললো,
এই ছেলে তুমি কি এপ্রন পরেছ?
নাকি মাসল দেখাতে এসেছো।।
এতো টাইট এপ্রন কেউ পড়ে??
এই এপ্রন যেন আর না দেখি!!!
এরপর থেকে সেই এপ্রন পড়া হয় নি,,
কিন্তু এপ্রনটা এখনো চকচক করছে আলমারীতে, জীবনের প্রথম এপ্রন বলে কথা।।।
ডাক্তার হয়েও ওয়ার্ডে এপ্রন পড়ে রাউন্ড দিতে বড়ড় কষ্ট হয় ,
এপ্রন গায়ে দিলেই - গায়ে জ্বর জ্বর :P ভাব চলে আসে আমার ।
---- লেখা - ডাঃ স্বাধীন
--- ডাঃ স্বাধীন ----
ফেসবুকে আমি