২৫ ফেব্রুয়ারির হত্যাযজ্ঞে,
মত্ত ছিলো,
যেসব দৈত্য !!
গোপন করিও না ,
তাদের তথ্য "
তথ্য যদি পাই সত্য
চিত্ত খুলিয়া করিবো নৃত্য ,
যতই চিবান পথ্য,
লাভ হবে না দৈত্য,
মৃত্যু তোমায় হানা দিবে নিত্য ।
২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি রাতে
হোস্টেলের ডাইনিং এর হার্ডবোর্ডে লিখছিলাম ইতিহাসের নিকৃষ্ট মহাপরিকল্পিত
পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে,
আজ,
সেই ডাইনিং বোর্ড নেই,
স্মৃতিতে গেঁথে আছে,
সেই লাইন দুটো,
।
----—---------
শহীদদের তালিকা ও পরিচিতি
২০০৯ সালের ২৫-২৬
ফেব্রুয়ারী বিডিআর
বিদ্রোহে আমরা হারিয়েছি
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর
মেধাবী ও চৌকশ ৫৭ জন
সেনা কর্মকর্তা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের
নয় মাসেও এত সামরিক কর্মকর্তা জীবন
দেন নাই। একটি সামরিক
বিদ্রোহে কখনো এমন ম্যাসাকার
ঘটে না। অত্যন্ত কষ্টের বিষয় এই যে,
ঘটনার মাত্র চার বছরেই
আমরা আমাদের এই বীর শহীদদের
ভুলে যেতে বসেছি।
পিলখানায় নিহত ৫৭ জন
সেনা কর্মকর্তাদের সংক্ষিপ্ত
জীবনবৃত্তান্ত
০১/ শহীদ মেজর
জেনারেল শাকিল আহমেদ, এনডিসি,
পিএসসি ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯
ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি;
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯
আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স
সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ
ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (রংপুর), ৬৬
আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার,
সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক
সচিব ও ৬৬ পদাতিক
ডিভিশনে জেনারেল অফিসার
কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ
দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা
পদেও নিয়োজিত ছিলেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন
হোসেন শাকিল
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হয়েছেন।
তিনি কন্যা আকীলা রাইদা আহমেদ ও
পুত্র রাকীন আহমেদকে রেখে গেছেন।
০২/ শহীদ ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মো. জাকির হোসেন ১৯৫৩
সালের ৩০ জুন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮১ সালের ২৩ জুন
মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন।
তাঁর জ্যেষ্ঠতার তারিখ ২৩ জুন ১৯৭৮,
চাকরি জীবনে তিনি রংপুর সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতাল ১০, ১৮, ২১ ও ৩১
ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স; ১ ইস্ট বেঙ্গল, রংপুর
ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস
মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ২৪ পদাতিক
ডিভিশন, সেনা সদর সামরিক সচিবের
শাখা, মোমেনশাহী সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতাল, ১৯ পদাতিক
ডিভিশন ও বাংলাদেশ
বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন
পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন
এবং রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক, মেডিক্যাল সার্ভিস
(ডিএমএস) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
সাইদা সুলতানা, দুই
কন্যা সাদিয়া হোসেন ও
সামিয়া হোসেন এবং পুত্র সাকিব
আবরার।
০৩/ শহীদ ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল বারী ,
এনডিসি, পিএসসি ১৯৫৯ সালের ১৩ জুন
খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯
সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৮ ও ৯ ইস্ট
বেঙ্গল, ৬ ও ১০ বীর, আর্মি স্কুল অব
ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস,
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর,
সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ ও স্টাফ
ডিউটিজ পরিদপ্তর এবং স্কুল অব
ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড
ট্যাকটিক্সে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি ৫৫ পদাতিক
ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৯৮
কম্পোজিট ব্রিগেডে কমান্ডার
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে উপ-
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী ফারহানা বারী এবং দুই পুত্র
সুদীপ্ত বারী ও সৌরভ বারী।
০৪/ শহীদ কর্নেল মো.
মজিবুল হক ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল
বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর
ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৮ ও ৯
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬
ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন,
৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার
ব্যাটালিয়ন, এসএমআই, ফিল্ড
ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও
বিডিআরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন কনে। এ
ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা
মহাপরিদপ্তরে কর্নেল জেনারেল
স্টাফ ও ব্যাংককে বাংলাদেশ
দূতাবাসে মিনিস্টার (কনস্যুলার)
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (ঢাকা)
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী, দুই
পুত্র মো. মুহিব হক ও মো. নাদীত হক
এবং কন্যা তেহ্রীম
মুজিবকে রেখে গেছেন।
০৫/ শহীদ কর্নেল মো.
আনিস উজ জামান, এনডিসি ১৯৫৯
সালের ১৬ আগস্ট রাজশাহী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালে ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৭ ও ৩২ ইস্ট
বেঙ্গল, ৪ ও ৯ বীর, দি ইস্ট বেঙ্গল
রেজিমেন্টাল সেন্টার, বাংলাদেশ
মিলিটারি একাডেমি, বিডিআর ও
১০৫ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের
সচিবালয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের
একান্ত সচিব ও বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে পরিচালক
(অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং)
পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশন এ-ও অংশগ্রহণ করেন।
তাঁর স্ত্রী নাজমা জামান, দুই
কন্যা ফারিহা মেহরিন জামান ও
সামিহা মেহরিন জামান এবং পুত্র
মো. আহনাফউজ জামান।
০৬/ শহীদ কর্নেল
মোহাম্মদ মসীউর রহমান , পিএসসি ১৯৬৩
সালের ১ জানুয়ারি খুলনা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫
নভেম্বর সিগন্যাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ৫ ও ৭
সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন,
এসটিসিঅ্যান্ডএস, ১০২ স্বতন্ত্র ব্রিগেড
সিগন্যাল কম্পানি, স্ট্যাটিক সিগন্যাল
কম্পানি ও সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও পূর্ব
তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক (যোগাযোগ)
পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং দুই পুত্র
জুবায়ের আল মুসা ও মো. আশেকুর রহমান।
০৭/ শহীদ কর্নেল কুদরত
ইলাহী রহমান শফিক, এনডিসি,
পিএসসি ১৯৬২ সালের ১ নভেম্বর রংপুর
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ১০, ১৮ ও ৪৩
ইস্ট বেঙ্গল (৮ বীর), এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৯
পদাতিক ব্রিগেড ও
এমআইএসটিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বসনিয়া ও সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (দিনাজপুর) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী লবী রহমান ও একমাত্র পুত্র
সাকিব রহমানকে রেখে গেছেন।
০৮/ শহীদ কর্নেল
মোহাম্মদ আখতার হোসেন , পিএসসি,
জি+ ১৯৬৩ সালের ২৪ জুন নওগাঁ জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১ ও ৯
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
এসআইঅ্যান্ডটি, বিএমএ, ৩৩
আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক
ডিভিশন, ২১ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট
আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র মিডিয়াম
এডি ব্যাটারি আর্টিলারি ও সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে পর্যবেক্ষক
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে চিফ অপারেশন অফিসার
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (চট্টগ্রাম) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রীমা)
এবং তিন পুত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন
ফারাবী, মো. ফয়সাল হোসেন
ফাহমী ও মো. আন্দালীব হোসেন
ফারদিন।
০৯/ শহীদ কর্নেল মো.
রেজাউল কবীর , এএফডবি্লউসি,
পিএসসি ১৯৬৩ সালের ১০
ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের
করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ১০ জুন আর্মি সার্ভিস
কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৩২, ৩৫ ও ৩৬
এসটিক ব্যাটালিয়ন; এসএসডি বগুড়া,
এসএসডি রংপুর, আর্মি সার্ভিস কোর
সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও সেনা সদর এমএস
শাখায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (দিনাজপুর) পদেও দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
মিশনে কম্ব্যাট জাতিসংঘ সাপ্লাই
প্লাটুন কমান্ডার
এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন)
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সাইদা সুলতানা। তিনি পুত্র মো.
ফায়সাল কবীর এবং দুই
কন্যা রাইসা কবীর ও
রামিজা কবীরের জনক।
১০/ শহীদ কর্নেল নাফিজ
উদ্দীন আহমেদ, পিএসসি ১৯৬১ সালের ৫
জানুয়ারি ভোলা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মর্ড
কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি বেঙ্গল
ক্যাভ্যালরি, ৬ ক্যাভ্যালরি, ৭ হর্স,
পিজিআর, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর, ২
রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও স্পেশাল
সিকিউরিটি ফোর্সে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিডিআরের সেক্টর উপ-
অধিনায়ক পদেও কর্মরত ছিলেন।
তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি রাইফেলস
ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড
স্কুলে কমান্ড্যান্ট পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী মুন্নী চৌধুরী ও
একমাত্র পুত্র ইয়াছির আহমেদ
উসামাকে রেখে গেছেন।
১১/ শহীদ কর্নেল
কাজী এমদাদুল হক, পিএসসি ১৯৬২
সালের ৭ ডিসেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১১ ও ১৮ ইস্ট
বেঙ্গল, ২৪ পদাতিক ডিভিশন,
এসআইঅ্যান্ডটি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও
সেনা সদর বাজেট পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি র্যাব-৭-এ অধিনায়ক, ১১
পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৭৭
পদাতিক ব্রিগেডে ভারপ্রাপ্ত
কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক,
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে স্টাফ অফিসার পদেও দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (রাজশাহী) পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন নুর
সুইটি এবং দুই পুত্র কাজী উমান এমদাদ ও
কাজী তাওসীফ এমদাদ।
১২/ শহীদ কর্নেল বিএম
জাহিদ হোসেন , পিএসসি ১৯৬১ সালের
১০ আগস্ট বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯, ১৯, ২৭ ও ৪০
ইস্ট বেঙ্গল; ১ ও ৯ বীর, এসআইঅ্যান্ডটি,
৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও সদর দপ্তর লগ
এরিয়ায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার এবং ডিজিএফআইয়ে কর্নেল
জিএস পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন এবং লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের
সেক্টর কমান্ডার (ময়মনসিংহ)
পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী নিসরাত জাহিদ। তাঁদের দুই পুত্র
বিএম আবরার শাহরিয়ার ও বিএম
রুবাইয়াত শাহরিয়ার।
১৩/ শহীদ কর্নেল সামসুল
আরেফিন আহাম্মেদ, পিএসসি ১৯৬২
সালের ২০ আগস্ট ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৬, ২০, ৩২ ও ৩৭
ইস্ট বেঙ্গল, ২৮ বীর, ৬৫ পদাতিক
ব্রিগেড, এফআইইউ, ১১ ও ২৪ পদাতিক
ডিভিশন এবং সেনা সদর এমআই
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি এরিয়া সদর দপ্তর
কুমিল্লার কর্নেল অ্যাডমিন পদেও
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায়
জাতিসংঘ সহায়তা মিশন
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (কুষ্টিয়া) পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ
এবং দুই কন্যা আসিমা ইসরাত ও
রামিসা ফারিহাকে রেখে গেছেন।
১৪/ শহীদ কর্নেল মো.
নকিবুর রহমান , পিএসসি ১৯৬৩ সালের ৬
সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪, ৩০,
৩২ ও ৪২ ইস্ট বেঙ্গল, ২১ বীর, ২৪ পদাতিক
ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, বিআরইউ
যশোর ও ৫৫ পদাতিক
ডিভিশনে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন
এবং জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (কুমিল্লা) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিশাদ
রহমান, পুত্র নাবিল ইবনে নাকিব ও
কন্যা নুদরাত বিনতে নাকিব।
১৫/ শহীদ কর্নেল
কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন,
পিএসসি ১৯৬০ সালে ১৪ ডিসেম্বর
কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
সিগন্যালস কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩ ও ১০
সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন; এসটিসিএস,
আর্মি সিগন্যাল ব্রিগেড, ডিজিএফআই
ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তর
এবং বিডিআরের ৩৭ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
এবং কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে অধিনায়ক, ফোর্স ব্যানএমপি-১
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (রাঙ্গামাটি)
পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী বদরুন্নেছা খানম। তিনি দুই পুত্র
কাজী সামির আসাফ ও কাজী সাদির
আসাফের জনক।
১৬/ শহীদ কর্নেল গুলজার
উদ্দিন আহমেদ, পিএসসি ১৯৬৪ সালের
২১ মার্চ কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন।চাকরি জীবনে তিনি ২, ৮, ৩৪,
৪৪ ইস্ট বেঙ্গল (৯ বীর), ৬৬ পদাতিক
ডিভিশন, বিএমএ, এনসিওস একাডেমি ও
সেনা সদর এমও পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি র্যাব-৩-এ অধিনায়ক
এবং র্যাব ফোর্সেস সদর
দপ্তরে পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং)
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন
সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (সিলেট) পদে দায়িত্ব পালন
করেছিলেন। তাঁর
স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা এবং দুই
কন্যা জাহীন তাসনিয়া ও
লামিয়া সাইয়ারা।
১৭/ শহীদ কর্নেল মো.
শওকত ইমাম, পিএসসি, জি+ ১৯৬১
সালে ২০ মে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ২১, ৩৬
ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৪
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৩
রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এসিঅ্যান্ডএস ও
সেনা সদর
আর্টিলারি পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশন এবং সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (খাগড়াছড়ি) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নুজহাত
আহসান ও একমাত্র
কন্যা সুমেরা ফাইজা আজরিনকে রেখে
গেছেন।
১৮/ শহীদ কর্নেল মো.
এমদাদুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬২ সালের
১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৩৯, ৪৩ (৮ বীর)
ও ৪৪ (৯ বীর) ইস্ট বেঙ্গল, বিডিআর,
বিএমএ এসআইঅ্যান্ডটি, পিজিআর ও ৬৯
পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষক মিশনে পর্যবেক্ষক
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনের ফোর্স সদর দপ্তরে ডেপুটি চিফ
অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (খুলনা) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শামীমা আক্তার (লুনা) এবং পুত্র
মো. আকিফ আল ইসলাম ও কন্যা নৌশিন
নাওয়ার নূরজাহান।
১৯/ শহীদ কর্নেল মো.
আফতাবুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬৪ সালের
১ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২ ও ৩৩
এসটি ব্যাটালিয়ন,
এসএসডি মোমেনশাহী,
এসএসডি কুমিল্লা, এএসসিসিঅ্যান্ডএস,
আন্তবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ,
সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর ও
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ইরাকে জাতিসংঘ গার্ড
কন্ডিনজেন্ট এবং সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে (টঘগওঝ) দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (রংপুর) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী নাসিমা মোশারাফ
বন্যা ও একমাত্র কন্যা নুদরাত
নাওয়ারকে রেখে গেছেন।
২০/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল এনশাদ ইবন আমিন, জি+ ১৯৫৯
সালের ৩ মার্চ রাজশাহী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ৩৬ ও
৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৫
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
ডিজিএফআই ও আইএসএসবিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিট,
ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
রোয়েনা মতিন। তিনি পুত্র এম
মাশাহেদ বিন এনশাদ
এবং কন্যা নুজহাত নাহিয়ান এনশাদের
জনক।
২১/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল শামসুল আজম , পিএসসি, ইএমই ১৯৬০
সালের ৭
জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালের ১৫ জুন
ইএমই কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৮ ও ১২৭ ফিল্ড
ওয়ার্কশপ কম্পানি, ৭০৩ মিডিয়াম
ওয়ার্কশপ; ১১, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন,
ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড
স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস
ফ্যাক্টরি ও ৬ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের কমান্ডার
ইএমই (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুনমুন আক্তার।
তিনি তিন পুত্র তারিক বিন আজম
তানিম, জারিফ বিন আজম জিষান ও
সুদীপ্ত শাহীন মাশরাফির পিতা।
২২/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল কাজী রবি রহমান ,
এনডিসি ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর
মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৪ সালের ১ অক্টোবর
আর্মি ডেন্টাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭ ফিল্ড
অ্যাম্বুলেন্স, যশোর সিএমএইচ, রংপুর
সিএমএইচ, মোমেনশাহী সিএমএইচ,
সাভার সিএমএইচ, বগুড়া সিএমএইচ,
ঢাকা সিএমএইচ, কুমিল্লা সিএমএইচ,
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড
ফোর্সেস মেডিক্যাল
ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন
নিযুক্তি'
২৮/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম , এসি ১৯৬০
সালের ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ২৩ ডিসেম্বর
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৬ ক্যাভালরি, ৪
হর্স, ১২ ল্যান্সার, বিডিআর ও সেনা সদর
সাঁজোয়া পরিদপ্তরে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশন ,
অপারেশন সার্ক বন্ধন
এবং মালদ্বীপে প্রেরিত
টাস্কফোর্সে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর
অপারেশন ও প্রশিক্ষণ
পরিদপ্তরে জিএসও-১ পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনুর
পারভীন জবা এবং তিন পুত্র শাহ
মোঃ সালাউদ্দীন সাইফ, শাহ
মোঃ আসিফ হাসান ও সরকার
মোঃ শরীফুল ইসলাম
আদ্দীনকে রেখে গেছেন।
২৯/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মোঃ লুৎফর রহমান , পিএসসি,
আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১০ নভেম্বর
জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪
মর্টার রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬
স্বতন্ত্র এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৫৭ ও
৫৮ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এএ
ব্যাটারি আর্টিলারি, ৩৮ এসএএ
রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ৬, ১২, ১৫ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
সিলেট ক্যাডেট কলেজ, সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগ ও বিডিআরের ৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব
পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায়
জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও পশ্চিম
সাহারায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা)
অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত
ছিলেন। তার স্ত্রী মুনমুন রহমান। এম
তাসকীন রহমান ও
তাম্মি তানজিনা রহমান
নামে তাঁদের এক পুত্র ও এক
কন্যা সন্তান রয়েছে।
৩০/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান ,
অর্ডন্যান্স ১৯৬৭ সালের ২৭
জানুয়ারি পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন
অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স
ডেপো-যশোর, ৩১ আইএপি, অর্ডন্যান্স
ডেপো-কুমিল্লা, ৫০৫ ডিওসি,
অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল,
এরিয়া সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম
এবং সেনা সদর অর্ডন্যান্স ও
ডবি্লউইএন্ডএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে সহকারী পরিচালক, অর্ডন্যান্স
সার্ভিস হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন
নিশাত সিরাজী এবং দুই পুত্র মোহাম্মদ
মুহতাসিম ইত্তিসাফ ও মোহাম্মদ
তাওসীফ ইসফাককে রেখে গেছেন।
৩১/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল লুৎফর রহমান খান, এএমসি ১৯৬৪
সালের ১ জুন ঝালকঠি জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯১ সালের ৮
জানুয়ারি মেডিক্যাল কোরে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬১
ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, ২৩ ও ২৪ ইস্ট বেঙ্গল,
এএফএমআই, রংপুর সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতালে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি পিলখানায় বিডিআর
হাসপাতালে পর্যায়িত
মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী ডা. রওশন আরা বেগম। তাঁর
ফাবলিহা বুশরা নামে এক
কন্যা এবং ফাহিম ইব্রাহিম রহমান খান
নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
৩২/ শহীদ মেজর মো. মকবুল
হোসেন , পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৭
জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ২৩ ইস্ট
বেঙ্গল, পিজিআর, বিডিআরের ৬ ও ৩৪
রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এএসইউ ও
ডিজিএফআই-এ দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ
মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি তাঁর
স্ত্রী তাহিরা নিপা এবং একমাত্র
কন্যা যারিন
মুসাররাতকে রেখে গেছেন।
৩৩/ শহীদ মেজর মো. আব্দুস
সালাম খান , পদাতিক ১৯৬৩ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৪৫ ইস্ট
বেঙ্গল, এসআইএন্ডটি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, ৬৯
পদাতিক ব্রিগেড ও এসএসএফে দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষণ মিশন ও সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রেকর্ড অফিসার-২
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী মাহবুবা বেগম বন্যা। সাকিব
মাহমুদ খান (প্রীতম) ও আকিব মাহবুদ খান
(প্রতীক) নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান
রয়েছে।
৩৪/ শহীদ মেজর হোসেন
সোহেল শাহনেওয়াজ , পদাতিক ১৯৬৫
সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ১২, ২৫
ও ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল; বিডিআর, সেনাসদর
পিএ পরিদপ্তর, বাংলাদেশ আর্মড
সার্ভিসেস বোর্ড, এএফএমএসডি ও
বিআইআইএসএসে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের জেড
এফএসও, ঢাকা হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী হাসনাহেনা চৌধুরী এবং
কন্যা আদিবা কাশফী ঐশী ও পুত্র
হোসেন সাফাত হাসনাতকে (ওহী)
রেখে গেছেন।
৩৫/ শহীদ মেজর
কাজী মোছাদ্দেক হোসেন ,
আর্টিলাটির ১৯৬৬ সালের ১
জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ১৪
ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৬
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮
মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৩
পদাতিক ডিভিশন, সদর দপ্তর লগ এরিয়া,
বিডিআর ও র্যাব ফোর্সেস সদর
দপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি ৩৩ রাইফেল
ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী কোহিনুর হোসেন। তাঁদের দুই
কন্যা কাজী নাজিফা তাবাস্সুম
হোসেন ও কাজী নাজিয়া তাবাস্সুম
হোসেন।
৩৬/ শহীদ মেজর আহমেদ
আজিজুল হাকিম , ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬৫
সালের ১৯ আগস্ট পাবনা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ১২
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন,
আর্মি এমপি ইউনিট, মির্জাপুর ক্যাডেট
কলেজ, রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও বগুড়ায়
সিএমইএস (আর্মি) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি কুয়েতে বাংলাদেশের
কম্পোজিট ইঞ্জিনিয়ার
ব্যাটালিয়ন-৪-এ দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে ডিএএএন্ডকিউএমজি, নির্মাণ
(ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী আকলিমা আজিজ (রেবা),
পুত্র আহমেদ আনজুম আজিজ ও
কন্যা রোকাইয়া বিনতে আজিজকে
রেখে গেছেন।
৩৭/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
সালেহ, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১১
জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১,
২৫ ও ৫০ ইস্ট বেঙ্গল, আর্মি এমপি ইউনিট,
৭ এমপি ইউনিট ও ৯ পদাতিক
ডিভিশনে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি হাইতিতে জাতিসংঘ মিশন ও
কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব
পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর
সদর দপ্তরে ডিএএজি (প্রশাসন)
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী নাসরীন আহমদ রুমা এবং দই
পুত্র রাইয়ান মাহমুদ ও রাজিন মাহমুদ।
৩৮/ শহীদ মেজর
কাজী আশরাফ হোসেন,
আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১
জানুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩ ফিল্ড
রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২১
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭
স্বতন্ত্র মিডিয়াম
এডি ব্যাটারি আর্টিলারি,
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি ঢাকায়
বিডিআরের ১৩ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী নাদেজদা জেরিন
চৌধুরী ছাড়াও
কন্যা আফরা নাওরাহান (ঐশী) ও পুত্র
আইলিয়া আশরাফ (সৌম্য)
কে রেখে গেছেন।
৩৯/ শহীদ মেজর মাহমুদ
হাসান, পদাতিক ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন
চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৫, ২৭
ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), ১৯ বীর,
আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও
সেনা সদর পিএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন মিশন ও জাতিসংঘ
ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষ মিশনদায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর সদর
দপ্তর, ঢাকায় জেনারেল স্টাফ
অফিসার-২ হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সোনিয়া হাসান। তাঁদের
একমাত্র পুত্র নাফিস হাসান রাইয়ান।
৪০/ শহীদ মেজর মুস্তাক
মাহমুদ , পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪
সালের ১ জানুয়ারি যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪ ও ২০
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৫
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
এএসইউ ও সেনা সদর
এসডি পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনের বাংলাদেশ সেক্টর সদর
দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর
রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি স্ত্রী শাহপার খান শম্পা, পুত্র
সামিন মাহমুদ এবং দুই
কন্যা সানজে মাহমুদ ও সাজিন
মাহমুদকে রেখে গেছেন।
৪১/ শহীদ মেজর মাহমুদুল
হাসান, আর্টিলারি ১৯৬৬ সালের ২৯
ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৩ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১০
মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও
৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আইরিন
সুলতানা, কন্যা জারিন তাসনিম মাহমুদ
ও পুত্র মোঃ মোহাইমিনুল
হাসানকে রেখে গেছেন।
৪২/ শহীদ মেজর হুমায়ুন
হায়দার , পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৭
সালের ১৫ সেপ্টেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪, ১৪ ও ১৫
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল,
এসএসএফ, ১৯ আর্টিলারি ব্রিগেড,
ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড
স্টাফ কলেজ, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও
সেনা সদর কল্যাণ ও পুনর্বাসন
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ৩৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নের
ইন্টেলিজেন্স অফিসার
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শামীমা পারভিন, পুত্র তাসীন
ঋতি্বক হুমায়ুন (গত ২০ জুলাই
মারা গেছে) ও কন্যা উশিয়া আমরিন
রূপন্তী।
৪৩/ শহীদ মেজর
মোঃ আজহারুল ইসলাম , পিএসসি,
আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ১
জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন
এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ১৪, ১৫
ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট
আর্টিলারি এবং অ্যাডহক মিডিয়াম
ব্যাটারি আর্টিলারিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৩
রাইফেল ব্যাটালিয়নের (খুলনা) উপ-
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী শাহীনা শিউলী ও
কন্যা আদনিনা ইসলাম (ঐশী)
কে রেখে যান। গত ১৮ মে ২০০৯
তারিখে তাঁর
স্ত্রী আরেকটি কন্যা সন্তানের
মা হয়েছেন।
৪৪/ শহীদ মেজর মো.
হুমায়ুন কবীর সরকার , পদাতিক ১৯৬৮
সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯, ৩৪ ও ৪৫ ইস্ট
বেঙ্গল (১০ বীর), পিজিআর ও
বিডিআরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ) ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাশিদা কবীর
রেবা এবং দুই পুত্র সাদাফ আবরার
রাইয়ান ও তাশদীদ আবরার রাইয়ান।
৪৫/ শহীদ মেজর
মোঃ খালিদ হোসেন,
আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ২৫ জুলাই
পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
আর্মি এমপি ইউনিট ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে মহাপরিচালকের
সচিবালয়ে জেনারেল স্টাফ
অফিসার-২ (কর্ড) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ
ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর
স্ত্রী শিরিন আক্তার। আরিহা তাঁদের
একমাত্র কন্যা সন্তান হোসেন
সেমন্তী।
৪৬/ শহীদ মেজর মাহবুবুর
রহমান , আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ৭
ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৯ ও ১২
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
২৫ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
এমআইএসটি ও ৫ এমপি ইউনিটে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে যোগ
দিয়েছিলেন কেবল।
তিনি স্ত্রী রিতা রহমান ও একমাত্র
কন্যা ফায়জা মাহবুবকে রেখে গেছেন।
৪৭/ শহীদ মোঃ মিজানুর
রহমান , পদাতিক ১৯৭০ সালের ৩১
মে পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯১ সালের ২১ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৮, ২৯ ও ৪৭ ইস্ট
বেঙ্গল, ২৭ বীর, বাংলাদেশ
মিলিটারি একাডেমি ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।তাঁর স্ত্রী প্রয়াত
রেবেকা ফারহানা রোজী এবং দুই
পুত্র মোঃ তেহসিন বিন রহমান (রামী)
ও মো. ফারদীন রহমান (সামী)।
৪৮/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
মাকসুম-উল-হাকিম , আর্টিলারি ১৯৭২
সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২০
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট
আর্টিলারি এবং ৫৭৫
এফআইইউয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার
মাকসুম ও একমাত্র পুত্র মো. আহনাফ
জারিফ খানকে রেখে গেছেন।
৪৯/ শহীদ মেজর এস এম
মামুনুর রহমান , এএমসি ১৯৬৯ সালের ৩
অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই
আর্মি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ৭ ইস্ট
বেঙ্গল, ৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স,
বাংলাদেশ
বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন
এবং তিনি কুয়েতে অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে ডিএডিএমএস হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী তাহমিনা সাদেক
এবং একমাত্র পুত্র এসএএম মোস্তাফিজুর
রহমান (তাহমীদ)কে রেখে গেছেন।
৫০/ শহীদ মেজর
মোঃ রফিকুল ইসলাম, এইসি ১৯৬৯
সালের ৩০ সেপ্টেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯৩ সালের ২৪ জুলাই
শিক্ষা কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি সেনা সদর
জেএজি বিভাগে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে লিগাল অ্যাডভাইজার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেএজি শাখায় দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শাহিনা আক্তার। মো. শাদমান
সাকীব ও মো. রাগীব শাহরিয়ার
নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
৫১/ শহীদ মেজর সৈয়দ
মো. ইদ্রিস ইকবাল , ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৭৩
সালের ২৬ মার্চ খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর
ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ও ১২
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫৭
ইঞ্জিনিয়ার কম্পানিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩০
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে (ওকেপি-১) দায়িত্ব পালন
করেন। কুয়েত ছাড়াও
তিনি সৌদি আরব, মিসর ও সাইপ্রাস
সফর করেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
তাসলিমা রফিক।
তাহসিনা বিনতে ইকবাল ও
নুসাইবা বিনতে ইকবাল নামে তাঁদের
দুইটি কন্যা সন্তান আছে। ইদ্রিস ইকবাল
নিহত হওয়ার ৬ মাস পর গত
আগস্টে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যাটির জন্ম
হয়।
৫২/ শহীদ মেজর আবু সৈয়দ
গাযালী দস্তগীর , এসি ১৯৭৪ সালের
১১ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯ বেঙ্গল
ল্যান্সার, এফআইইউ, ১২ ল্যান্সার, বেঙ্গল
ক্যাভালরি ও বিডিআরের ১৮ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রাইফেলস্
সিকিউরিটি ইউনিটের ইস্টার্ন
ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী ক্যাপ্টেন
কাজী মৌসুমী, অর্ডন্যান্স ও একমাত্র
পুত্র কাজী ইব্রাহিম দস্তগীর (অনিন্দ্য)
কে রেখে গেছেন।
৫৩/ শহীদ মেজর মুহাম্মদ
মোশারফ হোসেন , অর্ডন্যান্স ১৯৭৩
সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬
সালের ৭ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন
লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স
ডেপো যশোর, সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স
ডেপো, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও
সেন্ট্রাল অ্যামোনিশন
ডেপোতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কুয়েতে উম-আল
গোয়াতী প্রজেক্টে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে এটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার
লিপি ও পুত্র মুহাম্মদ আকিব
মাহমুদকে রেখে যান। গত ২৩
মে তাঁদের আরেকটি পুত্র সন্তান
কামরান মোঃ আদিবের জন্ম হয়।
৫৪/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
মমিনুল ইসলাম সরকার , এসি ১৯৭৫ সালের
২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, বিডিআর,
৬ ক্যাভ্যালরি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও
আর্মি এমপি ইউনিটে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে ইন্টেলিজেন্স
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। মৃত্যুর ১১ দিন পর তাঁর
সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সানজানা
সোনিয়া জোবাইদা গত ৯ মার্চ ২০০৯
তারিখে এক পুত্র সন্তানের মা হন, যার
নাম রাখা হয়েছে সাদাকাত
সাবরী বিন মমিন।
৫৫/ শহীদ মেজর
মোস্তফা আসাদুজ্জামান , এসি ১৯৭৬
সালের ২১ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১২ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স,
এএসপিটিএস ও ১২ লান্সারে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ১১
রাইফেল ব্যাটালিয়নে (রামগড়)
অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সাইয়ারা নুসরাত সাইকি।
তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম
সাহমিন ইয়াশা সুহা।
৫৬/ শহীদ মেজর তানভীর
হায়দার নূর , আর্টিলারি ১৯৭৯ সালের
৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩৬
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৮
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও
বিডিআরের ৩৫ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অ্যাডজুটেন্ট
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা (প্রেরণা)
স্ত্রীকে ছাড়াও তিনি দুই পুত্র
তাসবীদ ইসরাক (ইফাজ) ও তাসবীর
ইসফার (ওয়াদা)কে রেখে গেছেন।
৫৭/ শহীদ ক্যাপ্টেন
মোঃ মাজহারুল হায়দার ,
আর্টিলারি ১৯৮০ সালের ৩০ এপ্রিল
টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
থেকে পড়াশোনা করেন এবং ২০০০
সালে কমিশন প্রাপ্ত হন।
তিনি বিডিআর ডিজি মহোদয়ের
এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে উচ্চতর
প্রশিক্ষন লাভ করেন।
২৫শে ফেব্রুয়ারী ঘটনার ৮০ দিন
পূর্বে তৎকালীন আইজিপি জনাব নূর
মোহাম্মদ এর কন্যা ফারিহা নূর এর
সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মত্ত ছিলো,
যেসব দৈত্য !!
গোপন করিও না ,
তাদের তথ্য "
তথ্য যদি পাই সত্য
চিত্ত খুলিয়া করিবো নৃত্য ,
যতই চিবান পথ্য,
লাভ হবে না দৈত্য,
মৃত্যু তোমায় হানা দিবে নিত্য ।
২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি রাতে
হোস্টেলের ডাইনিং এর হার্ডবোর্ডে লিখছিলাম ইতিহাসের নিকৃষ্ট মহাপরিকল্পিত
পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে,
আজ,
সেই ডাইনিং বোর্ড নেই,
স্মৃতিতে গেঁথে আছে,
সেই লাইন দুটো,
।
----—---------
শহীদদের তালিকা ও পরিচিতি
২০০৯ সালের ২৫-২৬
ফেব্রুয়ারী বিডিআর
বিদ্রোহে আমরা হারিয়েছি
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর
মেধাবী ও চৌকশ ৫৭ জন
সেনা কর্মকর্তা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের
নয় মাসেও এত সামরিক কর্মকর্তা জীবন
দেন নাই। একটি সামরিক
বিদ্রোহে কখনো এমন ম্যাসাকার
ঘটে না। অত্যন্ত কষ্টের বিষয় এই যে,
ঘটনার মাত্র চার বছরেই
আমরা আমাদের এই বীর শহীদদের
ভুলে যেতে বসেছি।
পিলখানায় নিহত ৫৭ জন
সেনা কর্মকর্তাদের সংক্ষিপ্ত
জীবনবৃত্তান্ত
০১/ শহীদ মেজর
জেনারেল শাকিল আহমেদ, এনডিসি,
পিএসসি ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯
ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি;
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯
আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স
সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ
ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (রংপুর), ৬৬
আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার,
সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক
সচিব ও ৬৬ পদাতিক
ডিভিশনে জেনারেল অফিসার
কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ
দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা
পদেও নিয়োজিত ছিলেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন
হোসেন শাকিল
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হয়েছেন।
তিনি কন্যা আকীলা রাইদা আহমেদ ও
পুত্র রাকীন আহমেদকে রেখে গেছেন।
০২/ শহীদ ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মো. জাকির হোসেন ১৯৫৩
সালের ৩০ জুন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮১ সালের ২৩ জুন
মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন।
তাঁর জ্যেষ্ঠতার তারিখ ২৩ জুন ১৯৭৮,
চাকরি জীবনে তিনি রংপুর সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতাল ১০, ১৮, ২১ ও ৩১
ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স; ১ ইস্ট বেঙ্গল, রংপুর
ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস
মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ২৪ পদাতিক
ডিভিশন, সেনা সদর সামরিক সচিবের
শাখা, মোমেনশাহী সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতাল, ১৯ পদাতিক
ডিভিশন ও বাংলাদেশ
বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন
পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন
এবং রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক, মেডিক্যাল সার্ভিস
(ডিএমএস) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
সাইদা সুলতানা, দুই
কন্যা সাদিয়া হোসেন ও
সামিয়া হোসেন এবং পুত্র সাকিব
আবরার।
০৩/ শহীদ ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল বারী ,
এনডিসি, পিএসসি ১৯৫৯ সালের ১৩ জুন
খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯
সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৮ ও ৯ ইস্ট
বেঙ্গল, ৬ ও ১০ বীর, আর্মি স্কুল অব
ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস,
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর,
সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ ও স্টাফ
ডিউটিজ পরিদপ্তর এবং স্কুল অব
ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড
ট্যাকটিক্সে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি ৫৫ পদাতিক
ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৯৮
কম্পোজিট ব্রিগেডে কমান্ডার
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে উপ-
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী ফারহানা বারী এবং দুই পুত্র
সুদীপ্ত বারী ও সৌরভ বারী।
০৪/ শহীদ কর্নেল মো.
মজিবুল হক ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল
বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর
ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৮ ও ৯
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬
ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন,
৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার
ব্যাটালিয়ন, এসএমআই, ফিল্ড
ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও
বিডিআরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন কনে। এ
ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা
মহাপরিদপ্তরে কর্নেল জেনারেল
স্টাফ ও ব্যাংককে বাংলাদেশ
দূতাবাসে মিনিস্টার (কনস্যুলার)
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (ঢাকা)
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী, দুই
পুত্র মো. মুহিব হক ও মো. নাদীত হক
এবং কন্যা তেহ্রীম
মুজিবকে রেখে গেছেন।
০৫/ শহীদ কর্নেল মো.
আনিস উজ জামান, এনডিসি ১৯৫৯
সালের ১৬ আগস্ট রাজশাহী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালে ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৭ ও ৩২ ইস্ট
বেঙ্গল, ৪ ও ৯ বীর, দি ইস্ট বেঙ্গল
রেজিমেন্টাল সেন্টার, বাংলাদেশ
মিলিটারি একাডেমি, বিডিআর ও
১০৫ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের
সচিবালয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের
একান্ত সচিব ও বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে পরিচালক
(অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং)
পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশন এ-ও অংশগ্রহণ করেন।
তাঁর স্ত্রী নাজমা জামান, দুই
কন্যা ফারিহা মেহরিন জামান ও
সামিহা মেহরিন জামান এবং পুত্র
মো. আহনাফউজ জামান।
০৬/ শহীদ কর্নেল
মোহাম্মদ মসীউর রহমান , পিএসসি ১৯৬৩
সালের ১ জানুয়ারি খুলনা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫
নভেম্বর সিগন্যাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ৫ ও ৭
সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন,
এসটিসিঅ্যান্ডএস, ১০২ স্বতন্ত্র ব্রিগেড
সিগন্যাল কম্পানি, স্ট্যাটিক সিগন্যাল
কম্পানি ও সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও পূর্ব
তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক (যোগাযোগ)
পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং দুই পুত্র
জুবায়ের আল মুসা ও মো. আশেকুর রহমান।
০৭/ শহীদ কর্নেল কুদরত
ইলাহী রহমান শফিক, এনডিসি,
পিএসসি ১৯৬২ সালের ১ নভেম্বর রংপুর
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ১০, ১৮ ও ৪৩
ইস্ট বেঙ্গল (৮ বীর), এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৯
পদাতিক ব্রিগেড ও
এমআইএসটিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বসনিয়া ও সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (দিনাজপুর) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী লবী রহমান ও একমাত্র পুত্র
সাকিব রহমানকে রেখে গেছেন।
০৮/ শহীদ কর্নেল
মোহাম্মদ আখতার হোসেন , পিএসসি,
জি+ ১৯৬৩ সালের ২৪ জুন নওগাঁ জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১ ও ৯
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
এসআইঅ্যান্ডটি, বিএমএ, ৩৩
আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক
ডিভিশন, ২১ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট
আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র মিডিয়াম
এডি ব্যাটারি আর্টিলারি ও সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে পর্যবেক্ষক
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে চিফ অপারেশন অফিসার
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (চট্টগ্রাম) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রীমা)
এবং তিন পুত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন
ফারাবী, মো. ফয়সাল হোসেন
ফাহমী ও মো. আন্দালীব হোসেন
ফারদিন।
০৯/ শহীদ কর্নেল মো.
রেজাউল কবীর , এএফডবি্লউসি,
পিএসসি ১৯৬৩ সালের ১০
ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের
করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ১০ জুন আর্মি সার্ভিস
কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৩২, ৩৫ ও ৩৬
এসটিক ব্যাটালিয়ন; এসএসডি বগুড়া,
এসএসডি রংপুর, আর্মি সার্ভিস কোর
সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও সেনা সদর এমএস
শাখায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (দিনাজপুর) পদেও দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
মিশনে কম্ব্যাট জাতিসংঘ সাপ্লাই
প্লাটুন কমান্ডার
এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন)
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সাইদা সুলতানা। তিনি পুত্র মো.
ফায়সাল কবীর এবং দুই
কন্যা রাইসা কবীর ও
রামিজা কবীরের জনক।
১০/ শহীদ কর্নেল নাফিজ
উদ্দীন আহমেদ, পিএসসি ১৯৬১ সালের ৫
জানুয়ারি ভোলা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মর্ড
কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি বেঙ্গল
ক্যাভ্যালরি, ৬ ক্যাভ্যালরি, ৭ হর্স,
পিজিআর, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর, ২
রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও স্পেশাল
সিকিউরিটি ফোর্সে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিডিআরের সেক্টর উপ-
অধিনায়ক পদেও কর্মরত ছিলেন।
তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি রাইফেলস
ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড
স্কুলে কমান্ড্যান্ট পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী মুন্নী চৌধুরী ও
একমাত্র পুত্র ইয়াছির আহমেদ
উসামাকে রেখে গেছেন।
১১/ শহীদ কর্নেল
কাজী এমদাদুল হক, পিএসসি ১৯৬২
সালের ৭ ডিসেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১১ ও ১৮ ইস্ট
বেঙ্গল, ২৪ পদাতিক ডিভিশন,
এসআইঅ্যান্ডটি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও
সেনা সদর বাজেট পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি র্যাব-৭-এ অধিনায়ক, ১১
পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৭৭
পদাতিক ব্রিগেডে ভারপ্রাপ্ত
কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক,
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে স্টাফ অফিসার পদেও দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (রাজশাহী) পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন নুর
সুইটি এবং দুই পুত্র কাজী উমান এমদাদ ও
কাজী তাওসীফ এমদাদ।
১২/ শহীদ কর্নেল বিএম
জাহিদ হোসেন , পিএসসি ১৯৬১ সালের
১০ আগস্ট বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯, ১৯, ২৭ ও ৪০
ইস্ট বেঙ্গল; ১ ও ৯ বীর, এসআইঅ্যান্ডটি,
৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও সদর দপ্তর লগ
এরিয়ায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার এবং ডিজিএফআইয়ে কর্নেল
জিএস পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন এবং লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের
সেক্টর কমান্ডার (ময়মনসিংহ)
পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী নিসরাত জাহিদ। তাঁদের দুই পুত্র
বিএম আবরার শাহরিয়ার ও বিএম
রুবাইয়াত শাহরিয়ার।
১৩/ শহীদ কর্নেল সামসুল
আরেফিন আহাম্মেদ, পিএসসি ১৯৬২
সালের ২০ আগস্ট ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৬, ২০, ৩২ ও ৩৭
ইস্ট বেঙ্গল, ২৮ বীর, ৬৫ পদাতিক
ব্রিগেড, এফআইইউ, ১১ ও ২৪ পদাতিক
ডিভিশন এবং সেনা সদর এমআই
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি এরিয়া সদর দপ্তর
কুমিল্লার কর্নেল অ্যাডমিন পদেও
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায়
জাতিসংঘ সহায়তা মিশন
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (কুষ্টিয়া) পদে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ
এবং দুই কন্যা আসিমা ইসরাত ও
রামিসা ফারিহাকে রেখে গেছেন।
১৪/ শহীদ কর্নেল মো.
নকিবুর রহমান , পিএসসি ১৯৬৩ সালের ৬
সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪, ৩০,
৩২ ও ৪২ ইস্ট বেঙ্গল, ২১ বীর, ২৪ পদাতিক
ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, বিআরইউ
যশোর ও ৫৫ পদাতিক
ডিভিশনে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন
এবং জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (কুমিল্লা) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিশাদ
রহমান, পুত্র নাবিল ইবনে নাকিব ও
কন্যা নুদরাত বিনতে নাকিব।
১৫/ শহীদ কর্নেল
কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন,
পিএসসি ১৯৬০ সালে ১৪ ডিসেম্বর
কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
সিগন্যালস কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩ ও ১০
সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন; এসটিসিএস,
আর্মি সিগন্যাল ব্রিগেড, ডিজিএফআই
ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তর
এবং বিডিআরের ৩৭ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
এবং কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে অধিনায়ক, ফোর্স ব্যানএমপি-১
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (রাঙ্গামাটি)
পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী বদরুন্নেছা খানম। তিনি দুই পুত্র
কাজী সামির আসাফ ও কাজী সাদির
আসাফের জনক।
১৬/ শহীদ কর্নেল গুলজার
উদ্দিন আহমেদ, পিএসসি ১৯৬৪ সালের
২১ মার্চ কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন।চাকরি জীবনে তিনি ২, ৮, ৩৪,
৪৪ ইস্ট বেঙ্গল (৯ বীর), ৬৬ পদাতিক
ডিভিশন, বিএমএ, এনসিওস একাডেমি ও
সেনা সদর এমও পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ
ছাড়া তিনি র্যাব-৩-এ অধিনায়ক
এবং র্যাব ফোর্সেস সদর
দপ্তরে পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং)
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন
সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক
এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (সিলেট) পদে দায়িত্ব পালন
করেছিলেন। তাঁর
স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা এবং দুই
কন্যা জাহীন তাসনিয়া ও
লামিয়া সাইয়ারা।
১৭/ শহীদ কর্নেল মো.
শওকত ইমাম, পিএসসি, জি+ ১৯৬১
সালে ২০ মে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ২১, ৩৬
ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৪
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৩
রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এসিঅ্যান্ডএস ও
সেনা সদর
আর্টিলারি পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ
মিশন এবং সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (খাগড়াছড়ি) পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নুজহাত
আহসান ও একমাত্র
কন্যা সুমেরা ফাইজা আজরিনকে রেখে
গেছেন।
১৮/ শহীদ কর্নেল মো.
এমদাদুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬২ সালের
১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৩৯, ৪৩ (৮ বীর)
ও ৪৪ (৯ বীর) ইস্ট বেঙ্গল, বিডিআর,
বিএমএ এসআইঅ্যান্ডটি, পিজিআর ও ৬৯
পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষক মিশনে পর্যবেক্ষক
এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনের ফোর্স সদর দপ্তরে ডেপুটি চিফ
অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর
কমান্ডার (খুলনা) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শামীমা আক্তার (লুনা) এবং পুত্র
মো. আকিফ আল ইসলাম ও কন্যা নৌশিন
নাওয়ার নূরজাহান।
১৯/ শহীদ কর্নেল মো.
আফতাবুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬৪ সালের
১ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২ ও ৩৩
এসটি ব্যাটালিয়ন,
এসএসডি মোমেনশাহী,
এসএসডি কুমিল্লা, এএসসিসিঅ্যান্ডএস,
আন্তবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ,
সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর ও
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ইরাকে জাতিসংঘ গার্ড
কন্ডিনজেন্ট এবং সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে (টঘগওঝ) দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর
কমান্ডার (রংপুর) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী নাসিমা মোশারাফ
বন্যা ও একমাত্র কন্যা নুদরাত
নাওয়ারকে রেখে গেছেন।
২০/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল এনশাদ ইবন আমিন, জি+ ১৯৫৯
সালের ৩ মার্চ রাজশাহী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ৩৬ ও
৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৫
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
ডিজিএফআই ও আইএসএসবিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিট,
ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
রোয়েনা মতিন। তিনি পুত্র এম
মাশাহেদ বিন এনশাদ
এবং কন্যা নুজহাত নাহিয়ান এনশাদের
জনক।
২১/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল শামসুল আজম , পিএসসি, ইএমই ১৯৬০
সালের ৭
জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালের ১৫ জুন
ইএমই কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৮ ও ১২৭ ফিল্ড
ওয়ার্কশপ কম্পানি, ৭০৩ মিডিয়াম
ওয়ার্কশপ; ১১, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন,
ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড
স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস
ফ্যাক্টরি ও ৬ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের কমান্ডার
ইএমই (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুনমুন আক্তার।
তিনি তিন পুত্র তারিক বিন আজম
তানিম, জারিফ বিন আজম জিষান ও
সুদীপ্ত শাহীন মাশরাফির পিতা।
২২/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল কাজী রবি রহমান ,
এনডিসি ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর
মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৪ সালের ১ অক্টোবর
আর্মি ডেন্টাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭ ফিল্ড
অ্যাম্বুলেন্স, যশোর সিএমএইচ, রংপুর
সিএমএইচ, মোমেনশাহী সিএমএইচ,
সাভার সিএমএইচ, বগুড়া সিএমএইচ,
ঢাকা সিএমএইচ, কুমিল্লা সিএমএইচ,
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড
ফোর্সেস মেডিক্যাল
ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন
নিযুক্তি'
২৮/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম , এসি ১৯৬০
সালের ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩
সালের ২৩ ডিসেম্বর
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৬ ক্যাভালরি, ৪
হর্স, ১২ ল্যান্সার, বিডিআর ও সেনা সদর
সাঁজোয়া পরিদপ্তরে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশন ,
অপারেশন সার্ক বন্ধন
এবং মালদ্বীপে প্রেরিত
টাস্কফোর্সে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর
অপারেশন ও প্রশিক্ষণ
পরিদপ্তরে জিএসও-১ পদে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনুর
পারভীন জবা এবং তিন পুত্র শাহ
মোঃ সালাউদ্দীন সাইফ, শাহ
মোঃ আসিফ হাসান ও সরকার
মোঃ শরীফুল ইসলাম
আদ্দীনকে রেখে গেছেন।
২৯/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মোঃ লুৎফর রহমান , পিএসসি,
আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১০ নভেম্বর
জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪
মর্টার রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬
স্বতন্ত্র এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৫৭ ও
৫৮ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এএ
ব্যাটারি আর্টিলারি, ৩৮ এসএএ
রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ৬, ১২, ১৫ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
সিলেট ক্যাডেট কলেজ, সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগ ও বিডিআরের ৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব
পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায়
জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও পশ্চিম
সাহারায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা)
অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত
ছিলেন। তার স্ত্রী মুনমুন রহমান। এম
তাসকীন রহমান ও
তাম্মি তানজিনা রহমান
নামে তাঁদের এক পুত্র ও এক
কন্যা সন্তান রয়েছে।
৩০/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান ,
অর্ডন্যান্স ১৯৬৭ সালের ২৭
জানুয়ারি পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন
অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স
ডেপো-যশোর, ৩১ আইএপি, অর্ডন্যান্স
ডেপো-কুমিল্লা, ৫০৫ ডিওসি,
অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল,
এরিয়া সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম
এবং সেনা সদর অর্ডন্যান্স ও
ডবি্লউইএন্ডএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে সহকারী পরিচালক, অর্ডন্যান্স
সার্ভিস হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন
নিশাত সিরাজী এবং দুই পুত্র মোহাম্মদ
মুহতাসিম ইত্তিসাফ ও মোহাম্মদ
তাওসীফ ইসফাককে রেখে গেছেন।
৩১/ শহীদ লেফটেন্যান্ট
কর্নেল লুৎফর রহমান খান, এএমসি ১৯৬৪
সালের ১ জুন ঝালকঠি জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯১ সালের ৮
জানুয়ারি মেডিক্যাল কোরে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬১
ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, ২৩ ও ২৪ ইস্ট বেঙ্গল,
এএফএমআই, রংপুর সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত
সামরিক হাসপাতালে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি পিলখানায় বিডিআর
হাসপাতালে পর্যায়িত
মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী ডা. রওশন আরা বেগম। তাঁর
ফাবলিহা বুশরা নামে এক
কন্যা এবং ফাহিম ইব্রাহিম রহমান খান
নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
৩২/ শহীদ মেজর মো. মকবুল
হোসেন , পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৭
জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ২৩ ইস্ট
বেঙ্গল, পিজিআর, বিডিআরের ৬ ও ৩৪
রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এএসইউ ও
ডিজিএফআই-এ দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ
মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি তাঁর
স্ত্রী তাহিরা নিপা এবং একমাত্র
কন্যা যারিন
মুসাররাতকে রেখে গেছেন।
৩৩/ শহীদ মেজর মো. আব্দুস
সালাম খান , পদাতিক ১৯৬৩ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৪৫ ইস্ট
বেঙ্গল, এসআইএন্ডটি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, ৬৯
পদাতিক ব্রিগেড ও এসএসএফে দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ
পর্যবেক্ষণ মিশন ও সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রেকর্ড অফিসার-২
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী মাহবুবা বেগম বন্যা। সাকিব
মাহমুদ খান (প্রীতম) ও আকিব মাহবুদ খান
(প্রতীক) নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান
রয়েছে।
৩৪/ শহীদ মেজর হোসেন
সোহেল শাহনেওয়াজ , পদাতিক ১৯৬৫
সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ১২, ২৫
ও ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল; বিডিআর, সেনাসদর
পিএ পরিদপ্তর, বাংলাদেশ আর্মড
সার্ভিসেস বোর্ড, এএফএমএসডি ও
বিআইআইএসএসে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ও
আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের জেড
এফএসও, ঢাকা হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী হাসনাহেনা চৌধুরী এবং
কন্যা আদিবা কাশফী ঐশী ও পুত্র
হোসেন সাফাত হাসনাতকে (ওহী)
রেখে গেছেন।
৩৫/ শহীদ মেজর
কাজী মোছাদ্দেক হোসেন ,
আর্টিলাটির ১৯৬৬ সালের ১
জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ১৪
ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৬
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮
মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৩
পদাতিক ডিভিশন, সদর দপ্তর লগ এরিয়া,
বিডিআর ও র্যাব ফোর্সেস সদর
দপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব
পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি ৩৩ রাইফেল
ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী কোহিনুর হোসেন। তাঁদের দুই
কন্যা কাজী নাজিফা তাবাস্সুম
হোসেন ও কাজী নাজিয়া তাবাস্সুম
হোসেন।
৩৬/ শহীদ মেজর আহমেদ
আজিজুল হাকিম , ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬৫
সালের ১৯ আগস্ট পাবনা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ১২
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন,
আর্মি এমপি ইউনিট, মির্জাপুর ক্যাডেট
কলেজ, রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও বগুড়ায়
সিএমইএস (আর্মি) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।
তিনি কুয়েতে বাংলাদেশের
কম্পোজিট ইঞ্জিনিয়ার
ব্যাটালিয়ন-৪-এ দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে ডিএএএন্ডকিউএমজি, নির্মাণ
(ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী আকলিমা আজিজ (রেবা),
পুত্র আহমেদ আনজুম আজিজ ও
কন্যা রোকাইয়া বিনতে আজিজকে
রেখে গেছেন।
৩৭/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
সালেহ, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১১
জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯
মে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন
লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১,
২৫ ও ৫০ ইস্ট বেঙ্গল, আর্মি এমপি ইউনিট,
৭ এমপি ইউনিট ও ৯ পদাতিক
ডিভিশনে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি হাইতিতে জাতিসংঘ মিশন ও
কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব
পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর
সদর দপ্তরে ডিএএজি (প্রশাসন)
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী নাসরীন আহমদ রুমা এবং দই
পুত্র রাইয়ান মাহমুদ ও রাজিন মাহমুদ।
৩৮/ শহীদ মেজর
কাজী আশরাফ হোসেন,
আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১
জানুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩ ফিল্ড
রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২১
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭
স্বতন্ত্র মিডিয়াম
এডি ব্যাটারি আর্টিলারি,
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি ঢাকায়
বিডিআরের ১৩ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী নাদেজদা জেরিন
চৌধুরী ছাড়াও
কন্যা আফরা নাওরাহান (ঐশী) ও পুত্র
আইলিয়া আশরাফ (সৌম্য)
কে রেখে গেছেন।
৩৯/ শহীদ মেজর মাহমুদ
হাসান, পদাতিক ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন
চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর
পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৫, ২৭
ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), ১৯ বীর,
আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও
সেনা সদর পিএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ
অন্তর্বর্তীকালীন মিশন ও জাতিসংঘ
ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষ মিশনদায়িত্ব
পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর সদর
দপ্তর, ঢাকায় জেনারেল স্টাফ
অফিসার-২ হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সোনিয়া হাসান। তাঁদের
একমাত্র পুত্র নাফিস হাসান রাইয়ান।
৪০/ শহীদ মেজর মুস্তাক
মাহমুদ , পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪
সালের ১ জানুয়ারি যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪ ও ২০
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৫
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
এএসইউ ও সেনা সদর
এসডি পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনের বাংলাদেশ সেক্টর সদর
দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর
রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি স্ত্রী শাহপার খান শম্পা, পুত্র
সামিন মাহমুদ এবং দুই
কন্যা সানজে মাহমুদ ও সাজিন
মাহমুদকে রেখে গেছেন।
৪১/ শহীদ মেজর মাহমুদুল
হাসান, আর্টিলারি ১৯৬৬ সালের ২৯
ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৩ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১০
মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও
৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেডে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আইরিন
সুলতানা, কন্যা জারিন তাসনিম মাহমুদ
ও পুত্র মোঃ মোহাইমিনুল
হাসানকে রেখে গেছেন।
৪২/ শহীদ মেজর হুমায়ুন
হায়দার , পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৭
সালের ১৫ সেপ্টেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪, ১৪ ও ১৫
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল,
এসএসএফ, ১৯ আর্টিলারি ব্রিগেড,
ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড
স্টাফ কলেজ, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও
সেনা সদর কল্যাণ ও পুনর্বাসন
পরিদপ্তরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ৩৬
রাইফেল ব্যাটালিয়নের
ইন্টেলিজেন্স অফিসার
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শামীমা পারভিন, পুত্র তাসীন
ঋতি্বক হুমায়ুন (গত ২০ জুলাই
মারা গেছে) ও কন্যা উশিয়া আমরিন
রূপন্তী।
৪৩/ শহীদ মেজর
মোঃ আজহারুল ইসলাম , পিএসসি,
আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ১
জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন
এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ১৪, ১৫
ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট
আর্টিলারি এবং অ্যাডহক মিডিয়াম
ব্যাটারি আর্টিলারিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৩
রাইফেল ব্যাটালিয়নের (খুলনা) উপ-
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।
তিনি স্ত্রী শাহীনা শিউলী ও
কন্যা আদনিনা ইসলাম (ঐশী)
কে রেখে যান। গত ১৮ মে ২০০৯
তারিখে তাঁর
স্ত্রী আরেকটি কন্যা সন্তানের
মা হয়েছেন।
৪৪/ শহীদ মেজর মো.
হুমায়ুন কবীর সরকার , পদাতিক ১৯৬৮
সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৩
ডিসেম্বর পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯, ৩৪ ও ৪৫ ইস্ট
বেঙ্গল (১০ বীর), পিজিআর ও
বিডিআরে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত
পর্যবেক্ষণ মিশন ) ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাশিদা কবীর
রেবা এবং দুই পুত্র সাদাফ আবরার
রাইয়ান ও তাশদীদ আবরার রাইয়ান।
৪৫/ শহীদ মেজর
মোঃ খালিদ হোসেন,
আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ২৫ জুলাই
পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
আর্মি এমপি ইউনিট ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে মহাপরিচালকের
সচিবালয়ে জেনারেল স্টাফ
অফিসার-২ (কর্ড) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ
ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও
লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর
স্ত্রী শিরিন আক্তার। আরিহা তাঁদের
একমাত্র কন্যা সন্তান হোসেন
সেমন্তী।
৪৬/ শহীদ মেজর মাহবুবুর
রহমান , আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ৭
ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৯ ও ১২
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯
ডিভ
লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি,
২৫ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি,
এমআইএসটি ও ৫ এমপি ইউনিটে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায়
জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে যোগ
দিয়েছিলেন কেবল।
তিনি স্ত্রী রিতা রহমান ও একমাত্র
কন্যা ফায়জা মাহবুবকে রেখে গেছেন।
৪৭/ শহীদ মোঃ মিজানুর
রহমান , পদাতিক ১৯৭০ সালের ৩১
মে পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯১ সালের ২১ জুন পদাতিক
রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ১৮, ২৯ ও ৪৭ ইস্ট
বেঙ্গল, ২৭ বীর, বাংলাদেশ
মিলিটারি একাডেমি ও
ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২
(ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন।তাঁর স্ত্রী প্রয়াত
রেবেকা ফারহানা রোজী এবং দুই
পুত্র মোঃ তেহসিন বিন রহমান (রামী)
ও মো. ফারদীন রহমান (সামী)।
৪৮/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
মাকসুম-উল-হাকিম , আর্টিলারি ১৯৭২
সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২০
ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ২৬
ফিল্ড রেজিমেন্ট
আর্টিলারি এবং ৫৭৫
এফআইইউয়ে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ
সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার
মাকসুম ও একমাত্র পুত্র মো. আহনাফ
জারিফ খানকে রেখে গেছেন।
৪৯/ শহীদ মেজর এস এম
মামুনুর রহমান , এএমসি ১৯৬৯ সালের ৩
অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই
আর্মি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ৭ ইস্ট
বেঙ্গল, ৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স,
বাংলাদেশ
বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন
এবং তিনি কুয়েতে অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে ডিএডিএমএস হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী তাহমিনা সাদেক
এবং একমাত্র পুত্র এসএএম মোস্তাফিজুর
রহমান (তাহমীদ)কে রেখে গেছেন।
৫০/ শহীদ মেজর
মোঃ রফিকুল ইসলাম, এইসি ১৯৬৯
সালের ৩০ সেপ্টেম্বর
রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯৩ সালের ২৪ জুলাই
শিক্ষা কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি সেনা সদর
জেএজি বিভাগে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে লিগাল অ্যাডভাইজার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে জেএজি শাখায় দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী শাহিনা আক্তার। মো. শাদমান
সাকীব ও মো. রাগীব শাহরিয়ার
নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
৫১/ শহীদ মেজর সৈয়দ
মো. ইদ্রিস ইকবাল , ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৭৩
সালের ২৬ মার্চ খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর
ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ও ১২
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫৭
ইঞ্জিনিয়ার কম্পানিতে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩০
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত
পুনর্গঠনে (ওকেপি-১) দায়িত্ব পালন
করেন। কুয়েত ছাড়াও
তিনি সৌদি আরব, মিসর ও সাইপ্রাস
সফর করেন। তাঁর স্ত্রী ডা.
তাসলিমা রফিক।
তাহসিনা বিনতে ইকবাল ও
নুসাইবা বিনতে ইকবাল নামে তাঁদের
দুইটি কন্যা সন্তান আছে। ইদ্রিস ইকবাল
নিহত হওয়ার ৬ মাস পর গত
আগস্টে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যাটির জন্ম
হয়।
৫২/ শহীদ মেজর আবু সৈয়দ
গাযালী দস্তগীর , এসি ১৯৭৪ সালের
১১ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
এবং ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৯ বেঙ্গল
ল্যান্সার, এফআইইউ, ১২ ল্যান্সার, বেঙ্গল
ক্যাভালরি ও বিডিআরের ১৮ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে রাইফেলস্
সিকিউরিটি ইউনিটের ইস্টার্ন
ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত
ছিলেন। তিনি স্ত্রী ক্যাপ্টেন
কাজী মৌসুমী, অর্ডন্যান্স ও একমাত্র
পুত্র কাজী ইব্রাহিম দস্তগীর (অনিন্দ্য)
কে রেখে গেছেন।
৫৩/ শহীদ মেজর মুহাম্মদ
মোশারফ হোসেন , অর্ডন্যান্স ১৯৭৩
সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ
জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬
সালের ৭ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন
লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স
ডেপো যশোর, সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স
ডেপো, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও
সেন্ট্রাল অ্যামোনিশন
ডেপোতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কুয়েতে উম-আল
গোয়াতী প্রজেক্টে দায়িত্ব পালন
করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর
দপ্তরে এটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার
লিপি ও পুত্র মুহাম্মদ আকিব
মাহমুদকে রেখে যান। গত ২৩
মে তাঁদের আরেকটি পুত্র সন্তান
কামরান মোঃ আদিবের জন্ম হয়।
৫৪/ শহীদ মেজর মোহাম্মদ
মমিনুল ইসলাম সরকার , এসি ১৯৭৫ সালের
২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, বিডিআর,
৬ ক্যাভ্যালরি, ১
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও
আর্মি এমপি ইউনিটে দায়িত্ব পালন
করেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে ইন্টেলিজেন্স
অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছিলেন। মৃত্যুর ১১ দিন পর তাঁর
সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সানজানা
সোনিয়া জোবাইদা গত ৯ মার্চ ২০০৯
তারিখে এক পুত্র সন্তানের মা হন, যার
নাম রাখা হয়েছে সাদাকাত
সাবরী বিন মমিন।
৫৫/ শহীদ মেজর
মোস্তফা আসাদুজ্জামান , এসি ১৯৭৬
সালের ২১ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১২ জুন
সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স,
এএসপিটিএস ও ১২ লান্সারে বিভিন্ন
নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ
মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ১১
রাইফেল ব্যাটালিয়নে (রামগড়)
অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছিলেন। তাঁর
স্ত্রী সাইয়ারা নুসরাত সাইকি।
তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম
সাহমিন ইয়াশা সুহা।
৫৬/ শহীদ মেজর তানভীর
হায়দার নূর , আর্টিলারি ১৯৭৯ সালের
৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর
আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ
করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩৬
এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৮
ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও
বিডিআরের ৩৫ রাইফেল
ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৪
রাইফেল ব্যাটালিয়নে অ্যাডজুটেন্ট
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা (প্রেরণা)
স্ত্রীকে ছাড়াও তিনি দুই পুত্র
তাসবীদ ইসরাক (ইফাজ) ও তাসবীর
ইসফার (ওয়াদা)কে রেখে গেছেন।
৫৭/ শহীদ ক্যাপ্টেন
মোঃ মাজহারুল হায়দার ,
আর্টিলারি ১৯৮০ সালের ৩০ এপ্রিল
টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
থেকে পড়াশোনা করেন এবং ২০০০
সালে কমিশন প্রাপ্ত হন।
তিনি বিডিআর ডিজি মহোদয়ের
এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে উচ্চতর
প্রশিক্ষন লাভ করেন।
২৫শে ফেব্রুয়ারী ঘটনার ৮০ দিন
পূর্বে তৎকালীন আইজিপি জনাব নূর
মোহাম্মদ এর কন্যা ফারিহা নূর এর
সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।