ভোর ৫ টায় দরজার ঠক,
ঠক শব্দে ঘুম ভাংলো ।
দরজা খুলে দেখি দিদি (নার্স)
ডাকছেন " দাদা ৬ নং বেডের রোগীটা একটু দেখেন তো, মনে হয় মারা গেছে ,
কথা শুনেই " বিপি মেশিন আর স্টেথো নিয়ে দৌড়ে গেলাম ।
আর এক্সামিনেশন করে শিউর হলাম,
পেশেন্ট এক্সপায়ার করেছেন ।
ভোরেই চারটি ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে হলো।
পেশেন্টের নাম রাশেদ,
তার পরিবারে রেখে গেছেন স্ত্রী ও তিন সন্তান ।
ছবিতে যে বাবুটি দেখতে পাচ্ছেন,
তার নাম "নোমাইর " ।
বয়স মাত্র তিন ।
সদা হাস্যেজ্জ্বল তার চেহেরা ।
কিন্তু আমি যখন তার পিতার,
প্রেশার দেখতে আসলাম সে এত বেশি কান্না করছে, যে
ওয়ার্ডের সব মানুষ জড়ো হয়ে গেছে।
সবাঈ বলছে, এ বাচ্চার মুখে তো কোনোদিন কান্না দেখি নাই,
আজকেই প্রথম করুণ সুরে কান্না করেছে।
আমরা অনেকে বুঝিনি কেন সে কান্না করছে,
কিন্তু তার নিষ্পাপ আত্না ঠিকই পিতৃবিয়োগের শোকবার্তা অনুভব করতে পেরছে।
বাচ্চাটি এত কিউট এত চঞ্চল !!
তার নিষ্পাপ চেহেরা দেখে
আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি ।
অশ্রুনয়নে নোমাইরের হাতে টাকা দিলাম।
বাচ্চার মা আর পেশেন্টের বড় ভাই হাফেজকে অনেক স্বান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলাম ।
তাদেরকে প্রতিবছর আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সাহায্য দিবো বলে প্রতিশ্রুতি দিলাম ।
তিন বছরের শিশু যখন পিতার লাশের পাশে দাড়িয়ে,
তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম,
" নোমাইর কোথায় যাচ্ছ ?"
সে হাসিমুখে বলছে,
ডাক্তার আংকেল
" আব্বুকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি ! "
এই যাওয়া যে শেষ যাওয়া, সে কি জানে! !
তার পিতা যে চলে গেলেন,
না ফেরার দেশে ..!!!
ঠক শব্দে ঘুম ভাংলো ।
দরজা খুলে দেখি দিদি (নার্স)
ডাকছেন " দাদা ৬ নং বেডের রোগীটা একটু দেখেন তো, মনে হয় মারা গেছে ,
কথা শুনেই " বিপি মেশিন আর স্টেথো নিয়ে দৌড়ে গেলাম ।
আর এক্সামিনেশন করে শিউর হলাম,
পেশেন্ট এক্সপায়ার করেছেন ।
ভোরেই চারটি ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে হলো।
পেশেন্টের নাম রাশেদ,
তার পরিবারে রেখে গেছেন স্ত্রী ও তিন সন্তান ।
ছবিতে যে বাবুটি দেখতে পাচ্ছেন,
তার নাম "নোমাইর " ।
বয়স মাত্র তিন ।
সদা হাস্যেজ্জ্বল তার চেহেরা ।
কিন্তু আমি যখন তার পিতার,
প্রেশার দেখতে আসলাম সে এত বেশি কান্না করছে, যে
ওয়ার্ডের সব মানুষ জড়ো হয়ে গেছে।
সবাঈ বলছে, এ বাচ্চার মুখে তো কোনোদিন কান্না দেখি নাই,
আজকেই প্রথম করুণ সুরে কান্না করেছে।
আমরা অনেকে বুঝিনি কেন সে কান্না করছে,
কিন্তু তার নিষ্পাপ আত্না ঠিকই পিতৃবিয়োগের শোকবার্তা অনুভব করতে পেরছে।
বাচ্চাটি এত কিউট এত চঞ্চল !!
তার নিষ্পাপ চেহেরা দেখে
আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি ।
অশ্রুনয়নে নোমাইরের হাতে টাকা দিলাম।
বাচ্চার মা আর পেশেন্টের বড় ভাই হাফেজকে অনেক স্বান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলাম ।
তাদেরকে প্রতিবছর আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সাহায্য দিবো বলে প্রতিশ্রুতি দিলাম ।
তিন বছরের শিশু যখন পিতার লাশের পাশে দাড়িয়ে,
তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম,
" নোমাইর কোথায় যাচ্ছ ?"
সে হাসিমুখে বলছে,
ডাক্তার আংকেল
" আব্বুকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি ! "
এই যাওয়া যে শেষ যাওয়া, সে কি জানে! !
তার পিতা যে চলে গেলেন,
না ফেরার দেশে ..!!!