"নীরবেই হারিয়ে গেলেন বাংলাদেশের একজন সূর্যসন্তান"
ছবিতে যেই মানুষটাকে দেখতে পাচ্ছেন এই মানুষটাকে আপনি চেনেন কি? তিনি বাংলাদেশের একজন সূর্যসন্তান। ইনি গত শুক্রবারে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু সংবাদ এখনো কোনো পত্রিকায় আসেনি।
এনার নাম ড: এ, কে, এম লুতফর রহমান তালুকদার।
ছবিতে যেই মানুষটাকে দেখতে পাচ্ছেন এই মানুষটাকে আপনি চেনেন কি? তিনি বাংলাদেশের একজন সূর্যসন্তান। ইনি গত শুক্রবারে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু সংবাদ এখনো কোনো পত্রিকায় আসেনি।
এনার নাম ড: এ, কে, এম লুতফর রহমান তালুকদার।
ইনি বাংলাদেশের যুগান্তকারী “আপনার শিশুকে টিকা দিন” প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন।
বাংলাদেশকে পৃথিবীর বিস্ময় ধরা হয় দুএকটা কারণে – তার একটি হলো ইমুনাইজেশানের অবিশ্বাস্য সাফল্য। হ্যা, এই সাফল্য কোনো একজন ব্যক্তি কিংবা একটি সরকার কিংবা প্রতিষ্ঠানের কারণে হয় নি সত্য। কিন্তু এই মানুষটা সবার আগে বুঝেছিলেন এবং অন্যদের বুঝিয়েছিলেন যে অশিক্ষিত গরীব লোকটাকে যদি এই কথাটা বোঝানো না যায় যে তোমার ৫টা সন্তানের দরকার নেই কারণ ২-৩টা কোনো সংক্রামক রোগে মারা যাবে না – তাহলে সে পরিবার পরিকল্পনা করবে না। তিনি সরকারী কর্মচারী হয়েও উদ্যোগ নিয়েছিলেন – যে উদ্যোগ বাংলাদেশে কেউ নিতে চায় না।
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ফেনার দু বছর আগে ৯৩ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তিনি পৃথিবীব্যাপী স্মল পক্স ইরাডিকেশান প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক প্রকাশ করা হয়।
আমরা এমন এক অদ্ভূত জাতিতে পরিণত হয়েছি যে আমরা মহানায়কদের সম্মান তো দূরের কথা, শনাক্তই করতে পারি না আর। সেই অনুযোগ আর না করি। থাক – রাষ্ট্রীয় সম্মানের আর কোনো দরকার নেই। ড: তালুকদার একজন হিরো। একজন রিয়াল হিরো সম্মানের আশায় কাজ করেন না, এই নিভৃতচারী মানুষটিও কোনো স্বীকৃতির আশায় এই মহান কাজটি শুরু করেন নি, করেছিলেন এই দেশটাকে ভালোবেসে। আসুন তার ভালোবাসা আর উদ্যোগটাকে একবার স্মরণ করি।
বাংলাদেশকে পৃথিবীর বিস্ময় ধরা হয় দুএকটা কারণে – তার একটি হলো ইমুনাইজেশানের অবিশ্বাস্য সাফল্য। হ্যা, এই সাফল্য কোনো একজন ব্যক্তি কিংবা একটি সরকার কিংবা প্রতিষ্ঠানের কারণে হয় নি সত্য। কিন্তু এই মানুষটা সবার আগে বুঝেছিলেন এবং অন্যদের বুঝিয়েছিলেন যে অশিক্ষিত গরীব লোকটাকে যদি এই কথাটা বোঝানো না যায় যে তোমার ৫টা সন্তানের দরকার নেই কারণ ২-৩টা কোনো সংক্রামক রোগে মারা যাবে না – তাহলে সে পরিবার পরিকল্পনা করবে না। তিনি সরকারী কর্মচারী হয়েও উদ্যোগ নিয়েছিলেন – যে উদ্যোগ বাংলাদেশে কেউ নিতে চায় না।
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ফেনার দু বছর আগে ৯৩ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তিনি পৃথিবীব্যাপী স্মল পক্স ইরাডিকেশান প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক প্রকাশ করা হয়।
আমরা এমন এক অদ্ভূত জাতিতে পরিণত হয়েছি যে আমরা মহানায়কদের সম্মান তো দূরের কথা, শনাক্তই করতে পারি না আর। সেই অনুযোগ আর না করি। থাক – রাষ্ট্রীয় সম্মানের আর কোনো দরকার নেই। ড: তালুকদার একজন হিরো। একজন রিয়াল হিরো সম্মানের আশায় কাজ করেন না, এই নিভৃতচারী মানুষটিও কোনো স্বীকৃতির আশায় এই মহান কাজটি শুরু করেন নি, করেছিলেন এই দেশটাকে ভালোবেসে। আসুন তার ভালোবাসা আর উদ্যোগটাকে একবার স্মরণ করি।