হঠাৎ করে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে হতে পারে স্ট্রোক৷ যেকোনো সময় যে কোনো বয়সেই ঘটতে পারে মস্তিষ্কের এই বৈকল্য৷ স্ট্রোক দুই ধরনের হয়ে থাকে৷ মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হলে অথবা রক্তনালী কোনো ভাবে ব্লক হয়ে গেলে৷ দেরিতে ধরা পড়লে দুই ধরনের স্ট্রোকই বিপজ্জনক৷ এর ফলে শরীরে কোনো অংশ অসাড় হয়ে যেতে পারে৷ বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে৷ এটা নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ স্ট্রোক হয়েছে বা আঘাতটা কতটুকু তার ওপর৷
অসংখ্য মানুষ স্ট্রোকের কবলে পড়েন
জার্মানিতে প্রতি বছর ২৬০.০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রন্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রোগটি৷ বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন ভারতেই আট বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে সংখ্যাটা৷ ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷ এজন্য স্ট্রোক নিয়ে গবেষণাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে৷ বলেন হামবুর্গের আসক্লেপিয়োস ক্লিনিকের প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার৷
স্ট্রোকে আক্রান্ত পুরুষদের গড় বয়স ৭০৷ মেয়েদের ৭৫৷ শিশু কিশোররাও স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে৷ জার্মানিতে প্রতিবছর ৩০০ শিশু আক্রান্ত হয় স্ট্রোকে৷ এক তৃতীয়াংশ নবজাত শিশু৷ এমনকি মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চা৷ ‘অটোইমিউন' বা বংশগত কারণে এমনটি হতে পারে৷ বাচ্চাদের বেলায় অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর মস্তিষ্কের ক্ষতিটা বোঝা যায়৷
এক নিমিষেই সব অন্যরকম
স্ট্রোক হলে এক নিমিষে মানুষ অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ হয়ে পড়তে পারে পরের মুখাপেক্ষী৷ যারা অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা পান, তাদেরও ধাতস্থ হতে সময় লাগে৷ এজন্য সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির প্রয়োজন৷ খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হয়৷ করতে হয় স্পোর্টস৷ এড়িয়ে চলতে হয় স্ট্রেস৷ এইসব ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য গুটার্সলোহতে এক জন ‘স্ট্রোক গাইড' পাশে এসে দাঁড়ান৷ তাঁর নাম আনকে সিবার্ট৷ এক বছর ধরে তিনি এই কাজটি করছেন৷
‘‘কী হবে এখন? আমি কী করতে পারি? কী ভাবে দিন যাবে?'' রোগীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেন তিনি৷ বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত৷
এর্গোথেরাপিস্টের কাজ করেছেন ৩৪ বছর বয়সি আনকে সিবার্ট৷ তাই চিকিত্সা ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ অবশ্য স্ট্রোক রোগীদের সহায়ক হিসাবে তাঁকে আর একটি প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে৷
হাসপাতাল থেকেই শুরু তত্ত্বাবধান
তত্ত্বাবধান শুরু হয় হাসপাতাল থেকেই৷ তারপর পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসার পরও চলতে থাকে দেখাশোনা৷ সেখান থেকে বের হলেও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হন রোগীরা৷ তখনও পাশে থাকেন আনকে৷ ডাক্তার, নার্স ও থেরাপিস্টদের মধ্যে সমন্বয় করে থাকেন তিনি৷ ব্যবহারিক বিষয়গুলিও দেখাশোনা করেন আনকে৷ যেমন প্রতিবন্ধীর পরিচিতি পত্র কিংবা পেনসনের জন্য আবেদন করা৷
৪০ জনের মতো স্ট্রোক রোগীর দেখাশোনা করেন আনকে৷ এদের মধ্যে একজন ডিয়র্ক ফেনিয়াকব৷ নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে ছোটখাট একটা স্ট্রোক হয়েছে তাঁর৷ চিন্তাভাবনা ও বাকশক্তির কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ডান হাত ও ডান পা আক্রান্ত হয়েছে৷ ‘‘মনে হয় যেন অসাড় হয়ে গেছে৷ তবে শিরশির করে না৷ অনুভূতি ও শক্তি কমে গেছে৷ প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার নাম লিখতে পারতাম না৷ সেটা আবার শিখতে হয়েছে'', বলেন ডিয়র্ক৷
আনকে সিবার্টের সাহায্য তার খুব কাজে দিয়েছে৷ ‘‘রোগের কারণে কিছুটা তো ক্ষতি হয়েইছে৷ যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করা যায় না৷ তাই কেউ পাশে থাকলে, চিন্তাভাবনা করলে বেশ সাহায্য হয়৷''
‘স্ট্রোকের গাইড' আনকে ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ঠিক করে দেন৷ খেয়াল রাখেন রোগী ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছে কিনা৷ নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করাচ্ছে কিনা৷
দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ ডিয়র্ক তার নির্দেশ ঠিকমতোই মেনে চলছেন৷ স্ট্রোকের ধাক্কাটা সামলে উঠেছেন৷ সেরকম কোনো ক্ষতি আর থাকবে না
অসংখ্য মানুষ স্ট্রোকের কবলে পড়েন
জার্মানিতে প্রতি বছর ২৬০.০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রন্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রোগটি৷ বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন ভারতেই আট বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে সংখ্যাটা৷ ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷ এজন্য স্ট্রোক নিয়ে গবেষণাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে৷ বলেন হামবুর্গের আসক্লেপিয়োস ক্লিনিকের প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার৷
স্ট্রোকে আক্রান্ত পুরুষদের গড় বয়স ৭০৷ মেয়েদের ৭৫৷ শিশু কিশোররাও স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে৷ জার্মানিতে প্রতিবছর ৩০০ শিশু আক্রান্ত হয় স্ট্রোকে৷ এক তৃতীয়াংশ নবজাত শিশু৷ এমনকি মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চা৷ ‘অটোইমিউন' বা বংশগত কারণে এমনটি হতে পারে৷ বাচ্চাদের বেলায় অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর মস্তিষ্কের ক্ষতিটা বোঝা যায়৷
এক নিমিষেই সব অন্যরকম
স্ট্রোক হলে এক নিমিষে মানুষ অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ হয়ে পড়তে পারে পরের মুখাপেক্ষী৷ যারা অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা পান, তাদেরও ধাতস্থ হতে সময় লাগে৷ এজন্য সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির প্রয়োজন৷ খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হয়৷ করতে হয় স্পোর্টস৷ এড়িয়ে চলতে হয় স্ট্রেস৷ এইসব ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য গুটার্সলোহতে এক জন ‘স্ট্রোক গাইড' পাশে এসে দাঁড়ান৷ তাঁর নাম আনকে সিবার্ট৷ এক বছর ধরে তিনি এই কাজটি করছেন৷
‘‘কী হবে এখন? আমি কী করতে পারি? কী ভাবে দিন যাবে?'' রোগীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেন তিনি৷ বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত৷
এর্গোথেরাপিস্টের কাজ করেছেন ৩৪ বছর বয়সি আনকে সিবার্ট৷ তাই চিকিত্সা ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ অবশ্য স্ট্রোক রোগীদের সহায়ক হিসাবে তাঁকে আর একটি প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে৷
হাসপাতাল থেকেই শুরু তত্ত্বাবধান
তত্ত্বাবধান শুরু হয় হাসপাতাল থেকেই৷ তারপর পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসার পরও চলতে থাকে দেখাশোনা৷ সেখান থেকে বের হলেও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হন রোগীরা৷ তখনও পাশে থাকেন আনকে৷ ডাক্তার, নার্স ও থেরাপিস্টদের মধ্যে সমন্বয় করে থাকেন তিনি৷ ব্যবহারিক বিষয়গুলিও দেখাশোনা করেন আনকে৷ যেমন প্রতিবন্ধীর পরিচিতি পত্র কিংবা পেনসনের জন্য আবেদন করা৷
৪০ জনের মতো স্ট্রোক রোগীর দেখাশোনা করেন আনকে৷ এদের মধ্যে একজন ডিয়র্ক ফেনিয়াকব৷ নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে ছোটখাট একটা স্ট্রোক হয়েছে তাঁর৷ চিন্তাভাবনা ও বাকশক্তির কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ডান হাত ও ডান পা আক্রান্ত হয়েছে৷ ‘‘মনে হয় যেন অসাড় হয়ে গেছে৷ তবে শিরশির করে না৷ অনুভূতি ও শক্তি কমে গেছে৷ প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার নাম লিখতে পারতাম না৷ সেটা আবার শিখতে হয়েছে'', বলেন ডিয়র্ক৷
আনকে সিবার্টের সাহায্য তার খুব কাজে দিয়েছে৷ ‘‘রোগের কারণে কিছুটা তো ক্ষতি হয়েইছে৷ যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করা যায় না৷ তাই কেউ পাশে থাকলে, চিন্তাভাবনা করলে বেশ সাহায্য হয়৷''
‘স্ট্রোকের গাইড' আনকে ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ঠিক করে দেন৷ খেয়াল রাখেন রোগী ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছে কিনা৷ নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করাচ্ছে কিনা৷
দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ ডিয়র্ক তার নির্দেশ ঠিকমতোই মেনে চলছেন৷ স্ট্রোকের ধাক্কাটা সামলে উঠেছেন৷ সেরকম কোনো ক্ষতি আর থাকবে না