অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর লিভারে নিজের নাম খোদাই করার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ঘটনার কথা কবুল করে লন্ডনের এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট পরিচালিত ইউনিভার্সিটি হসপিটালস অফ বার্মিংহাম জানিয়েছে, বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও তারা আলাদাভাবে ঘটনাটির তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা খবরটি ছেপে জানিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসক এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিজ্ঞ ওই মাঝ বয়সী চিকিৎসক অতি উৎসাহের বশেই অস্ত্রোপচারের পর সেলাই করার সময় রোগীর লিভারের ওপর নিজের নাম স্বাক্ষর করেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাঁচি বা ভোঁতা ছুরির সাহায্যেই তিনি ওই কুকর্মটি করেছেন। অপারেশনের পর রোগী অস্বস্তি ও ব্যথা অনুভব করায় কয়েকটি পরীক্ষার পর ব্যাপারটি ধরা পড়ে।
তবে এটাই প্রথম নয়। এরকম ভুল মেডিক্যাল স্টাফদের হয়েই থাকে। এনএইচএস ইংল্যান্ড সংস্থা ও রোগীদের চিকিৎসা বিমা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার পেশেন্ট সেফটি বিভাগের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ডা. মাইক ডুরকিন কবুল করেছেন, চলতি বছরেই বহু ভয়াবহ ভুল ও চিকিৎসা অপরাধ ঘটেছে লন্ডনে।
যেমন, অপারেশনের পর ৬৯জন রোগীর দেহে সার্জিক্যাল সোয়াবস, কটন পাওয়া গিয়েছে। ৩৭ জন রোগীর ভুলভাল জায়গায় অপারেশন করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি রোগীকে ভুল ব্লাড গ্রুপের রক্ত দেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মেডিক্যাল রিপোর্ট না দেখেই অপারেশন করা হয়েছে তাড়াহুড়ো করে। ২১ জন রোগীর ক্ষেত্রে ভুলভাল জায়গায় অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাই চিকিৎসা পরিষেবায় আরও স্বচ্ছতা আনার দাবি তুলেছে এনএইচএস ইংল্যান্ড।
সংবাদপ্রতিবেদনটি পড়ে সান্ত্বনা পেতে পারেন বাংলাদেশের মফঃস্বল ও গ্রামের মানুষ। খাস লন্ডনে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে তৃতীয় বিশ্বের দেশে আমরা যতটুকু পাচ্ছি সেটাই বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার। হয়তো লন্ডনের সঙ্গে নিকৃষ্টতায় এটাই মিল। সূত্র: ওয়েবসাইট
দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা খবরটি ছেপে জানিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসক এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিজ্ঞ ওই মাঝ বয়সী চিকিৎসক অতি উৎসাহের বশেই অস্ত্রোপচারের পর সেলাই করার সময় রোগীর লিভারের ওপর নিজের নাম স্বাক্ষর করেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাঁচি বা ভোঁতা ছুরির সাহায্যেই তিনি ওই কুকর্মটি করেছেন। অপারেশনের পর রোগী অস্বস্তি ও ব্যথা অনুভব করায় কয়েকটি পরীক্ষার পর ব্যাপারটি ধরা পড়ে।
তবে এটাই প্রথম নয়। এরকম ভুল মেডিক্যাল স্টাফদের হয়েই থাকে। এনএইচএস ইংল্যান্ড সংস্থা ও রোগীদের চিকিৎসা বিমা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার পেশেন্ট সেফটি বিভাগের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ডা. মাইক ডুরকিন কবুল করেছেন, চলতি বছরেই বহু ভয়াবহ ভুল ও চিকিৎসা অপরাধ ঘটেছে লন্ডনে।
যেমন, অপারেশনের পর ৬৯জন রোগীর দেহে সার্জিক্যাল সোয়াবস, কটন পাওয়া গিয়েছে। ৩৭ জন রোগীর ভুলভাল জায়গায় অপারেশন করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি রোগীকে ভুল ব্লাড গ্রুপের রক্ত দেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মেডিক্যাল রিপোর্ট না দেখেই অপারেশন করা হয়েছে তাড়াহুড়ো করে। ২১ জন রোগীর ক্ষেত্রে ভুলভাল জায়গায় অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাই চিকিৎসা পরিষেবায় আরও স্বচ্ছতা আনার দাবি তুলেছে এনএইচএস ইংল্যান্ড।
সংবাদপ্রতিবেদনটি পড়ে সান্ত্বনা পেতে পারেন বাংলাদেশের মফঃস্বল ও গ্রামের মানুষ। খাস লন্ডনে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে তৃতীয় বিশ্বের দেশে আমরা যতটুকু পাচ্ছি সেটাই বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার। হয়তো লন্ডনের সঙ্গে নিকৃষ্টতায় এটাই মিল। সূত্র: ওয়েবসাইট