নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

HIV-এইচআইভির নতুন আগ্রাসী প্রজাতির খোঁজ

পশ্চিম আফ্রিকায় নতুন ধরনের এইচআইভি-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা৷ তাদের দাবি, নতুন প্রজাতির এই ভাইরাস ধরনে 'রিকম্বিন্যান্ট'৷ একই ভাইরাসের দু'টি ধরনের সংক্রমণ একসঙ্গে হলে তাদের মধ্যে আদানপ্রদানের ফলে জন্ম নেয় এ ধরনের ভাইরাস৷ ফলে এই ভাইরাস খালাতো ভাইদের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মকও৷



'রিকম্বিন্যান্ট' এইচআইভি নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ চালাচ্ছে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়৷ সম্প্রতি তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল 'জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিস'-এ প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে দাবি, সাধারণ এইচআইভি-র ক্ষেত্রে এইডসের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার ন্যূনতম সময় সাড়ে সাত বছর৷ সেখানে এই 'রিকম্বিন্যান্ট' ভাইরাস সংক্রমণে মাত্র পাঁচ বছরেই প্রকাশ পায় এইডসের লক্ষণ৷ গিনি-বিসোয় সংক্রামিত মানুষের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, গঠনগত ভাবে দু'টি ভিন্নধর্মী ভাইরাসের মিলনেই সৃষ্টি নতুন এই আগ্রাসী এইচআইভি-র৷ গিনি-বিসোয় '০২এজি' ও 'এ-৩' ভাইরাস দু'টি অতিসক্রিয়৷ কিন্ত্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, একই দেহে একসঙ্গে দু'টি প্রজাতির সংক্রমণ হলে তাদের মধ্যে ডিএনএ আদানপ্রদানের ফলে জন্ম নিচ্ছে এই 'রিকম্বিন্যান্ট' ভাইরাস 'এ-৩/০২'৷

গবেষক অ্যাঞ্জেলিকা পাম বলেন, 'এমনিতেই মূল ভাইরাসের তুলনায় রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস অনেক বেশি আক্রমণাত্মক৷ অভিযোজন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে 'এ-৩/০২'-র টিকে যাওয়ার হারও অনেক বেশি৷'

পৃথিবীতে এইচআইভি-১ গোত্রের এমন ৬০টি ধরনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা এইডসের জন্য দায়ী৷ কোনও সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় এদের একটি বা দু'টি (ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে) প্রজাতিই অতিসক্রিয় অবস্থায় থাকে৷ তবে সাধারণ ভাবে একটি প্রজাতির সংক্রমণ ঘটলে, দ্বিতীয় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না৷ এখানেও ব্যতিক্রমী 'এ-৩/০২'৷ সংক্রামিত ব্যক্তিকেও রেয়াত করে না এই 'রিকম্বিন্যান্ট' ভাইরাস৷

অনুপ্রবেশ সমস্যায় জর্জরিত ভারত কিংবা আমেরিকার মতো দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি৷ অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গ, বিনা পরীক্ষায় রক্ত সঞ্চরণের মাধ্যমে কোনও মতে একবার শরীরে ঢুকে পড়তে পারলেই অভিযোজন ক্ষমতার গুণে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাস৷ মৃত্যুর সময় গোনা ছাড়া তখন আর কোনও উপায়ই হাতে থাকবে না৷

আগাম সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারই পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ তারা সকলেই একমত, একমাত্র স্বাস্থ্যবিধির অনুশীলনেই ভাইরাসের মারণ হামলা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব৷ সূত্র: ওয়েবসাইট
Share:

আর্কাইভ

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল